পুরুষ তো একজন মগ্নমন দোনাতেলো,
একজন মাইকেল্যাঞ্জেলো —
গোপন অ্যটালিয়ায় ভাঙে আর গড়ে
নক্ষত্রের মতো শরীর জ্যামিতি আলো।
কারে তুমি চাও — পিকাসোর ফার্নান্দো অলিভার,
দেবীপা নাকি ডোরম্যাটস;
রবীন্দ্রনাথের নারী — কুয়াশা পর্দা ঘেরা রহস্যমুখ!
শ্যামলী বিকেল ফেলে ফিরিঙ্গি বিকিনি ঊরু —
নাকি ঢেকি পারানীর কালো কোমরের নদী।
পুরুষ তো একজন মগ্নমন দোনাতেলো, মাইকেল্যাঞ্জেলো।
গোপন অ্যটালিয়ায় ভাঙে আর গড়ে
নক্ষত্র জ্যামিতি আলো।
বাইরের রূপের সঙ্গে মিলে গেলে অন্তরতম মুখ
ভাস্কর থামায় , হাতুড়ি, বাটালি, রাঁদা।
হতে পারে একুশে বা ষাটে—
নাও হতে পারে আজন্ম কবন্ধ হাতে।
বিনয়ের ‘ফিরে এসো চাকা’ — জানি সে অলীক নারী
পালকের বালিশে বিভোর কাদিরের প্রগতযৌবন
নাদিরা, নাদিরা বলে কাঁন্দে।
‘ফিরে এসো চাকা’ ইন্দ্রধনুর কাব্য।
আধেক ভাস্কর্য ফেলে মাইকেল্যান্জেলো ছেড়েছিল ফ্লোরেন্স,
দোনাতেলোর ছিল ‘নন-ফিনিতো’ শিল্প অভিসার,
চসারের ক্যান্টারবেরি টেলস কখনো হয়নি লেখা শেষ,
কাফকা চেয়েছিল অসম্পূর্ণ লেখাগুলো তার
পুড়িয়ে ফেলা হোক।
কী কথা লিখেছিল কৃষ্ণকথার শেষ পৃষ্ঠার শ্লোক।
ডিডি ও গোগোর মতো অনেক অপেক্ষা হলো
এবার ডেইজি ফুলে ঢাকা কাসকেডে শেষ পেরেকটা ঠোকো।