২৭শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

অর্থনীতি

ভারতে তেল সরবরাহ অব্যাহত রাখতে সব ব্যবস্থা করা আছে জানিয়ে দিল রুশ কূটনীতিক

ভারতে তেল সরবরাহ অব্যাহত রাখতে সব ব্যবস্থা করা আছে জানিয়ে দিল রুশ কূটনীতিক

নয়াদিল্লি ও মস্কোর মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চায় রাশিয়া। সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মস্কো সফরের মধ্যেই রাশিয়ার পক্ষ থেকে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে। ভারতের রুশ দূতাবাস জানিয়েছে, তাঁরা দুই দেশের মধ্যেকার বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা কমাতে এবং জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে আগ্রহী।

রুশ দূতাবাসের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রোমান বাবশকিন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ভারত রাশিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তিনি স্বীকার করেন, ভারতের সামনে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং রাশিয়া সেগুলো দূর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি আরও জানান, দুই দেশের মধ্যে তেল সরবরাহ অব্যাহত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া আছে।

উক্রেন যুদ্ধের পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ভারত ২০২২ সাল থেকে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের অন্যতম বৃহত্তম ক্রেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাবশকিন বলেন, ‘রুশ অপরিশোধিত তেলের কোনো বিকল্প নেই, কারণ এটি খুবই প্রতিযোগিতামূলক।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই তেল ভারতের জন্য অত্যন্ত লাভজনক।

বাবশকিন জানান, রাশিয়া ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে আগ্রহী। দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রতি বছর প্রায় ১০ শতাংশ হারে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, রাজনৈতিক পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, ভারতে তেল সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা রয়েছে। তিনি বলেন, উভয় দেশের মধ্যেকার বাণিজ্য বাধাগুলো দূর করার জন্য রাশিয়া কাজ করছে।

সম্প্রতি ভারতীয় পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বাবশকিন বলেন, ‘যদি ভারতীয় পণ্য মার্কিন বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হয়, তবে রাশিয়ার বাজার ভারতীয় রপ্তানির জন্য উন্মুক্ত।’

রুশ দূতাবাস আরও জানিয়েছে, ভারত তাদের চতুর্থ বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। ভবিষ্যতেও ভারতে জ্বালানি সরবরাহ একই পর্যায়ে থাকবে। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলোকে ‘দ্বিমুখী নীতি’ এবং ‘জাতীয় স্বার্থের প্রতি অসম্মান’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে রুশ দূতাবাস। এ ছাড়া, দুই দেশের মধ্যেকার পেমেন্ট বা অর্থ পরিশোধের পদ্ধতি আরও উন্নত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।