নিউইয়র্ক     শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাইডেনের ঈদ শুভেচ্ছাবার্তায় গাজায় শান্তি স্থাপনের প্রত্যয়

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৪ | ০৬:২৫ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১২:৪৫ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-

রমজানের এক মাস রোজা শেষে আজ বুধবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। পরের দিন বৃহস্পতিবার ঈদ হবে বাংলাদেশ, ভারত ও ব্রুনাইসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার ঈদ উপলক্ষ্যে বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর উদ্দেশে শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা সেই শুভেচ্ছাবার্তায় যুদ্ধ-সংঘাতে জর্জরিত গাজা উপত্যকা ও সুদানে শান্তি স্থাপনের প্রত্যয় জানিয়েছেন তিনি।

এক্সপোস্টে তিনি বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে মুসলিম সম্প্রদায় ও পরিবারের সদস্যরা ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য একত্র হয়েছেন। কিন্তু তাদের এই আনন্দের মধ্যে বেশ খানিক বিষাদও মিশে রয়েছে। গাজা, সুদান এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সংঘাত, ক্ষুধা, বাস্তুচ্যুতির মতো দুর্যোগ সহ্য করতে হচ্ছে লাখ লাখ মুসলিমদের।’

‘এবারের ঈদে আমি তাদের স্মরণ করতে চাই, পাশে থাকতে চাই। সেই সঙ্গে বলতে চাই— এখন সময় এসেছে সবার জন্য শান্তি ও সমমর্যাদার লড়াইকে আমাদের সবার এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। আমরা শান্তি চাই, সবার মর্যাদা চাই।’

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের অতর্কিত হামলার জবাবে সেই দিন থেকেই উপত্যকায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত প্রায় ৭ মাসের অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৩ হাজারেরও বেশি মানুষ, আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭৫ হাজার জন। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় বাড়িঘর হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

এর আগে ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা। তাতে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। পাশাপাশি ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরেও নিয়ে গিয়েছিল হামাস।

সেই জিম্মিদের মধ্যে থেকে এ পর্যন্ত ১৩২ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বাকি ১০৮ জন এখনও জিম্মি রয়েছেন হামাসের কব্জায়। তাদের মুক্তির জন্য গাজায় ছয় সপ্তাহের একটি যুদ্ধবিরতি আহ্বানে আলোচনা চলছে।

অন্যদিকে সুদানে গত বছরের মাঝামাঝি থেকে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে নেমেছে দেশটির সেনা বাহিনী ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী। সেই সংঘাত এখনও থামেনি এবং ইতোমধ্যে উত্তর আফ্রিকার মুসলিমপ্রধান সেই দেশটিতে প্রাণ গেছে হাজার হাজার মানুষের।

শেয়ার করুন