৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কমিউনিটি

প্রবাসে বাঙালিয়ানার ঐশ্বর্যমণ্ডিত অভিব্যক্তি: যুক্তরাষ্ট্রে দশ দিনব্যাপী বিবাহ মহোৎসবের মহার্ঘ আয়োজন

প্রবাসে বাঙালিয়ানার ঐশ্বর্যমণ্ডিত অভিব্যক্তি: যুক্তরাষ্ট্রে দশ দিনব্যাপী বিবাহ মহোৎসবের মহার্ঘ আয়োজন

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ঐতিহ্যবাহী নিউ অরলিয়েন্স শহর এবং টেক্সাসের প্রাণবন্ত হিউস্টন নগরীতে অনুষ্ঠিত হলো এক দশ দিনব্যাপী বিবাহ মহোৎসব—যা ছিল এক অনুপম সাংস্কৃতিক আবেশে মোড়ানো বাঙালি ঐতিহ্যের জ্যোতির্ময় অভিব্যক্তি। অক্টোবর ১৭ থেকে ২৬, ২০২৫ পর্যন্ত বিস্তৃত এই উৎসবের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত দুই আলোকিত হৃদয়—ড. শায়েনা সারওয়ার, ফার্মডি, এবং ডা. ব্রতী সাদীদ রাহমান, এমডি—যাঁদের শুভ বিবাহ বন্ধনকে ঘিরে গড়ে ওঠে এক স্বপ্নময় আয়োজনের মালা।

 

নিউ অরলিয়েন্সের উপকণ্ঠে অবস্থিত শ্যাটো গল্‌ফ্‌ ও কান্ট্রি ক্লাবের সবুজে ঘেরা প্রাঙ্গণ এবং শায়েনার পিতামাতা—ড. মোস্তফা সারওয়ার, পিএইচডি, ও ডা. সাইয়েদা সারওয়ার, এমডি—এর গৃহের স্নিগ্ধ পরিবেশে একে একে অনুষ্ঠিত হয় হেনা সন্ধ্যা, বরযাত্রী বরন, গায়ে হলুদ, নিকা, রুসুমাত, ও বর-কনে সংবর্ধনা। প্রতিটি পর্বে ছিল বাঙালি রীতির ছোঁয়া, হৃদয়ের উষ্ণতা, এবং সৌন্দর্যের অপার বিস্তার।

 

অন্যদিকে, হিউস্টনের অভিজাত ‘উডল্যান্ডস’-এ ডা. ব্রতীর পিতামাতা—ডা. আতিয়ার রাহমান বনি, এমডি, পিএইচডি, ও ডা. আফরোজা রাহমান মিনি, এমডি—এর প্রাসাদোপম অট্টালিকা, ‘কেভিন ব্রেডি সেন্টার’, এবং হায়াত রিজেন্সী হোটেলের রাজকীয় বলরুমে আয়োজিত হয় বধূবরণ, সঙ্গীত সন্ধ্যা, কনেযাত্রীর ভূরিভোজন, লুঙ্গি-গামছা পরিধানে রঙ খেলার উৎসব, ওয়ালিমা, এবং বিদায়ী ভোজ। প্রতিটি আয়োজন যেন ছিল একেকটি কবিতার মতো—ছন্দে, রঙে, এবং আবেগে পূর্ণ।

এই দশ দিনব্যাপী মহোৎসবে দেড় হাজারেরও অধিক অতিথির সমাগম ঘটে, যার মধ্যে শুধু ওয়ালিমা উৎসবেই সাত শতাধিক মেহমানের প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে হায়াত রিজেন্সীর বলরুমে সৃষ্টি হয় আনন্দের প্লাবন। একইভাবে, শ্যাটো গল্‌ফ্‌ ও কান্ট্রি ক্লাবের বলরুমও ছিল উচ্ছ্বাসে পরিপূর্ণ, যেখানে প্রতিটি মুহূর্ত ছিল স্মরণীয় ও হৃদয়গ্রাহী।

নিউ অরলিয়েন্সের অনুষ্ঠানসমূহের সুশৃঙ্খল পরিচালনায় ছিলেন শায়েনার ফুফাতো ভাই ড. ফারুক আকবরের সহধর্মিণী, ফ্রেঞ্চ বহুজাতিক কোম্পানির এক্সিকিউটিভ সোহেনী তাঞ্জিমা। অপরদিকে, হিউস্টনের অনুষ্ঠানসমূহের সুনিপুণ তত্ত্বাবধানে ছিলেন ব্রতীর একমাত্র সহোদরা, অনিন্দ্য সুন্দরী শ্রেয়া রাহমান, যিনি বেলর কলেজ অব মেডিসিনের চতুর্থ বর্ষের এমডি শিক্ষার্থী। তাঁদের দক্ষতা ও সৌজন্যে প্রতিটি আয়োজন হয়ে ওঠে নিখুঁত ও হৃদয়স্পর্শী।

এই মহোৎসবে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের দেশ—বাংলাদেশ, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া সহ আরও বহু দেশ থেকে আগত দেড় শতাধিক অতিথির উপস্থিতি উৎসবকে করে তোলে আন্তর্জাতিক পরিসরে অনন্য। দুই বাংলাদেশী-আমেরিকান উচ্চশিক্ষিত, প্রতিষ্ঠিত ও সম্মানিত পরিবারের এই বিবাহ বন্ধন প্রবাসী বাংলাদেশি সমাজে এক আনন্দোচ্ছ্বাসের জোয়ার বইয়ে দেয়। তাঁদের সাফল্য, সৌজন্যতা ও বিনয়ী আতিথেয়তা প্রত্যেক অতিথির হৃদয়ে গভীর ছাপ রেখে যায়।

 

দুই বছর বয়স থেকেই গল্‌ফ্‌ ও কান্ট্রি ক্লাবের পরিশীলিত পরিবেশে বেড়ে ওঠা শায়েনা এক অনন্য প্রতিভার অধিকারী, যার মেধা ও মননশীলতা সকলের ঈর্ষার বিষয়। টুলেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ডিগ্রিতে কুম লাউডি এবং জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব ফার্মাসি ডিগ্রিতেও কুম লাউডি অর্জন করে, প্রথম প্রচেষ্টাতেই ফার্মাসি বোর্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এই লাবণ্যময়ী ও প্রজ্ঞাময়ী কন্যা। তবে শায়েনার প্রতিভা কেবল একাডেমিক সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়—তার মেধা বিকশিত হয়েছে নেতৃত্ব, সঙ্গীত, সাহিত্য, ক্রীড়া এবং মানবসেবার বহুবর্ণিল পরিসরে। উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র সংসদের সভাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন; হয়েছেন প্রম কুইন ও হোমকামিং কোর্টের গর্বিত সদস্য। ভারতনাট্যমে দক্ষতা অর্জন করে অংশ নিয়েছেন ড্যান্স রিসাইটেলে, ছিলেন ভার্সিটি সকার ও বাস্কেটবল দলের সক্রিয় খেলোয়াড়, পিয়ানো প্রতিযোগিতায় জিতেছেন স্বর্ণপদক, এবং সাহিত্যচর্চায় নিজেকে তুলে ধরেছেন এক প্রতিভাবান লেখিকা হিসেবে।

টুলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে মনোবিজ্ঞানের আন্তর্জাতিক অনার্স সোসাইটির সদস্য হিসেবে মনোনীত হন শায়েনা। জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ছিলেন আমেরিকান সোসাইটি অব কনসালটেন্ট ফার্মাসিস্ট-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ফার্মাসি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের চেয়ারপার্সন। একইসাথে, ‘রো সাই’ ফার্মাসি অনার্স সোসাইটির সদস্যপদও অর্জন করেন। পারিবারিক ভ্রমণের সুবাদে শায়েনা ইতোমধ্যে ইউরোপের ২৮টি, এশিয়ার ৫টি, উত্তর আমেরিকার ৩টি, দক্ষিণ আমেরিকার ২টি এবং আফ্রিকার ১টি দেশ ভ্রমণ করেছেন—যা তাঁর দৃষ্টিভঙ্গিকে করেছে আরও বিস্তৃত ও বহুমাত্রিক।

হিউস্টনে চিকিৎসা পেশায় সাফল্যের দীপ্তিময় মুকুট পরিহিত ব্রতী তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু করেন ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস, অস্টিন থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে বিএ ডিগ্রি অর্জনের মধ্য দিয়ে। পরবর্তীতে সেন্ট জর্জেস ইউনিভার্সিটি থেকে ডক্টর অব মেডিসিন ডিগ্রি লাভ করে ইউনিভার্সিটি অব হিউস্টনে ইন্টারনাল মেডিসিনে রেসিডেন্সি সম্পন্ন করেন। তাঁর একাডেমিক ও পেশাগত পরিসরে রয়েছে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়—তিনি ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস, অস্টিন-এ ‘কলেজ স্কলার’ হিসেবে স্বীকৃত, জাপানিজ ন্যাশনাল অনার সোসাইটির সদস্য, বিশিষ্ট আউটপেশেন্ট ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইজার, রেসিডেন্ট অ্যাডভাইজরি কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইউনিভার্সিটি অব হিউস্টনের অ্যাডজাঙ্ক্ট ফ্যাকাল্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ব্রতীর গবেষণাকর্মও সমানভাবে প্রশংসনীয়। জার্নাল অব আমেরিকান সোসাইটি অব নেফ্রোলজিতে প্রকাশিত তাঁর ও সহকর্মীদের যৌথ গবেষণাপত্রে কেমোথেরাপি ওষুধ পেমেট্রেক্সেড-এর বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াজনিত একটি অ্যাকিউট কিডনি ইনজুরি (AKI)-এর ক্লিনিক্যাল কেস বিশ্লেষণ করা হয়েছে, যা চিকিৎসা বিজ্ঞানে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।

ব্রতী এক বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী—ইংরেজি, বাংলা, স্প্যানিশ ও জাপানিজ ভাষায় দক্ষ, র‍্যাপ সংগীতে পারদর্শী, এবং বিশ্বভ্রমণের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ এক বিশ্বনাগরিক। বিত্ত, বৈভব ও সামাজিক মর্যাদার শিখরে অবস্থান করেও, শায়েনার মতো ব্রতীর চরিত্রেও নেই কোনো অহংকারের ছায়া। তাঁরা দুজনেই অমায়িক, বিনয়ী, এবং হৃদয়ের গভীরতা দিয়ে মানুষকে আপন করে নেওয়ার এক অনন্য ক্ষমতার অধিকারী।

শায়েনার জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত এক বাংলাদেশি অভিজাত, মার্জিত ও উচ্চশিক্ষিত পরিবারে, যেখানে জ্ঞান, সংস্কৃতি ও সৌজন্যের অপূর্ব সমন্বয় প্রতিফলিত হয় প্রতিটি প্রজন্মে। তাঁর পিতা, ড. মোস্তফা সারওয়ার, পিএইচডি—একাধারে বিজ্ঞানী, কবি, কলামিস্ট এবং আন্তর্জাতিক টেলিভিশন টকশোর বিশ্লেষক—যুক্তরাষ্ট্রে এমারিটাস অধ্যাপক হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। তিনি অতীতে পালন করেছেন ভাইস চ্যান্সেলর, প্রভোস্ট, ডীন, ইউনিভার্সিটি অনার্স প্রোগ্রামের পরিচালক এবং রিজিওনাল ট্রানজিট অথরিটির কমিশনারের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। তাঁর জীবনচর্যা এক অনন্য বাঙালি মননের প্রতিচ্ছবি।

শায়েনার মাতা, ডা. সাইয়েদা সারওয়ার, এমডি, বর্তমানে ‘ভিএ’ হাসপাতালে কর্মরত একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক। অতীতে তিনি ছিলেন লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটির মেডিকেল স্কুলের সহকারী অধ্যাপিকা এবং একটি বেসরকারি ল্যাবরেটরির পরিচালক। তাঁর গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনসহ বিশ্বের খ্যাতনামা চিকিৎসা জার্নালগুলোতে। ১৯৯৬ সালে তাঁর গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি আমেরিকান কলেজ অফ অবস্টেট্রিশিয়ান অ্যান্ড গাইনোকলজি থেকে ব্রোঞ্জ পদকে ভূষিত হন। এই গুণী দম্পতির যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত তিনটি রিয়াল স্টেট কোম্পানির অধীনে রয়েছে একাধিক স্ট্রিপ শপিং মল—যা তাঁদের প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার নিদর্শন।

শায়েনার দুই ভাই—তুরহান সারওয়ার ও আরাশ সারওয়ার—উভয়েই হার্ভার্ড গ্রাজুয়েট এবং ম্যাগনা কুম লাউডি সম্মানে ভূষিত। বড় ভাই তুরহান, জুরিস ডক্টর ডিগ্রিধারী, বোস্টনের একজন খ্যাতনামা লিটিগেশন অ্যাটর্নি। তাঁর সহধর্মিণী, ডা. ক্যাথলিন সারওয়ার, বিএ (হার্ভার্ড), এমডি (জনস হপকিনস), বর্তমানে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের সহকারী অধ্যাপিকা। ছোট ভাই আরাশ, বিএ (হার্ভার্ড) অর্জন করে ম্যানহ্যাটনের ওয়াল স্ট্রিটে হেজ ফান্ড জগতে এক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তাঁর সহধর্মিণী, মনীষা সারওয়ার, এমএ (কলাম্বিয়া), অপর একটি হেজ ফান্ডের পার্টনার ও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ব্রতীর পরিবার হিউস্টনের বুকে গড়ে ওঠা এক সংস্কৃতিমনস্ক, সুশিক্ষিত ও ধনাঢ্য পরিবার, যেখানে চিকিৎসা পেশা যেন এক ঐতিহ্যবাহী উত্তরাধিকার। তাঁর পিতা, ডা. আতিয়ার রাহমান বনি, এমডি, পিএইচডি, হিউস্টনের একজন খ্যাতনামা কার্ডিওলজিস্ট ও অধ্যাপক। তাঁকে বলা চলে এক বিরাজমান সব্যসাচী—যিনি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে মহাভারতের অর্জুনের মতো নিপুণ ও নির্ভুল। বধূবরণ অনুষ্ঠানে তাঁদের প্রসাদতুল্য অট্টালিকার সম্মুখে, জামদানি শাড়িতে আবৃত, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষিত মার্জিত গৃহবধূরা ব্রতীর পোর্শে গাড়ি থেকে শায়েনাকে নামিয়ে বরণ করেন। সেই মুহূর্তে ব্যাকগ্রাউন্ডে বেজে ওঠে ডা. আতিয়ার রাহমান বনির দরাজ কণ্ঠে “এসো আমার ঘরে”—যেন ইন্দ্রজালের রঙধনু আবীর ছড়িয়ে পড়ে অট্টালিকার প্রাঙ্গণে, পুষ্পে-পুষ্পে, বৃক্ষে-বৃক্ষে, ভাস্কর্যে-ভাস্কর্যে।

ব্রতীর মাতা, ডা. আফরোজা রাহমান মিনি, এমডি, হিউস্টনের একজন সুপরিচিত শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ, যাঁর উপস্থিতি শায়েনার মতোই আনন্দের তরঙ্গ সৃষ্টি করে চারপাশে। ব্রতীর একমাত্র বোন, শ্রেয়া, এক মেধাবী ও প্রতিশ্রুতিশীল ছাত্রী, যিনি ডিউক ইউনিভার্সিটি থেকে উচ্চ সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে বর্তমানে বেলর ইউনিভার্সিটি মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের এমডি শিক্ষার্থী। ব্রতীর মামা, ড. মনোয়ার হোসেন, হিউস্টনের বিখ্যাত এম.ডি. অ্যান্ডারসন ক্যানসার রিসার্চ হাসপাতালে গবেষণায় নিয়োজিত। তাঁর চাচা, ডা. আসাদ জামান, এমডি, ডালাসে একজন বিশিষ্ট নেফ্রোলজিস্ট হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত।

যশোর শিক্ষা বোর্ডকে কেন্দ্র করে দুটি উচ্চপ্রতিষ্ঠিত পরিবারের চার গুণী সদস্যের মধ্যে বিদ্যমান এক চমৎকার, প্রীতিকর সাদৃশ্য—যা যেন সময়ের স্রোতে জেগে ওঠা এক মেধার মালা, প্রজন্মের পর প্রজন্মে গাঁথা।

পটুয়াখালীর সন্তান ড. মোস্তফা সারওয়ার, যিনি জ্ঞানের দীপ্তিতে আলোকিত, যশোর বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে দ্বিতীয় স্থান এবং এইচএসসি-তে সকল বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের শীর্ষে প্রথম স্থান অলংকৃত করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্ররূপে।

এক দশক পর, তাঁর আলোকছায়ায় পথ চলা ব্রতীর মামা, যশোরের মনোয়ার হোসেন, একই বোর্ডে এসএসসি-তে পঞ্চম স্থান এবং এইচএসসি-তে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে মেধার ধারাবাহিকতায় যুক্ত করেন আরেকটি দীপ্তিময় অধ্যায়।

এর বারো বছর পর, ব্রতীর পিতা, ডা. আতিয়ার রাহমান বনি, সেই একই বোর্ডে এসএসসি-তে প্রথম স্থান এবং এইচএসসি-তে চতুর্থ স্থান অর্জন করে যেন জ্ঞানের অলিন্দে স্থাপন করেন এক অনন্য মাইলফলক।

আর ব্রতীর মাতা, ডা. আফরোজা রাহমান মিনি, সেই ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতায় যুক্ত করেন এক অনবদ্য গৌরব—এইচএসসি পরীক্ষায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে হয়ে ওঠেন এক দীপ্তিমান প্রতিভার প্রতিচ্ছবি।