গত ২০শে জুলাই ২০২৫, রবিবার, কানেকটিকাটের ব্রিজপোর্ট শহরের নয়নাভিরাম সিসাইড পার্ক অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশন নিউইয়র্ক ইনক-এর বার্ষিক বনভোজন। প্রবাসী চাঁদপুরবাসীদের এই মিলনমেলায় উৎসবের আমেজ ছিল চোখে পড়ার মতো। আটশতাধিক আনন্দপিপাসু মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি এবং অত্যন্ত সুশৃঙ্থল ও বর্ণিল আয়োজন বনভোজনটিকে স্মরণীয় করে রাখবে অনেকদিন।
জেবিবিএ-এর সভাপতি ও রুপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশনের সাবেক সভাপতি হারুন ভূঁইয়া এবারের বনভোজন আয়োজনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এই আয়োজনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ম্যানচেস্টার, কানেকটিকাটের স্টেট সিনেটর বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত চাঁদপুরের কৃতি সন্তান মো: মাসুদুর রহমান। তাঁর উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিকে এক ভিন্ন মাত্রা দান করে। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টিবোর্ড মেম্বার ডা: এনামুল হক এমডি, বাংলাদেশ সোসাইটি নিউ ইয়র্ক এর সাবেক সভাপতি চাঁদপুরের অপর কৃতি সন্তান নার্গিস আহমেদ, বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির সাবেক সভাপতি ফিরোজুল ইসলাম পাটোয়ারী, পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান, রুপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশনের সাবেক সভাপতি আমিন খান জাকির ও অপর এক সাবেক সভাপতি মামুন মিয়াজী, এষ্টােরিয়া ডিজিটাল ট্রাভেলস এর নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আমেরিকান এসােসিয়েশান অফ কানেকটিকাটের (বাক) বিদায়ী সভাপতি নুরুল আলম নুরু ও বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন চৌধুরী, ব্রিজপোর্ট শহরের বাংলাদেশী এক্টিভিষ্ট আলী আকবর বাপ্পী প্রমুখ।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশন নিউইয়র্ক ইনক-এর সভাপতি ফখরুল ইসলাম মাছুম, সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম মনির, কোষাধ্যক্ষ মোঃ আবু ছাদেক, এবং প্রচার সম্পাদক মো: আবু বকর অতিথিদের স্বাগত জানান এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনার তত্ত্বাবধান করেন।
বনভোজনকে কেন্দ্র করে ছিল নানা আকর্ষণীয় আয়োজন। উপস্থিত সকলের জন্য ছিল আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র পুরস্কারের ব্যবস্থা, যা বিজয়ীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি করে। শিশুদের থেকে শুরু করে বয়োজ্যেষ্ঠ, সকলের জন্যই ছিল খেলাধুলার সুব্যবস্থা।
এর পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় এক মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে স্থানীয় শিল্পীরা গান ও নৃত্যে অংশগ্রহণ করেন। এই বৈচিত্র্যপূর্ণ আয়োজন সকলের মনে আনন্দের সঞ্চার করে এবং দিনটিকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
বনভোজনে অংশগ্রহণকারীদের সুবিধার জন্য ২০শে জুলাই ২০২৫, রবিবার সকাল ৯টায় জ্যাকসন হাইটস (ব্রডওয়ে ৭২ বিটুইন ৭৩ স্ট্রিট) এবং ব্রঙ্কসের স্টারলিং ও ক্যাসেল হিল থেকে বাসের সুব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই সফল আয়োজনের পেছনে ছিল একটি নিবেদিতপ্রাণ কমিটি।
এবারের বনভোজন কমিটির আহবায়ক ছিলেন মোঃ রেজাউর রহমান রাজু। যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মোহাম্মদ নুরুল আমিন ও মিঞা ওবায়দুর রহমান। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন মোঃ কবির। অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন হারুন ভূঁইয়া। তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন মোবারক হোসাইন, মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ নুরুল ইসলাম মিলন, এবং মোঃ জাকির হুসাইন। সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করেছেন মোঃ এ সিদ্দিক পাটোয়ারী, আব্দুর রহিম ভূঁইয়া, মোঃ মাহাবুবুর রহমান (সদস্য সচিব), মোঃ আবু তাহের (যুগ্ম-সদস্য সচিব) এবং ফয়েজ আহমেদ (যুগ্ম-সদস্য সচিব)।
বনভোজন কমিটির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা হলেন সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জসীম উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক মোঃ আবুবকর, এবং শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল পাটোয়ারী ও রাজন হাসান। সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বিপ্লব সাহা (৩৪ সেভেন-সেভেন থ্রি এইট-সেভেন ওয়ান নাইন সিক্স), মোঃ আক্তার হামিদ (নাইন ওয়ান সেভেন-ফোর ফাইভ নাইন-এইট থ্রি সেভেন নাইন) এবং নুরুল আলম মজুমদার। কমিটির অন্যান্য পদে ছিলেন সহ কোষাধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম পাটোয়ারী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আহাদ ভূইয়া, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক আবুল বাশার, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসাইন মিয়াজী, ক্রীড়া সম্পাদক সাফায়েত হোসেন রুমান, এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার মোঃ মইনুল ইসলাম। এছাড়াও, মহিলা সম্পাদিকা এডভোকেট নুবাইরা ইবনাত এবং সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদিকা শাহানারা কবির, ফাতেমা আক্তার ও ফারহানা আক্তার শিমু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়াও, সম্মানিত সদস্য হিসেবে এই আয়োজনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন মাহমুদা আহমেদ, শাকিল মিয়া, হাসান মাহমুদ সোহেল, মোঃ ফারুক আহমেদ, খোরশেদ আলম, মকসেদুর রহমান সেলিম, শাহ আলম, মোঃ জহিরুল ইসলাম, মোঃ রফিকুল ইসলাম ৫, বেলায়েত হোসাইন সোহাগ, আব্দুল মমিন, নূর হোসাইন, মোঃ বোরহানউদ্দিন, মোঃ নিয়াজ মোরশেদ, ওসমান ওমর ফারুক, ফজলুল হক, আক্তার হোসেন নাসিম, সাইফুল ইসলাম লিটন, সাইফুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ টিটু, গোলাম আযম রকি, সোহেল গাজী।
রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশন নিউইয়র্ক ইনক-এর এই বার্ষিক বনভোজন কেবল একটি বিনোদনমূলক আয়োজন ছিল না, বরং এটি ছিল প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার একটি প্রয়াস। একই সাথে, এটি প্রবাসে বসবাসরত চাঁদপুরবাসীদের মধ্যে সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় করতে এবং একে অপরের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
এই ধরনের আয়োজন প্রবাস জীবনে একঘেয়েমি দূর করে এবং নিজ সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা ও মমত্ববোধ জাগিয়ে তোলে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন তাদের শেকড়কে ভুলে না যায়, সেই লক্ষ্যেই এই ধরনের মিলনমেলার গুরুত্ব অপরিসীম।
সামগ্রিকভাবে, রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশন নিউইয়র্ক ইনক-এর এই বছরের বার্ষিক বনভোজন ছিল এক বিশাল সাফল্য। এটি প্রমাণ করে যে প্রবাসেও নিজেদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রেখে এবং নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ অক্ষুণ্ণ রেখে একটি শক্তিশালী কমিউনিটি গড়ে তোলা সম্ভব। এই সফল আয়োজনের জন্য বনভোজন কমিটি এবং রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশনের সকল সদস্য আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
র্যাফেল ড্র পুরস্কার সহযোগিতায়: ১ম পুরস্কার: ১,০০০ ডলার- হোসেন মেডিকেল কেয়ার, মোঃ হোসেন এমডি, ২য় পুরস্কার : ৫০০ ডলার নগদ, নবান্ন রেস্টুরেন্ট, মোঃ আফতাবুজ্জামান শিমুল, ৩য় পুরস্কার: ৪০০ ডলার ক্যাশ, রুবেন এবং সৈকত, ৪র্থ পুরস্কার: এটর্নি মঈন চৌধুরী, ৫ম পুরস্কার : মোঃ সাইফুল ইসলাম, এমডি, সেবা হোল্ডিং লিমিটেড, ৬ষ্ঠ পুরস্কার: ল্যাপটপ, মহিউদ্দিন দেওয়ান, সি: সহ-সভাপতি বাংলাদেশ সোসাইটি, ৭ম পুরস্কার: ল্যাপটপ, মফিজুল ইসলাম রুমি, কোষাধ্যক্ষ, বাংলাদেশ সোসাইটি, ৮ম পুরস্কার: ৬৫ ইঞ্চি টিভি, সোহেল গাজী, ৯ম পুরস্কার : সলিমুল্লাহ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী
১০ম পুরস্কার: মিয়া মোহাম্মদ দুলাল, সাবেক সি: সহ-সভাপতি বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি যুক্তরাষ্ট্র ইন্ক, ১১তম পুরস্কার : নুরুল ইসলাম মিলন , সহ-সাধারণ সম্পাদক, রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশন নিউইয়র্ক ইন্ক, ১২তম পুরস্কার : ১৩তম পুরস্কার: জামাল আহমেদ, ১৪তম পুরস্কার : বিসমিল্লাহ লাইভ পোল্ট্রি, গিফট কার্ড, ১৫ম পুরস্কার : মোঃ আনোয়ার হোসাইন, ১৬তম পুরস্কার: কুকিং সেট, মোবারক হোসাইন, সহ-সভাপতি, রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশন নিউইয়র্ক ইন্ক, ১৭তম পুরস্কার কুকিং সেট, অবকাশ, জ্যাকসন হাইটস, ১৮তম পুরস্কার: ডিনার সেট, আবু সাদেক, ১৯তম পুরস্কার : টাওয়ার ফ্যান, ইত্যাদি গ্রোসারি, জ্যাকসন হাইটস, ২০তম পুরস্কার : হটপট বক্স, জালাল উদ্দিন জালাল
বিশেষ সহযোগিতায়: আসিফ বারী টুটুল, সিইও, বারী হোম কেয়ার, ডাঃ এনামুল হক, ট্রাস্টি বোর্ড মেম্বার, বাংলাদেশ সোসাইটি, মোহাম্মদ আলম নমি, (বিশিষ্ট ব্যবসায়ী), আলমগীর হোসাইন, জুলফিকার আক্তার জুয়েল, মোঃ সাইফুল ইসলাম, এমডি, সেবা হোল্ডিং লিমিটেড, মোঃ কামরুজ্জামান কামরুল, খাবার বাড়ি, জ্যাকসন হাইটস, দুলাল বেহেদু, সভাপতি, ঢাকা জেলা এসোসিয়েশন ইউএসএ ইন্ক, আবুল হাশেম এমবিএ, এনরোলড এজেন্ট, কর্ণফুলী ট্যাক্স সার্ভিস, মাহমুদুল হাসান, ফাহাদ সোলাইমান, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট, বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি যুক্তরাষ্ট্র ইন্ক, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক, (বিশিষ্ট ব্যবসায়ী), নবান্ন রেস্টুরেন্ট, মোহাম্মদ আফতাবুজ্জামান শিমুল, মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, ডিজিটাল গ্রাফিক, জ্যাকসন হাইটস, শাকিল মিয়া গ্রাফিক্স ওয়ার্ল্ড, জ্যাকসন হাইটস, মমিনুল ইসলাম মজুমদার, বিগ ডিজাইন, জ্যাকসন হাইটস, নুরুল ইসলাম মিলন,আসিফ শাহরিয়ার, প্রেসিডেন্ট এন্ড সিইও, লিবার্টি ব্রোকারেজ