১১ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

গিয়াস আহমেদের উদ্যোগে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) অনুষ্ঠান

গত রোববার ১৪ সেপ্টেম্বর বাদ মাগরিব বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও যুক্তরাষ্ট্রে ফোবানার চেয়ারম্যান গিয়াস আহমেদের উদ্যোগে তার লং আইল্যান্ডের ডিক্সহিলের বাসায় আয়োজন করা হয় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) মাহফিল। মাহফিলে আমন্ত্রিত অতিথি ও ইসলামিক স্কলাররা অংশ নেন। এতে বক্তব্য রাখেন উডসাইডের আহলে বাইয়াত মসজিদের পেশ ইমাম ড. সাইয়্যেদ মুতাওয়াক্কিল বিল্লাহ রাব্বানী, ড. সাইয়্যেদ আনসারুল করিম আল আজহারী, মাওলানা অলিউল্লাহ আতিকুর রহমান।

কেরাত পাঠ করেন সাইয়্যেদ মুনতাজির বিল্লাহ রাব্বানী। গিয়াস আহমেদও ঈদে মিলাদুন্নবী সা. এর তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবীর দিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এঁর দুনিয়াতে আগমণের আনন্দ ও তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে উদযাপন করতে হবে। যিনি মানবজাতিকে পরিশোধন করেন এবং তাদের সর্বশেষ্ঠ গ্রন্থ কোরআন ও কাজের কথা শিক্ষা দেন তাকে স্মরণ করতে হবে মনের গহীন থেকে।

মনে রাখতে হবে, পৃথিবীতে সৃষ্টির সেরা মানব বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এঁর আগমণ দিবস মর্যাদাবান, গুরুত্ববহ এবং আনন্দের। আল্লাহ’র প্রতি ঈমান ও মানবতার পথপ্রদর্শনকারী মহানবীর ধরাপৃষ্ঠে আবির্ভাবের দিন সারা বিশ্বের জন্য রহমতস্বরুপ, আর এ দিন আমাদের জন্য আল্লাহ’র পক্ষ থেকে সবথেকে বড় উপহার বা এহসান। আল্লাহ তা’আলা তাঁকে দিয়েছেন মহিমান্বিত মর্যাদা। পৃথিবীতে মানুষ ইহজগত ও পরজগতের মুক্তির সন্ধান পায় এই দিনে। হযরত মুহম্মদ (সঃ) এঁর আবির্ভাব ছিল একটি আলোকিত বিস্ময়। মানবজাতি তাঁর আগমণে নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভসহ জগতের সমস্ত অন্যায়-অবিচার, কুসংস্কার, নিপীড়ণ-নির্যাতন এবং বৈষম্যের ঘোর অন্ধকার যুগ থেকে নিস্কৃতি লাভের সন্ধান পায়। সেজন্যই তিনি হয়েছেন মানবতার মুক্তির দিশারী।


ঈদে মিলাদুন্নবীর মাহফিলে গুরুত্বপূর্ণ অতিথির মধ্যে ছিলেন পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান, নবযুগ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন সাগর, ব্যবসায়ী আসেফ বারী টুটুল, তারেক হাসান খান, রাজনীতিবিদ কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম, রাজনীতিবি ফিরোজ আহমেদ, কমিউনিটি নেতা দুলাল বেহেদু প্রমুখ। সংবাদসুত্র নবযুগ