নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে প্রগতিশীল প্রার্থী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে। কুইন্সের প্রখ্যাত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নেতা ফাহাদ সোলায়মান, যিনি জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, সম্প্রতি মামদানির পক্ষে সমর্থন প্রত্যাহার করেছেন।
সোলায়মান অভিযোগ করেছেন, মামদানির যৌনকর্ম বৈধকরণের অবস্থান মানব পাচারকে উৎসাহিত করছে। তিনি বলেন, “যৌনকর্মকে বৈধতা দেওয়া মানে মানব পাচারকে বৈধতা দেওয়া।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “রুজভেল্ট অ্যাভিনিউতে সন্ধ্যার পর গেলে আপনি দেখবেন, সেখানে অনেক যৌনকর্মী দাঁড়িয়ে আছেন।” সমর্থন প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গে তিনি সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো’র পক্ষে সমর্থন প্রকাশ করেছেন। কুমো বর্তমানে স্বাধীন প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদিকে
মামদানি, যিনি একজন মুসলিম ও বর্তমানে নিউ ইয়র্ক ষ্টেট এসেম্বলীর সদস্য, যৌনকর্ম বৈধকরণের পক্ষে আইন প্রণয়নে সহায়তা করেছেন। তিনি বলেন, “এটি ন্যায়বিচারের বিষয়।” তবে তার এই অবস্থান নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে, যেখানে যৌনকর্মকে নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে দেখা হয়।
মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া: স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকেই এই অবস্থানকে অগ্রহণযোগ্য মনে করছেন। একাধিক ব্যবসায়ী এবং সমাজকর্মী জানিয়েছেন, তারা সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও নৈতিক মান বজায় রাখতে এমন ধরনের নীতিগত অবস্থানের বিরুদ্ধে। একই সময়ে, কিছু প্রগতিশীল ভোটার এই পদক্ষেপকে ব্যক্তির স্বাধীনতার অধিকার হিসেবে দেখছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষণ: অ্যান্ড্রু কুমো তার নির্বাচনী প্রচারণায় এই ইস্যুকে সামনে তুলে ধরেছেন, যদিও সাম্প্রতিক জরিপে মামদানি তার চেয়ে ২০ পয়েন্ট এগিয়ে আছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, ফাহাদ সোলায়মানের মতো নেতাদের অবস্থান পরিবর্তন নিউ ইয়র্ক সিটির মুসলিম সম্প্রদায়ের ভোটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
ভবিষ্যতের প্রভাব: নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে এই বিতর্ক মামদানির প্রচারণার গতিপথকে প্রভাবিত করতে পারে। বিশেষ করে, বাংলাদেশি এবং দক্ষিণ এশীয় কমিউনিটির মধ্যে সমর্থন ভাগ হয়ে যেতে পারে।
জ্যাকসন হা্ইটসে কুমো : এদিকে আসন্ন মেয়র নির্বাচনে ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রার্থী এন্ড্রু কমো গত ৩রা অক্টোবর শুক্রবার নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসবে জ্যাকসন হা্ডটসে আসেন। এসময় তাঁর সাথে ছিলেন ফাহাদ সোলায়মান, ডেমাক্রাটিক ডিষ্ট্রিক্ট লীডার ড. দিলীপ নাথ, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি ও বোর্ড অফ ট্রাষ্টির সাবেক চেয়ারম্যান এম আিজজ, জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মোহাম্দ পিয়ার, ইমাম কাজী কাইয়ুম প্রমুখ । তিনি ৭৩ ষ্ট্রীটে অবস্থিত মসজিদ আবু হুরায়রাতে জুমার নামাজের মুসল্লীদের সাথে সাক্ষাত করেন এবং সমবেত সকলের উদ্দেশ্য বক্তব্য রাখেন। সকল ছবি শাহ জে চৌধুরীর ফেসবুক পেজ থেকে