যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রভাবশালী সদস্য গ্রেস মেং সহ বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে মূলধারার রাজনীতিক ও কমিউনিটির ‘প্রবাস বন্ধু’ হিসেবে পরিচিত এটনী মঈন চৌধুরীর প্রথম বই ‘রোড টু আমেরিকা ইমিগ্রেশন হার্ডশিপ’ এর মোড়ক উন্মোচন হলো আন্দঘন পরিবেশে। এ উপলক্ষ্যে গত ২৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে এক অনুষ্ঠনের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসীদের জন্য মঈন চৌধুরীর বইটি একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। গ্রন্থটিতে বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধানের কথা লিপিবদ্ধ হয়েছে যা অনেক অভিবাসীর কাজে লাগবে। বক্তারা এটর্নী মঈন চৌধুরীর উদ্যোগের প্রশংসা করেন। উল্লেখ্য, এটর্নী মঈন চৌধুরী কুইন্স ডেমোক্র্যাটিক পার্টির লীডার এবং আমেরিকান বার এসোসিয়েশনের ডিরেক্টর।

ব্যতিক্রমী এই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে ইউএস কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং সহ আরো যারা বিশেষ অতিথি ছিলেন তারা হলেন নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স কাউন্টির জাস্টিস ক্যাসান্দ্রা এ জনসন, নিউইয়র্ক সিটি সুপ্রীম কোর্টের জাস্টিস কারম্যান ভেলেজকুইজ ও জজ স্যানেদ্রা মুনজ, কুইন্স ক্রিমিনাল কোর্টের ভারপ্রাপ্ত জাস্টিস এডউইন নাভিলো, ষ্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান ডেভিড ওয়েপ্রিন ও স্টিভেন রাগা, নিউইয়র্ক সিটি এসোসিয়েশন অব রিয়েলটর্স-এর বোর্ড অব ডাইরেক্টর রব চৌধুরী, সাবেক ষ্টেট এ্যাসেম্বলীম্যান মাইকেল ড্যানডেকার, এটর্নী মাইকেল তাউব ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকিত চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, সাপ্তাহিক প্রথম আলো সম্পাদক ইব্রাহীম চৌধুরী খোকন, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম, বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সোসাইটির সাবেক সাধারণ

সম্পাদক ফখরুল আলম, মদিনা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি এডভোকেট নাসির উদ্দিন, আকবর হায়দার কিরণ, হাসানুজ্জামান সাকী ও শাহ আহমেদ, নিউইয়র্কের অ্যাসেম্বলী ডিষ্ট্রিক্ট-৩৬ এর আগামী নির্বাচনে অ্যাসম্বলী মেম্বার পদপ্রার্থী মেরি জোবাইদা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাসানুজ্জামান হাসান, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট কাজী আজম, এডভোকেট আব্দুল ওয়াহিদ, এডভোকেট মাহবুবুর রহমান বকুল, মোহাম্মদ চিশতি সিপিএ, অভিনেতা তরিকুল ইসলাম মিঠু, মঈন চৌধুরীর পুত্র রোনাল চৌধুরী ও ভাতিজা সামিয়া চৌধুরী ও ইশাত চৌধুরী প্রমুখ। উপস্থাপনায় ছিলেন সোনিয়া সিরাজ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্লেজ অব এ্যালিগেন্স পাঠ এবং স্বাগত বক্তব্য রেখেছেন অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী। এসময় তিনি গ্রন্থটি লেখার পিছনের ইতিহাস, কারণ এবং প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।তিনি বলেছেন,এটি কোন কল্পকাহিনী নয়, আমার আইনি জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতাগুলো এই গ্রন্থের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।আমেরিকায় আসতে এবং এসে বাস্তব জীবনে

মানুষকে কতটা কষ্ট সহ্য করতে হয়- তা আমি গ্রন্থে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এতে প্রায় ৩৩টি বাস্তব কাহিনী রয়েছে, যা পড়ে পাঠকরা উপকৃত হবেন। এটি ইমিগ্র্যান্টদের জীবনের এক ধরনের দলিল হিসেবে ভবিষ্যতে চিত্রিত হবে। তিনি আরো জানান, এই গ্রন্থটির ইংলিশ ভার্শন অ্যামাজনে পাওয়া যাচ্ছে। বাংলায় অনুবাদ করে গ্রন্থটি ছাপানোর প্রক্রিয়া চলছে।

ইউএস সুপ্রিম কোর্টে প্রথম বাংলাদেশী আমেরিকান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত এটর্নী মঈন চৌধুরী উল্লেখ করেন, এর আগে আমি মিশিগান স্টেটে তালিকাভুক্ত হই আইনজীবী হিসেবে। ইমিগ্রেশন আইন, ব্যক্তিগত দুর্ঘটনা এবং অপরাধ আইনে দুই দশকেরও অধিক সময় আদালতে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি কম্যুনিটির নানা কর্মকান্ডেও জড়িত রয়েছি। ২০১৬ সাল থেকে কুইন্স কাউন্টি ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার এ্যাট লার্জ হিসেবে আমি সক্রিয় রয়েছি ইমিগ্র্যান্টদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার আইনী লড়াইয়ে।

এটর্নী হিসেবে দুই দশক প‚র্তির এই শুভক্ষণে মঈণ চৌধুরী তার অঙ্গিকারের পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, আমি দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে জানাতে চাই যে আজীবন আমি নিজেকে নিবেদিত রাখবো প্রতিটি ইমিগ্র্যান্টের ন্যায় বিচারের প্রত্যাশা প‚রণে এবং তাদের সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার জন্যে।

অনুষ্ঠানের অপর বক্তারা এটর্নী মঈন চৌধুরী বইটির বিষয়বস্তুর ভূয়সী প্রশংসা এবং যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের বাস্তব জীবনের সংগ্রাম ও আইনি জটিলতা তুলে ধরার ক্ষেত্রে বইটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল বলে মন্তব্য করেন। এছাড়াও বক্তারা কমিউনিটি সেবার মঈন চৌধুরীর অবদানের কথাও স্মরণ করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে এটর্নী মঈন চৌধুরী অতিথিদের নিয়ে তার ইংরেজী ভাষায় প্রকাশিত ‘রোড টু আমেরিকা ইমিগ্রেশন হার্ডশিপ’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন এবং সবশেষে কেক কাটেন। বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অ্যামাজন কর্তৃক প্রকাশিত ইংরেজী ভাষায় ১৪৮ পাতার বইটির মূল্য মাত্র ১১.৯৯ ডলার। খবর ইউএনএ’র। সকল ছবি পরিচয় এর নিজস্ব


