১৯ অক্টোবর রোববার দুপুরে ফ্রেশ মেডোর গুজরাটি সমাজ মিলনায়তনে সাউথ এশিয়ানস ফর কুওমোর আয়োজনে নিউ ইয়র্ক সিটির আগামী ৪ নভেম্বরের মেয়র নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক গভর্ণর এন্ড্রু কুমোর নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নির্বাচনী সভায় এন্ড্রু কুমো তাঁর অতীত অভিজ্ঞতা, মেয়র হিসেবে বিভিন্ন পরিকল্প্না ও বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া তুলে ধরেন। তিনি বলেন, নিউইয়র্ক সিটি বর্তমানে নানা সমস্যায় জর্জরিত। জননিরাপত্তা, শিক্ষা, বাসস্থান, মানসিক স্বাস্থ্যসহ সকল ক্ষেত্রেই নিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে, তাই আমি নির্বাচিত হলে আমার অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে সব বিষয়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনব। তিনি আরো বলেন, নিউইয়র্কের পাবলিক স্কুল ব্যবস্থা ঠিক করতে আমি মেয়রের নিয়ন্ত্রণ পুনর্বহাল করব। বিশেষ মেধাবী শিক্ষার্থীদের ‘গিফটেড আ্যান্ড ট্যালেন্টেড প্রোগ্রাম’ ও বিশেষায়িত (স্পেশালাইজড) হাই স্কুলের সংখ্যা দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। তিনি সাউথ এশিয়ানদের প্রতি তার নির্বাচনী ইসতেহার তুলে ধরে বলেন, শহরের অর্থনীতি ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় স্থিতিশীল নেতৃত্বের জন্যে আমাকে সমর্থন দিন। তিনি বলেন, আমি নির্বাচিত হলে নিউ ইয়র্ক সিটি প্রশাসনে সাউথ এশিয়ান ব্যক্তিবর্গ গুরুত্বপুর্ণ দায়িত্ব পাবেন, এর মধ্যে বাংলাদেশীরাও থাকবেন।

অনীল ভার্সার সভাপতিত্বে সভায় সাবেক গভর্ণর এন্ড্রু কুমো ছাড়াও বক্তব্য রাখেন ডেমোক্রেটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার ড. দিলীপ নাথ, কমিউনিটি বোর্ড সদস্য ফাহাদ সোলায়মান, হারিস প্যাটেল, ফয়সাল আজিজ, আমজাদ হোসেন সেলিম, মোঃ পারভেজসহ গুজরাটি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ।

ডেমোক্রেটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার ড. দিলীপ নাথ বলেন, অ্যান্ড্রু ক্যুমো মেয়র হলে নিউইয়র্কে আমরা নাগরিকদের জন্য একটি সভ্য ও সমৃদ্ধ শহর হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো।

কমিউনিটি বোর্ড সদস্য ফাহাদ সোলায়মান বলেন, জোহরান মামদানি চার বছর ধরে স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও নিজেকে মুসলমান হিসেবে কখনো তুলে ধরেননি, এখন কেবল ভোটের জন্য কমিউনিটিকে কাছে টানার চেষ্টা করছেন।

বক্তারা বলেন, নিউইয়র্ক সিটিতে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধরা সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করছে। ধর্মীয় এই স¤প্রীতির ধারা কোন ভাবেই ধংস হতে দেয়া যাবে না। জোহরান মামদানি তার বক্তব্যে ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টি করছেন। বক্তারা বলেন, জোহরান মামদানি নির্বাচিত হলে সমকামী ও পতিতা ব্যবসাকে সমর্থন করবেন, অথচ পবিত্র ইসলাম ধর্ম যা কোনক্রমেই অনুমোদন করে না। তাই নির্বাচনের সময় যতই এগিয়ে আসছে, ততোই জোহরান মামদানির প্রতি ধর্মপ্রাণ মুসলামানদের সমর্থন কমে আসছে।
