১১ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কমিউনিটি

ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে জমজমাট আয়োজনে বাংলাদেশ বেদান্ত সোসাইটি নিউইয়র্ক এর দুর্গোৎসব পালিত

ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে জমজমাট আয়োজনে বাংলাদেশ বেদান্ত সোসাইটি নিউইয়র্ক এর দুর্গোৎসব পালিত

ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে জমজমাট আয়োজনেবাংলাদেশ বেদান্ত সোসাইটি নিউইয়র্ক’র আয়োজনে দুর্গোৎসব পালিত হয়েছে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর শনিবার এবং শে হয়েছে ২৮ সেপ্টেম্বর রবিবার। জ্যামাইকার ফ্লোরাল পার্কের গোল্ডেন ইয়ার্স পার্টি হলে (২৫৮-২০ হিলসাইড এভেনিউ) দুইদিন ব্যাপি শারদ উৎসবে পূজা, আরতী, মহাপ্রসাদ ছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন বেদান্ত সোসাইটির সদস্য এবং শুভান‚ধ্যায়ীরা। রোববার এই পুজা মন্ডপে এসে সনাতনি হিন্দু ধর্মাবলম্বী সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন আসন্ন নির্বাচনে সিটি মেয়র প্রার্থী ও সাবেক নিউ ইয়র্ক ষ্টেট গভর্ণর এন্ড্রু কুমো। এ্যান্ড্রু ক্যুমোকে বেদান্ত সোসাইটির দুর্গোৎসবে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সেক্রেটারি রীনা সাহা।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে এন্ড্র কুমো বলেন, বাংলাদেশীরা নিউইয়র্ক সিটির খুবই গুরুত্বপুর্ণ একটি অংশ, এবং আমি আশা করছি তারাও আমার টিমে কাজ করবেন। একইসাথে আমি অত্যন্ত সম্মানীতবোধ করছি নির্বাচনে আমাকে ভোট দেয়ার অঙ্গিকার করার জন্যে।


শারদীয় দুর্গোৎসবে অতিথি হিসেবে যোগদানকালে এ্যান্ড্রু ক্যুমোকে বাঙালি হিন্দু স¤প্রদায়ের দ্ব্যর্থহীন সমর্থন দানের ঘোষণা দেন ডেমক্রাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার ড. দীলিপ নাথ। এ সময় প্রবাসী বাংলাদেশীদের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শরাফ সরকারসহ অনেকেই মেয়র পদে ক্যুমোকে সমর্থন দান করেন। ড দীলিপ নাথ বলেন, নিউইয়র্ক সিটিকে ধর্ম-বর্ণ-জাতি-গোষ্ঠি নির্বিশেষে সকল মানুষের নির্বিঘ্নে বসবাসের পরিবেশ অটুট রাখার স্বার্থেই ক্যুমোর মতো একজন নেতার প্রয়োজন।


এবারের পূজায় সংগীত পরিবেশন করবেন শান্তনু ভৌমিক, পায়েল সরকার, দেবারতি ভট্টাচার্য, বিন্দু কণা, স্বপ্নীল সজীব, শিবাণী রয় ঘোষ, উদীপ্ত প্রমুখ। নৃত্য পরিবেশন করেছে বাফার শিল্পীরা।


মন্দিরে আয়োজন করা হয়েছে প‚জা অর্চনা, অঞ্জলি, ধুনুচি নাচ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শারদ সুন্দরী প্রতিযোগিতা, সিঁদুর খেলা এবং মহাপ্রসাদ বিতরণ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ধূপ-ধুনো, ঢোল-করতাল আর উলুধ্বনিতে মুখরিত থাকে মন্দির প্রাঙ্গণ।


সাধারণ সম্পাদক রীনা সাহা জানান, দুর্গোৎসব শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং এটি যেন এক মিলনমেলা-যেখানে সবাই একত্রিত হয়ে আবহমান ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধারণ ও উপভোগ করেছেন।