১১ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কমিউনিটি

বাংলাদেশ অ্যাসেম্বলি অব ইউএসএর রিভার ক্রুজে প্রবাসীদের আনন্দ-উচ্ছ্বাস

বাংলাদেশ অ্যাসেম্বলি অব ইউএসএর রিভার ক্রুজে প্রবাসীদের আনন্দ-উচ্ছ্বাস

নিউইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অন্যতম সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসেম্বলি অব ইউএসএ। সংগঠনটির উদ্যোগে রিভার ক্রুজে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই ক্রুজে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, কমিউনিটির বিশিষ্টজনসহ প্রায় সারে চারশোর মত প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অংশ নেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর, রোববার ওয়াল্ড ফেয়ার মেরিনাতে থেকে যাএা শুরু হয় রিভার ক্রুজের।সকাল থেকে বিকেল অবধি বিভিন্ন আনন্দ আয়োজনে মেতে থাকেন অতিথিরা। রিভার ক্রুজে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,মুখরোচক খাবার। আরো ছিলো র‍্যাফেল ড্র যাতে ছিলো পাঁচটি সোনার গহনা সহ মোট দশটি আকষনীয় পুরষ্কার।

বাংলাদেশ অ্যাসেম্বলি অব ইউএসএ নানা সময়ে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কমিউনিটির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা ও দেশপ্রেম চর্চার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখেন আয়োজকরা। রিভার ক্রুজে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব জ্যমাইকা ফ্রেন্ড সোসাইটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার,সামসুদ্দিন আজাদ চট্টগ্রামে ইউনিভার্সিটি এলামনাাই এসোসিয়েশনের এডভাইজার ও মাহমুদ আহমেদ চট্টগ্রামে ইউনিভার্সিটি এলামনাাই এসোসিয়েশনের সভাপতি সহ আরো অনেকে। রিভার ক্রুজের শুরুতে বেলুন উড়িয়ে উদ্ভোদনে করেন বাংলাদেশ এসেম্বল অফ ইউএস পক্ষ থেকে ফকরুল ইসলাম মজনু (উপদেষ্টা)এবং সাথে ছিলেন সভাপতি শামীম হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইসলাম (কলিম)সহ সক্রিয় সদস্যগন। উদ্ভোদনে উপস্থিত বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব জ্যমাইকা ফ্রেন্ড সোসাইটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার বলেন, রিভার ক্রুজে এত মানুষের সমাগম একে আপরের মাঝে ভাতৃত্ব ও মেলবন্ধন তৈরী করবে,যা আগামী দিনে কমিনিটি গড়ার লক্ষ্যে পথ সুদীর্ঘ করবে। উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ অ্যাসেম্বলি অব ইউএসএর সভাপতি শামীম হাসান বলেন,আমরা চাই ঐক্যবদ্ধভাবে,ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রেখে আমাদের কমিউনিটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।

এত সুন্দর একটি আয়োজনে সহযোগিতা করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। ভবিষ্যতে আরো সুন্দর করে, আর বড় পরিসরে এমন আয়োজনের চেষ্টা থাকবে।

অ্যাসেম্বলি অব ইউএসএর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইসলাম কলিম বলেন, আমরা সুন্দর পরিবেশে এই আয়োজনের চেষ্টা করেছি। আমাদের যদি কোনো ভুলত্রুটি থাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমাদের উদ্দেশ্য হলো প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ রাখা, আনন্দ-বিনোদন, এবং বাঙালি সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে তাদের শেকড়কে আঁকড়ে ধরে রাখা। আয়োজনের আহ্বায়ক মোঃ আশিকুজ্জামান তপু বলেন,এমন আয়োজনের করতে পেরে আমরাও আনন্দিত,সহযোগিতার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান।

রিভার ক্রুজ অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন কামরুজ্জামান বকুল, নিপা জামান, রোকসানা মির্জা ,আলাস্কা, রায়হান, হুসনে আরা ও অর্ণব।যন্ত্র সঙ্গীতে ছিলেন হৃদ, রিপন, সামু, আকাশ। উপস্থাপনায় ছিলেন জলি আহমেদ ও শান্তুনু সাজ্জাদ। অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ছিলেন মোঃ আশিকুজ্জামান তপু, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান রফিক, সমন্বয়কারী মোঃ জয়নাল আবেদীন, সদস্য সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান, যুগ্ম সদস্য সচিব মিয়া ফয়েজ আহমেদ। সদস্য হিসেবে ছিলেন এ কে এম হক খোকন, মোঃ বেলায়েত হোসেন, মোঃ শাহাদাত হোসেন, মোঃ জাহিদুর রহমান, মোঃ শরিফুল ইসলাম, আল আমিন হাওলাদার, মোহাম্মদ জিসান আহমেদ, মোঃ মমিন হোসেন।

সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ফারুক হোসেন মজুমদার, ফখরুল ইসলাম মজনু, রবিউল আলম, ফারুক হোসেন পাটোয়ারী, শাহ মোয়াল্লেম হোসেন, মোঃ শফিকুল ইসলাম, মোঃ আতিকউল্লাহ, মোঃ কবির হোসেন ও সোহানুর রহমান সোহান। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল ঠিকানা ,ইউএসএ বাংলা,প্রথম আলো, পরিচয় ও সাউন্ড গিয়ার।ইভেন্ট ওরগ্যানাইজ করে জলি আহমেদ এর ইজ এস এ বাংলা মাল্টিসাভিস।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ এসেম্বলি অব ইউএসএ‘ কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়; বরং একটি অরাজনৈতিক, পেশাজীবী সংগঠন। যারা কাজ করে প্রবাসীদের কল্যাণে, উন্নয়নে। বাঙালির শেকড়কে আঁকড়ে ধরে ঐক্যবদ্ধ থাকে। ২০২৪ সালে নিউইয়র্কে যাত্রা শুরু করে ‘বাংলাদেশ এসেম্বলি অব ইউএসএ‘। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই এই সংগঠন প্রবাসে বসবাসরত বাঙালিদের স্বার্থ রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সেই সংগঠন ১ বছর পূর্ণ করেছে—একটি গৌরবময় অর্জন, একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। তবে এই দীর্ঘ যাত্রা কখনো সহজ ছিল না। নানা বাধা-বিপত্তি, চড়াই উতরায় পেরিয়ে আজ ‘বাংলাদেশ এসেম্বলি অব ইউএসএ‘।

শুধু একটাই লক্ষ্য ছিল প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বার্থরক্ষা। পেছনে ফিরে না তাকিয়ে সামনে এগিয়ে গেছে —একসাথে, একটি পরিবার হয়ে। এই প্রবাসীদের অনেক দূরে বাংলাদেশে রেখে আসা প্রিয়জনদের দেখা হয় না বহু বছর ধরে। সেই শূন্যতা থেকেই কিছু পরিশ্রমী, মেধাবী সংগঠক গড়ে তোলেন ‘বাংলাদেশ এসেম্বলি অব ইউএসএ‘ যা প্রবাসের মাটিতে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের একটি শক্তিশালী উদাহরণ। যার লক্ষ্য, সবার সঙ্গে সবার যোগাযোগ, সম্পর্কের গভীরতা বৃদ্ধি, সুখে দুঃখে হাত বাড়িয়ে দেওয়া, প্রিয় মাতৃভূমির শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং শিল্পকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা। জলি আহমেদ প্রেরিত