ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ব্যাপক অভিযান, দমনপীড়নের মুখেও যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নতুন এলাকায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বেশি বেশি ন্যাশনাল গার্ড সেনা ও মেরিন মোতায়েনে বাধ্য হচ্ছেন।
গত ১২ জুন বৃহস্পতিবার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মূলত শান্তিপূর্ণ ছিল। তবে কিছু স্থানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংঘর্ষ ঘটেছে। এর জেরে অনেক বিক্ষোভকারী গ্রেপ্তার হন। কাঁদানে গ্যাস ও রাসায়নিক ব্যবহার করে বিক্ষুব্ধ জনগণকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। অন্যদিকে ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, তারা কঠোর অবস্থান থেকে সরে দাঁড়াবেন না। তারা অভিযান ও দেশ থেকে অভিবাসীদের বিতাড়ন অব্যাহত রাখবেন। এ অবস্থায় আগামীকাল ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের পরিকল্পিত সামরিক কুচকাওয়াজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে আরও বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
গত ৬ জুন শুক্রবার নথিপত্রহীন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যাপক ধরপাকড়ের বিরুদ্ধে ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভ শুরু হয়। ক্রমে তা অন্য অঙ্গরাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার সিএনএন জানায়, লস অ্যাঞ্জেলেসে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টম এনফোর্সমেন্টের (আইসিই) অভিযান ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেনা মোতায়েনেও শান্তি ফেরেনি। নতুন করে নিউইয়র্ক, সিয়াটল, শিকাগো, অস্টিন, লাস ভেগাস, ওয়াশিংটন ডিসিসহ আরও কয়েকটি এলাকায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
এ অবস্থায় আরও ন্যাশনাল গার্ড সেনা ও মেরিন সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ৭০০ মেরিন প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। আগামী দু’দিনের মধ্যে তাদের লস অ্যাঞ্জেলেসে মোতায়েন করা হবে। এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসন ক্যালিফোর্নিয়ায় মেরিন ও ন্যাশনাল গার্ডকে কীভাবে ব্যবহার করতে পারে, তা নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার মামলার বিষয়ে ফেডারেল আপীল আদালত আদালতে ১৭ জুন পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসন মেরিন বাহিনী ও ন্যাশনাল গার্ড ব্যবহার করতে পারবে বলে রায় দিয়েছে।