১৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

গোপনে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা করছে ইউনুস সরকার বললেন জামায়াত

জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ পাঁচ দফা দাবিতে দেশের সাত বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে জামায়াত নেতারা বলেছেন, একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপে সংস্কার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ওই বিশেষ রাজনৈতিক শক্তির প্রভাবে মাথানত করছে সরকার। এর প্রতিবাদেই জামায়াতসহ সমমনা দলগুলো আন্দোলনে নেমেছে।

শুক্রবার ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহে এসব বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন। সমাবেশে অংশ নিয়ে নেতারা সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কারও ‘ফ্যাসিস্ট’ হয়ে ওঠার সুযোগ থাকবে না।

এর ভেতর রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘একদিকে জুলাই সনদ করবেন, অন্যদিকে গোপনে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা করবেন, এটি হতে দেওয়া হবে না। আমাদের নিরপেক্ষভাবে ডাকুন। আমাদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিন। তাহলেই আমরা আন্দোলন থেকে সরে আসব।’

গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ‘৩১টি দলের মধ্যে ২৫টি দল পিআর পদ্ধতির পক্ষে একমত হলেও বিএনপি এর বিরোধিতা করছে। কারণ পিআর পদ্ধতি চালু হলে কালো টাকার খেলা, মনোনয়ন বাণিজ্য ও পেশিশক্তির প্রদর্শন বন্ধ হবে।’

সিলেটের বন্দরবাজার এলাকায় আয়োজিত আরেক সমাবেশ থেকে দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকার জুলাই সনদ ঘোষণা করেছিল। কিন্তু এর চেতনা ধারণ না করে বিশেষ এক সম্প্রদায়ের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।’

আযাদ বলেন, ‘সংস্কার জামায়াতের এজেন্ডা নয়। এটি জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন। সংস্কার বাস্তবায়নে ব্যর্থতা মানে জুলাই সনদের চেতনাকে অস্বীকার করা। ‘বরিশালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে পিআর নিয়ে গণভোট আয়োজনের দাবি জানান নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। চট্টগ্রামে একই দাবির কথা বলেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।

সম্প্রতি জামায়াতসহ সাতটি দল প্রায় অভিন্ন দাবিতে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে। গতকাল ছিল কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর সব জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি রয়েছে দলগুলোর।

অন্য দলগুলো হলো—ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।

গতকাল বরিশালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আয়োজিত সমাবেশ থেকেও পিআর পদ্ধতিতে আগামী নির্বাচন আয়োজনের জোর দাবি জানানো হয়।