২০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কমিউনিটি

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদৎ বার্ষিকী পালন করেছে নিউইয়র্ক মহানগর (উত্তর) বিএনপি

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদৎ বার্ষিকী পালন করেছে নিউইয়র্ক মহানগর (উত্তর) বিএনপি

বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্‌ রাজনৈতিক দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদৎ বার্ষিকী পালন করেছে নিউইয়র্ক মহানগর (উত্তর) বিএনপি। ৩০ মে দিবসটি উপলক্ষে সংগঠনের উদ্যোগে স্মরণ সভা, দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণ করা হয়। সংগঠনের সভাপতি আহবাব চৌধুরী খোকনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বেবি নাজনিন, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান জিল্লু, বেগম খালেদা জিয়ার প্রাক্তন এপিএস ড. জিয়াউল ইসলাম মুন্না, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রাক্তন কোষাধ্যক্ষ জসিম ভুঁইয়া, যুবদলের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক আবু সাইদ আহমদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক সাইফুর খান হারুন, বিএনপি নেতা জাফর তালুকদার ও মস্তোফা কামাল পাশা মওদুদ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেবি নাজনিন বলেন, শহীদ জিয়া বাংলাদেশের একজন ক্ষণজন্মা মানুষ। তিনি ১৯৭১ সালে জীবনের ঝুকি নিয়ে যেমনি স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন, তেমনি ক্রান্তিলগ্নে দেশের হাল ধরে দেশকে অনেক উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ উন্নতির শিখরে আরোহণ করেছিল। অথচ ৮১ সালে দেশি বিদেশী ষডযন্ত্রে তাঁকে হত্যা করা হয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান ৩০ মে ‘জাতীয় শোক দিবস’ হিসেবে ঘোষণার দাবি জানান।

সভাপতির বক্তব্যে আহবাব চৌধুরী বলেন জিয়াউর রহমান এদেশের মানুষের হৃদয়ে খোদাই করা একটি নাম। এই নাম কখনো মুছা যাবে না। তিনি মাত্র সাড়ে চার বছর এদেশের ক্ষমতায় ছিলেন কিন্তু এই সাড়ে চার বছরে এতো জনহীতকর কাজ করে গেছেন যে বাংলাদেশের কোন সরকার কিংবা রাষ্টপ্রধান আজ অবদি তাঁকে অতিক্রম করতে পারেনি।আর তাই মৃত্যুর ৪৪ বছর পরে দেশবাসী তাঁকে মনে রেখেছে ।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিনিয়ার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার জাহিদ এবং সকলকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সিনিয়ার সহ সভাপতি কাজী আমিনুল ইসলাম স্বপন।

অনুষ্ঠানে মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা এবাদুর রহমান চৌধুরী। অনুষ্ঠান শেষে কয়েক শতাধিক লোকের মধ্যে তবারক বিতরণ করা হয়।