৪ঠা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আর্ন্তজাতিক

ফ্রান্সের ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতির সিদ্ধান্তের নিন্দা যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইলের

ফ্রান্সের ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতির সিদ্ধান্তের নিন্দা যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইলের

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার পরিকল্পনাকে ‘জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান’ করেছে ওয়াশিংটন।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাতে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের জন্য আসন্ন জাতিসঙ্ঘের সম্মেলনে যোগদান না করার ঘোষণা দিয়েছে।

রুবিও ২৪ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তায় ম্যাক্রোঁর ‘বেপরোয়া সিদ্ধান্তে’র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘এটি কেবল হামাসের প্রোপাগান্ডাকে আরো উসকে দেয় এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে পিছিয়ে দেয়।’

এর আগে, ম্যাক্রোঁ এক্সে এক বার্তায় বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতি বজায় রেখে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স। এই বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে আমি এই ঘোষণা দেব।’

জাতিসঙ্ঘের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে কমপক্ষে ১৪২টি দেশ বর্তমানে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে অথবা স্বীকৃতি দেয়ার পরিকল্পনা করছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং জার্মানিসহ বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী পশ্চিমা দেশ তা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য সদস্য নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড ও স্পেন মে মাসে ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কিন্তু ম্যাক্রোঁর এই সিদ্ধান্তের ফলে ইসরাইলের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র ও জি-৭ সদস্য ফ্রান্স ইউরোপের বৃহত্তম ও সম্ভবত সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেবে।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক্সে দেয়া এক বার্তায় এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘এ ধরনের পদক্ষেপ সন্ত্রাসকে পুরস্কৃত করে এবং আরেকটি ইরানি দোসর সৃষ্টির ঝুঁকি তৈরি করে। এই পরিস্থিতিতে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র ইসরাইলকে ধ্বংস করার জন্য একটি লঞ্চ প্যাড হবে, এর পাশে শান্তিতে বসবাস করার জন্য নয়।’

এদিকে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র দফতরের উপ-মুখপাত্র টমি পিগট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জাতিসঙ্ঘে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের বিষয়ে আসন্ন সম্মেলনে যোগ দেবে না। ফ্রান্স ও সৌদি আরবের যৌথ সভাপতিত্বে এবং ২৮ থেকে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই সম্মেলনে কয়েক দশক ধরে চলমান সংঘাতের অবসান এবং একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য একটি রূপরেখা খোঁজা হবে। – আল জাজিরা