মাদক চোরাচালান এবং আন্তর্জাতিক অপরাধী চক্রের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও পুরস্কার ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এবার গ্রেপ্তারে সহায়ক তথ্য প্রদানকারীদের জন্য পুরস্কার দ্বিগুণ করে ৫০ মিলিয়ন ডলার ঘোষণা করেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।
৭ আগষ্ট বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি এক ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন। এক্স (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট করা ওই ভিডিওতে তিনি অভিযোগ করেন, মাদুরো ত্রেন দে আরাগুয়া এবং সিনালোয়া কার্টেল–এর মতো কুখ্যাত অপরাধী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে মিলে কাজ করছেন।
ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভান গিল এই ঘোষণাকে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে হাস্যকর প্রচারণা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা যখন তার দেশ থেকে পরিচালিত সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রের প্রমাণ উন্মোচন করছি, তখন এই নারী (বন্ডি) ভেনেজুয়েলার পরাজিত কট্টর ডানপন্থীদের খুশি করতে একটি মিডিয়া সার্কাস চালু করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মাতৃভূমির মর্যাদা বিক্রির জন্য নয়। আমরা এই রূঢ় রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা অভিযানকে ঘৃণা করি।’
এ বিষয়ে ভেনেজুয়েলার তথ্য মন্ত্রণালয় এখনো কোনো মন্তব্য দেয়নি।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র মাদুরোর বিরুদ্ধে মাদক পাচারের অভিযোগ এনে ১৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। চলতি বছরের জানুয়ারিতে, তৃতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার সময় পুরস্কারটি বাড়িয়ে ২৫ মিলিয়ন ডলার করা হয় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র ত্রেন দে আরাগুয়া গ্যাংকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। একই সঙ্গে এমএস-১৩ এবং কয়েকটি মেক্সিকান কার্টেলকেও তালিকাভুক্ত করা হয়। গত মাসে কার্টেল দে লোস সোলেসকেও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘নিকোলাস মাদুরো গত এক দশকের বেশি সময় ধরে ‘কার্টেল দে লোস সোলেস’ এর নেতা, যারা যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল পরিমাণে মাদক পাচারের জন্য দায়ী।’