১৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আর্ন্তজাতিক

‘প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক হয়নি, বক্তব্য বিভ্রান্তিকর’- বিজিএমইএর বিবৃতি

‘প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক হয়নি, বক্তব্য বিভ্রান্তিকর’- বিজিএমইএর বিবৃতি

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে সরকারপ্রধানের বিশেষ সহকারী ও উপ-প্রেসসচিবের বক্তব্যকে ‘বিভ্রান্তিকর ও দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানায়, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এবং উপ-প্রেসসচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের কিছু বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, যা প্রকৃত পরিস্থিতিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান গত ৪ মাস ধরে পোশাক খাতের নীতিনির্ধারণ, প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ও চলমান সংকট নিয়ে সরাসরি আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একান্ত বৈঠকের অনুরোধ জানিয়ে আসছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত সে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি।

বিজিএমইএ জানায়, সরকারপক্ষ যে সভার কথা উল্লেখ করেছে, সেটি ছিল এলডিসি উত্তরণসংক্রান্ত একটি সাধারণ পর্যালোচনা সভা, যেখানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও অংশীজন উপস্থিত ছিলেন। সেটি কোনোভাবেই বিজিএমইএ বা পোশাক খাতের জন্য নির্ধারিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ছিল না। সংগঠনের বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘একটি সাধারণ সভায় উপস্থিত থাকা এবং শিল্পখাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ পাওয়া—এই দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘আমরা চার মাস ধরে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চেয়েও পাইনি। অথচ স্টারলিংকের কম্পানি স্পেসএক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট এলে তাঁর সঙ্গে দেখা করা হয়। যে কম্পানি ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চায়, অথচ ৪০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করার সময় পাওয়া যায় না।’

বিজিএমইএ জানিয়েছে, সভাপতি দেশের বৃহত্তম রপ্তানি খাতের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, কিন্তু সরকারি কর্মকর্তাদের বক্তব্য সেই মন্তব্যকে প্রেক্ষিতহীনভাবে তুলে ধরেছে, যা শিল্পখাতের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর।

সংগঠনটি আশা প্রকাশ করেছে যে, ভবিষ্যতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের কর্মকর্তারা দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানিমুখী খাত সম্পর্কে মন্তব্য করার সময় পেশাদারি ও দায়িত্বশীলতা বজায় রাখবেন।

বিজিএমইএ আশা করছে যে, রপ্তানি খাতের বর্তমান চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও নীতিগত বিষয়াদি নিয়ে আলোচনার জন্য শিগগিরই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।