২৮শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কমিউনিটি
নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সেমিনারে বক্তারা

প্রবাসীদের ভোটাধিকার সময়ের দাবী

প্রবাসীদের ভোটাধিকার সময়ের দাবী

নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের আয়োজিত ‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার’ শীর্ষক এক সেমিনার বক্তারা বলেছেন, একটি গণ বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে অন্তবর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় ঐক্য আর সংস্কারের মধ্যদিয়ে চলছে নতুন বাংলাদেশ গড়ার। স্বাধীনতার পর থেকে শুরু করে দেশ গড়ায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের অবদান কম নয়। প্রবাসী বাংলাদেশীরা এখন ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃত। তাই সময়ে হয়েছে প্রবাসীদের মূল্যায়নের। প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভোটাধিকার এখন সময়ের দাবী। তবে কিভাবে, কোন সহজ পদ্ধতিতে প্রবাসীদের ভোটাধিকার দেয়া যায় তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌছতে হবে। সেমিনারে কোন কোন বক্তা প্রবাসীদের সত্যিকারের সম্মান জানাতে জাতীয় সংসদের অন্তত ১০টি আসন ‘প্রবাসীদের জন্য সংরক্ষিত আসন’ প্রতিষ্ঠার দাবী জানান। সেমিনারে নিউইয়র্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, বাংলাদেশ সরকার প্রবাসীদের ভোটাধিকার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র সহ ৫টি দেশে কাজ চলছে।

সিটির জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি সেন্টারে শুক্রবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় আয়োজিত ব্যতিক্রমী এই সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং সভাপতিত্ব করেন ক্লাবের সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম এবং প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এবং বাংলা পত্রিকা’র সম্পাদক ও টাইম টেলিভিশনের সিইও আবু তাহের এর লিখিত মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত প্রফেসর সৈয়দ আহমেদ। এরপর সাম্প্রতিককালে দেশ ও বিদেশে নিহত সাংবাদিক এবং বাংলাদেশের গণ অভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরবর্তীতে বিশেষ দোয়া মুনাজাত করেন সাংবাদিক মোহাম্মদ জহিরুল হক বশির। সেমিনার পরিচালনা করেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মজুমদার। সেমিনারে নিউইয়র্কের বিভিন্ন মিডিয়ার সম্পাদক, সাংবাদিক এবং ক্লাব সদস্য ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন প্রেসক্লাবের অন্যতম উপদেষ্টা ও প্রবীণ সাংবাদিক মনজুর আহমদ, সাবেক এমপি ও সাপ্তাহিক ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এম শাহীন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এবং বাংলা পত্রিকা’র সম্পাদক ও টাইম টেলিভিশনের সিইও আবু তাহের, ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, সাপ্তাহিক জন্মভূমি সম্পাদক রতন তালুকদার, প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি শেখ সিরাজুল ইসলাম, সাবেক সহ সভাপতি মাহমুদ খান তাসের, প্রবীণ প্রবাসী নাসির খান পল, বিশিষ্ট অর্থনীতিবীদ অধ্যাপক ড. শওকত আলী, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম ও টাষ্ট্রি বোর্ড সদস্য আহসান হাবীব, মূলধারার রাজনীতিক এটর্নী মঈন চৌধুরী, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক গিয়াস আহমেদ, স্ট্যান্ডার্ডস এক্সপ্রেসের সিইও মোহাম্মদ মালেক, কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার এডভোকেট এন মজুমদার মাষ্টার অফ ল, বিশিষ্ট রাজনীতিক সামসুদ্দীন আজাদ ও আব্দুস সবুর, জাকির চৌধুরী সিপিএ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তোফায়েল চৌধুরী লিটন, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট সৈয়দ আল আমীন রাসেল ও দেলোয়ার হোসেন শিপন।

সেমিনারে পঠিত দীর্ঘ মূল প্রবন্ধটি রচনা করেন বাংলা পত্রিকা’র সম্পাদক ও টাইম টেলিভিশনের সিইও আবু তাহের। তাঁর অনুপস্থিতিতে বাংলা পত্রিকা ও টাইম টিভিতে কর্মরত সাংবাদিক সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রবন্ধটি পাঠ করেন। লিখিত প্রবন্ধে আবু তাহের উল্লেখ করেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে এলেই প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগের প্রশ্নটি সামনে আসে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে শুরু হয় বহুমাত্রিক আলোচনা। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। নির্বাচনের সময় প্রবাসীরা দেশে এলে ভোট দিতে পারেন, এটা সবারই জানা। প্রবাসীদের দাবি ছিল, প্রবাস থেকেই যেন জাতীয় নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। কিন্তু পূর্বাপর সরকারগুলো তাদের আশার ছলনে ভুলিয়ে রাখার কৌশল নিয়েছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রায় তিন দশক ধরে প্রবাসীদের ভোটাধিকার দেওয়ার পক্ষে জোরালো আওয়াজ তুললেও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি কোর রাজনৈতিক দল। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ভোটাধিকার কথাও তুলে ধরা হয়। প্রবন্ধের সবশেষে বলা হয়: বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায়। তারাই পারবেন প্রবাসীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে। তারা ক্ষমতায় এসেছেন একটি সফল গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যার সক্রিয় অংশীজন ছিল দেড় কোটি প্রবাসী। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পলিটিক্যাল কোনো ব্যাগেজ নেই। তাদেরকে তো অন্য কাউকে খুশি করতে হবে না। রাজনৈতিক দল বাইরে থাকতে যা বলে অনেক সময় ক্ষমতায় গিয়ে তা ভুলে যায়। আর এজন্যই তো দেড় কোটি প্রবাসীদের এই ন্যায্য দাবীকে মুলা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিলো বিগত ৫৪ বছর ধরে। সুতরাং আর দেরি নয়, প্রবাসীদের ভোটাধিকার দিতে হবে, নিশ্চিত করতে হবে ভোট প্রদান আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে। এটা বাংলাদেশের প্রায় এক দশমাংশ অর্থাৎ দেড় কোটি প্রবাসীদের প্রাণের দাবী।

সেমিনারের আলোচনায় অংশ নিয়ে নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ওয়াশিংটন ডিসি বাংলাদেশ দূতাবাস এবং নিউইয়র্ক ও ফ্লোরিডার কনস্যুলেটের মাধ্যমে ভোটার নিবন্ধ কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় ডিমান্ড পাঠানো হয়েছে। তবে প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে নানা জটিলতাও রয়েছে। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জন্ম নিবন্ধন আর বাংলাদেশের পাসপোর্ট থাকলেই প্রবাসীরা ভোট দিতে পারবেন। তবে কনসাল জেনারেলের এই বক্তব্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়।

প্রবীণ সাংবাদিক মনজুর আহমদ বলেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রসঙ্গে কনসাল জেনারেলের বক্তব্যে গোজামিল আছে। তার বক্তব্য স্পষ্ট নয়। দেশের জন্য প্রবাসীদের ভূমিকা কম নয়। তিনি সুসংহিত প্রবাসী নাগরিক অধিকার আইন করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি দাবী জানান।

এম এম শাহীন বলেন, এমপি থাকাকালীন সময়ে জাতীয় সংসদে প্রবাসীদের অধিকার নিয়ে কথা বলেছি। সোনালী এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠা, নিউইয়র্কে বিমান চালুতে আবদান রেখেছি। তিনি সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের মতো সংরক্ষিত অন্তত ১০টি প্রবাসী আসন প্রতিষ্ঠান দাবী জানান।

আবু তাহের বলেন, প্রবাসীদের ছোট করে দেখার কোন কারণ নেই। সময়ের দাবী প্রবাসীদের ভোটাধিকার। কনসাল জেনারেল বলেছেন বাংলাদেশ সরকার প্রবাসীদের ভোটাধিকার দেবে। তবে এই দাবী কিভাবে বাস্তবায়ন হবে সেটাই বিবেচনার বিষয়।

ডা. ওয়াজেদ এ খান তার আলোচনায় সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর এবং জাতীয় ঐক্যমত কমিশন সব বিভিন্ন মহলের সাথে তার বৈঠকের কথা উল্লেখ করে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কমিশন অনেক প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু সবার আগে আমাদের অধিকার সম্পর্কে জানতে হবে। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত সহ বিভিন্ন দেশের ভোটার প্রক্রিয়ার কথা তুলে ধরে বলেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার বাস্তবায়ন একটি জটিল প্রক্রিয়া হলেও সমাধান সম্ভব। তিনি বলেন সকল প্রবাসীর ভোটাধিকার নাগরিক অধিকার।

রতন তালুকদার বলেন, প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাটিয়ে দেশকে সমৃদ্ধ করছে। তাই ভোটাধিকার তো বটেই, সবচেয়ে বড় দরকার জাতীয় সংসদে প্রবাসীদের প্রতিনিধিত্ব। তিনি সংসদে সংরক্ষিত প্রবাসী আসন দাবী করেন।

শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশীদের এনআইডি থাকলেই তিনি ভোট দিতে পারবেন। প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহŸান জানান।

মাহমুদ খান তাসের বলেন, দেশে উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদান প্রশ্নাতীত। তাই প্রবাসীদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্ল করার কোন কারণ নেই। তিনি প্রবাসীদের যথাযথ সম্মান ও অধিকার নিশ্চিত করার দাবী জানান।

নাসির আলী খান পল বলেন, বাংলাদেশী-আমেরিকার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে দেশে ভোটাধিকার রাখি না। তবে বর্তমান সময়ে দেশে ভোটের চেয়ে ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা জরুরী বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ড. শওকত আলী বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকার প্রবাসীদের ভোটাধিকার দেয়নি। ড. ইউনূস সরকার প্রবাসীদের ভোটাধিকার দিচ্ছে। এজন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।

আতাউর রহমান সেলিম বলেন, আমাদের একটাই দাবী প্রবাসীদের ভোটাধিকার। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

আহসান হাবীব বলেন, বাংলাদেশ সরকার মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীদের একভাবে দেখে আর ইউরোপ-আমেরিকার প্রবাসীদের আরেকভাবে দেখে। তাই প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে প্রশ্নও রয়েছে। তিনি মুক্ত আলোচনা নয়, প্রকৃত অর্থেই সেমিনারের আদলে এমন গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে আলোচনা উপর গুরুত্বারোপ করেন।

এটর্নী মঈন চৌধুরী বলেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নতুন দাবী নয়, পুরনো দাবী। ভোটাধিকার গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হলে ভোটাধিকারও প্রতিষ্ঠা হবে না। তিনি প্রত্যক্ষ, অনলাইন, মেইলিং এবং দূতাবাসের মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহŸান জানান।

ফখরুল আলম বলেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে অনেক কথা, সভা-সমাবেশ, সেমিনার হয়েছে। ভোটাধিকার প্রক্রিয়া সহজ নয়, এ ব্যাপারে টেকনিক্যাল নানা সমস্যা রয়েছে। আগে এসব সমস্যা জানতে হবে এবং সমাধান করতে হবে। দাবী আদায়ের জন্য শক্তভাবে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে।

গিয়াস আহমেদ বলেন, আমরা ডুয়েল সিটিজেনশীপ ছাড়া দেশে ভোটাধিকার পাবো না। তিনি প্রবাসীদের এমপি হওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করার দাবী জানিয়ে বলেন, দেশে অনিয়মকারীদের দিয়ে নিয়ম/সংস্কার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। আমরা দেশের নাগরিক হিসেবে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি, তাই অধিকারও চাই।

মোহাম্মদ মালেক বলেন, প্রবাসীদের রেমিট্যান্সেই বাংলাদেশের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে। অথচ প্রবাসীরা মর্যাদা পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, দেশবাসীর চেয়ে প্রবাসীদের দেশপ্রেম বেশী। প্রতিটি প্রবাসীর হৃদয়ে এক একটি বাংলাদেশ। তিনি বলেন, প্রবাসীরা সজাগ থাকলে সরকারও প্রবাসীদের অধিকারের বিষয়ে সজাগ হবেন।

এডভোকেট এন মজুমদার বলেন, প্রবাসীদেও ভোটাধিকার নিয়ে প্রেসক্লাবরে উদ্যোগ সময়োপযুগী। এজন্য তিনি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।

সামসুদ্দীন আজাদ বলেন, দেশের জন্য প্রবাসীদের অবদান আর দেশপ্রেম প্রশ্নাতীত। তবে সরকার আদৌ প্রবাসীদের ভোধিকার দেবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তিনি বলেন, সরকার যদি দলমত নির্বিশেষে সকল প্রবাসীকে এনআইডি দেয় তাহলেই প্রবাসীরা ভোটাধিকার পাবেন।

আব্দুস সবুর বলেন, আমরা প্রবাসীদের অধিকার চাই, সুযোগ-সুবিধা চাই।

জাকির চৌধুরী সিপিএ বলেন, আমরা রেমিট্যান্স যোদ্ধা। ভোটাধিকার আমাদের অধিকার।

তোফায়েল চৌধুরী লিটন বলেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার না থাকলে আমাদেরও কোন সম্মান থাকবে না।

সৈয়দ আল আমীন রাসেল বলেন, আমরা প্রবাসীদের ভোটাধিকার চাই। তবে দেশের প্রেক্ষাপটে আইনী জটিলতা রয়েছে। আগে এই জটিলতা দূর করতে হবে।

দেলোয়ার হোসেন শিপন বলেন, সহজে প্রবাসীদের ভোটাধিকার পাওয়া যাবে না। এজন্য কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। খবর ইউএনএ’র।