এক ব্যক্তি সারাজীবনে সর্বোচ্চ ১০ বছর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীপদে থাকতে পারবেন— এই মর্মে আইন সংশোধন করতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে প্রস্তাব দিয়েছে ইউনূস সরকার।
বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তিন দিন আগেই মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল বিএনপি। কিন্তু বৃহস্পতিবার অবস্থান বদলে ফেলল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জ়িয়ার বিএনপি। দলের তরফে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রিত্বের মেয়াদ সর্বোচ্চ ১০ বছর বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব ‘শর্তসাপেক্ষে’ মেনে নেওয়া যেতে পারে।
এক ব্যক্তি সারাজীবনে সর্বোচ্চ ১০ বছর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীপদে থাকতে পারবেন— এই মর্মে আইন সংশোধন করতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে। শুক্রবার কমিশনের ষষ্ঠ দিনের বৈঠকশেষে বিএনপি জানিয়েছে, এমন প্রস্তাবে তারা সায় দিতে পারে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী বা অন্য সাংবিধানিক পদগুলিতে নিয়োগের জন্য ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল’ (এনসিসি) বা ওই ধরনের কোনও কমিটি গঠনের বিধান নতুন সংবিধানে সংযুক্ত করা যাবে না।
গত রবিবার শুরু হওয়া জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে মোট ৩০টি রাজনৈতিক দল যোগ দিয়েছে। এর মধ্যে বিএনপি-সহ মোট তিনটি দল প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতিপদের নির্দিষ্ট মেয়াদ বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল। ওই তিন দলের প্রতিনিধিদের আপত্তিতেই এখনও ওই বিষয়টিতে ঐকমত্য হয়নি। পাশাপাশি, এনসিসি গঠন এবং সংবিধানের মূলনীতি প্রণয়নের বিষয়টিও ঝুলে রয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলি রিয়াজ় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’কে বলেন, ‘‘সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কমিটির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না-হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না।’’