ওরাকল কোম্পানীর ল্যারি এলিসনকে দ্বিতীয় স্থানে ঠেলে দিয়েছেন টেসলা কর্তা।মাত্র কয়েকঘণ্টার জন্য বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির শিরোপা হারিয়েছিলেন। তবে আবারও স্বমহিমায় ফিরলেন এলন মাস্ক। বুধবার রাতের দিকেই ফের জানা যায়, মাস্কের সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে। ল্যারি এলিসনকে দ্বিতীয় স্থানে ঠেলে দিয়েছেন টেসলা কর্তা। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালেও এইভাবে কয়েকঘণ্টার জন্য বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির শিরোপা মাস্কের হাতছাড়া হয়েছিল।
ব্লুমবার্গের সদ্যপ্রকাশিত রিপোর্ট সূত্রে জানা যায়, গত ১০ সেপ্টেম্বর বুধবার নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় সকালে ১০টা নাগাদই সম্পত্তির নিরিখে মাস্ককে টপকে গিয়েছেন ল্যারি। ব্লুমবার্গ সূত্রে খবর, বর্তমানে মাস্কের সম্পত্তির মোট পরিমাণ ৩৮৫ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু ল্যারির সম্পত্তি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯৩ বিলিয়ন ডলারে। ১০ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালেই ল্যারির ওরাকল কোস্পানীর শেয়ারের মুল্যমান অন্তত ৪০ শতাংশ বেড়ে যায়। তার কারণ, ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবারই ওরাক্যলের তরফ থেকে জানানো হয়, আগামী দিনে আশাতীত উন্নতি করতে চলেছে সংস্থাটি।
তবে কয়েকঘণ্টার মধ্যেই লাফিয়ে বৃদ্ধি পায় মাস্কের সম্পদের পরিমাণ। সকালে ওরাক্যলের শেয়ার বেশ কিছুটা বাড়লেও বেলার দিকে বৃদ্ধির হার অনেকটা কমে যায়। সেই সুযোগেই হারানো জমি ফিরে পান মাস্ক। বুধবার দিনের শেষে দেখা যায়, মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮৪ বিলিয়ন ডলারে। তার থেকে এলিসনের সম্পত্তির পরিমাণ ১ বিলিয়ন ডলার কম। অর্থাৎ কয়েকঘণ্টার মধ্যেই আবারও বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির তকমা ফিরে পেয়েছেন এক্স কর্তা।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের শেষদিকে টুইটার কেনার পর থেকেই মাস্কের শেয়ারের পরিমাণ নিম্নমুখী। ডিসেম্বর মাসেই মাস্কের সংস্থা টেসলার শেয়ার প্রায় ৬৫ শতাংশ পড়ে যায়। তার জেরেই বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির জায়গা হারান মাস্ক। টেসলার পরিবর্তে টুইটারের উন্নতি করতেই বেশি মন দিচ্ছেন মাস্ক, এমনটাই ধারণা তৈরি হয় লগ্নিকারীদের একাংশের মনে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই কারণেই লাগাতার কমছে টেসলার শেয়ার। তবে ২০২১ সালের পর থেকে সিংহভাগ সময়ই বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির শিরোপা থেকেছে মাস্কের মাথায়।