আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে পরমাণু হুমকির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির। তাঁর মন্তব্যে পর এবার পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের দেশ ঘোষণার দাবি জানিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া এল আমেরিকা থেকেই। মুনিরকে ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে তুলনা করে প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তা মাইকেন রুবিন জানালেন, আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে এই ধরনের হুমকি কোনওভাবেই সহ্য করা হবে না।
যুদ্ধবাজ মুনিরের হুঁশিয়ারির পালটা কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে এদিন মাইকেন রুবিন বলেন, “পরমাণু শক্তিধর পাকিস্তানকে আর কোনওভাবেই দায়িত্বশীল দেশ বলা যায় না। আসিম মুনিরের ভাষণ আমাদের ওসামা বিন লাদেনের কথা মনে করিয়ে দেয়। পাকিস্তানকে ন্যাটো বহির্ভূত সহযোগীর তালিকা থেকে সরিয়ে সরকার সমর্থিত সন্ত্রাসের তালিকায় ঢোকানো উচিৎ।” যার অর্থ সরাসরি পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের দেশ হিসেবে ঘোষণার দাবি জানালেন রুবিন। প্রাক্তন ওই মার্কিন আধিকারিকের কথায়, ”পাকিস্তান সেই দেশ যারা সন্ত্রাসবাদকে মদত যোগায়। ফলে এই দেশটিকে আমেরিকার সেন্ট্রাল কমান্ডের সদস্য তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া ভীষণ প্রয়োজন।”
এখানেই থামেননি প্রাক্তন ওই পেন্টাগণ কর্তা। মুনিরকে আমেরিকা থেকে দূর করে দেওয়ার দাবি তুলে তিনি বলেন, “মুনিরের মন্তব্যের পর এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের তরফে এই বিষয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। যতদিন না তারা মুনিরের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিচ্ছে ও ক্ষমা চাইছে ততদিন আমেরিকায় পাক আধিকারিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হোক। ওদের ভিসা বাতিল করে অবাঞ্ছিত ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করা হোক।”
উল্লেখ্য, গত রবিবার (১০ আগষ্ট) ফ্লোরিডার ট্যাম্পায় শিল্পপতি আদনান আসাদের নৈশভোজে গিয়ে পাক সেনাপ্রধান বলেন, ‘‘আমরা পরমাণু শক্তিধর দেশ। যদি মনে হয় আমরা ধ্বংসের পথে এগোচ্ছি, তবে অর্ধেক বিশ্বকে সঙ্গে নিয়ে আমরা ধ্বংস হব।’’ ভারতের নাম না করলেও এই হুঁশিয়ারি ভারতকেই দিয়েছেন মুনির, এমনটাই মত বিশ্লেষকদের। পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই একাধিকবার পরমাণু যুদ্ধের হুঙ্কার দিয়েছেন পাকিস্তানের একাধিক নেতা। তবে এই প্রথম আমেরিকার মাটি থেকে তৃতীয় কোনও দেশের বিরুদ্ধে পরমাণু হামলার হুমকি দেওয়া হল। মুনিরের এই মন্তব্যের পালটা নয়াদিল্লি জানায়, পড়শি দেশের এমন বার্তা কেবল ভারত নয়, গোটা বিশ্বের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেবে। পাকিস্তানের হাতে পরমাণু অস্ত্র থাকা নিয়েও উদ্বেগ বাড়বে এই মন্তব্যের ফলে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি আধিকারিকের মতে, গোটা পৃথিবীর দেখা উচিৎ পাকিস্তান কীভাবে সারা দুনিয়ার শান্তি বিঘ্নিত করতে চাইছে।