১৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ভারত ও ইসরায়েলের মধ্যে বৃহৎ প্রতিরক্ষা চুক্তির সমঝোতা স্মারক সই

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, “ভারত–ইসরায়েল প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব বহুদিনের, যা গড়ে উঠেছে পারস্পরিক আস্থা ও অভিন্ন নিরাপত্তা স্বার্থের ভিত্তিতে।”

গতকাল মঙ্গলবার বড় একটি প্রতিরক্ষা চুক্তির পথে এগিয়েছে ভারত ও ইসরায়েল। যার আওতায়, উভয় দেশ উন্নত সামরিক প্রযুক্তি বিনিময়, অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের যৌথ উন্নয়ন ও উৎপাদনকে আরও গতিশীল করতে পারবে। দুই দেশের মধ্যে ইতোমধ্যেই বিদ্যমান দৃঢ় কৌশলগত সম্পর্ককে এই চুক্তি আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

চুক্তির প্রাথমিক ধাপ হিসেবে প্রথমে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করা হয়। ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে ভারত–ইসরায়েল জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের পর এই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, এই সমঝোতা স্মারক দুই দেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে “আরও গভীর করবে ও নীতিগতভাবে সমন্বিত দিকনির্দেশনা” দেবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, “ভারত–ইসরায়েল প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব বহুদিনের, যা গড়ে উঠেছে পারস্পরিক আস্থা ও অভিন্ন নিরাপত্তা স্বার্থের ভিত্তিতে।” মন্ত্রণালয় আরও জানায়, এই সমঝোতা স্মারকে বিস্তৃত পরিসরের সহযোগিতা ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে, যা থেকে উভয় দেশই উপকৃত হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ” সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে— অভিন্ন কৌশলগত সংলাপ, প্রশিক্ষণ, প্রতিরক্ষা শিল্পে সহযোগিতা, এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, গবেষণা ও উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা।” এটি কার্যকর হলে দুই দেশ উন্নত প্রযুক্তি বিনিময়, যৌথভাবে নতুন প্রতিরক্ষা পণ্য উদ্ভাবন ও উৎপাদনের সুযোগ পাবে।

মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে চলমান প্রতিরক্ষা সহযোগিতা উদ্যোগগুলো পর্যালোচনা করা হয়। ভারত ও ইসরায়েলের একে-অপরের শক্তি ও অভিজ্ঞতা থেকে লাভবান হয়েছে বলে বৈঠকে উভয়পক্ষের প্রতিনিধিরা স্বীকার করেছেন। বৈঠকে ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এছাড়া, উভয়পক্ষ সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার অভিন্ন চ্যালেঞ্জগুলো নিয়েও বিশদ আলোচনা করেছে, এবং একসঙ্গে এই হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।