৪ঠা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আর্ন্তজাতিক
না খেয়ে আছে গাজার এক-তৃতীয়াংশ মানুষ

ইসরায়েলের উচিত গাজায় সামরিক অভিযান আরও জোরদার করা – ট্রাম্প

ইসরায়েলের উচিত গাজায় সামরিক অভিযান আরও জোরদার করা – ট্রাম্প

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। হামাস মার্কিন-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কঠোর পদক্ষেপের আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের উচিত গাজায় সামরিক অভিযান আরও জোরদার করা।

স্কটল্যান্ড সফরের আগে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, হামাসের শান্তি চুক্তিতে আগ্রহ নেই। তারা যুদ্ধ চায়। আমার মনে হয়, তারা মরতে চায়। এটা খুবই খারাপ অবস্থা। এখন ইসরায়েলকে এই সংঘাত শেষ করতে হবে।

ট্রাম্পের এই বক্তব্য এসেছে এমন সময়, যখন মার্কিন শান্তি দূত স্টিভেন উইটকফ মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিয়ে আলোচনা স্থগিত করেছেন। গাজায় বন্দি শেষ মার্কিন-ইসরায়েলি নাগরিক এডান আলেকজান্ডারের মুক্তির আলোচনায় জড়িত ট্রাম্প বলেছেন, হামাস চুক্তি করতে অনিচ্ছুক। তিনি দাবি করেন, হামাস সহিংসতা চালিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ট্রাম্প আরও বলেন, আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছি। হামাস জানে, বন্দিদের হস্তান্তর করলে তাদের কী হবে। এ কারণেই তারা চুক্তি থেকে পিছিয়ে আছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসের শাসন শেষ করতে এবং বন্দিদের মুক্ত করতে বিকল্প পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। মার্কিন দূত উইটকফের সঙ্গে একমত হয়ে তিনি বলেন, আলোচনা ব্যর্থতার দায় হামাসের।

অন্যদিকে, হামাসের শীর্ষ নেতা বাসেম নাইম দাবি করেন, আলোচনা গঠনমূলক ছিল, কিন্তু উইটকফের মন্তব্য চাপ সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, ইসরায়েল যদি সত্যিই শান্তি চায়, তাহলে সমাধান সম্ভব।

মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিশর জানিয়েছে, আলোচনায় কিছু অগ্রগতি হয়েছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতা চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

এদিকে, গাজায় তীব্র মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো সতর্ক করে বলেছে, ২২ লাখ বাসিন্দার খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহ প্রায় শেষ। ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় অপুষ্টি ও অনাহারে আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ খাবার প্রায় শেষ। তারা ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করছে। তবে ইসরায়েল বলছে, তারা পর্যাপ্ত সহায়তা দিচ্ছে এবং সরবরাহে বাধা দেয়নি।

গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা চেয়েছে। তারা বলেছে, অবরোধ তুলে নেওয়া না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।