৪ঠা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ভেঙে ফেলা হলো ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’, হবে জুলাই স্মরণে ‘গণমিনার’

২০২৩ সালে ১০ নভেম্বর ঢাকার বিজয় সরণিতে “মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ” নামে একটি চত্বর উদ্বোধন করেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে স্থান পায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের “মৃত্যুঞ্জয়” নামে একটি ভাস্কর্য এবং বাঙালির বিভিন্ন সংগ্রামী অধ্যায়ের ম্যুরাল।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন (৫ আগস্ট) ভেঙে ফেলা হয় সেই ভাস্কর্য। এবার সেই ভাস্কর্যকে ঘিরে থাকা ম্যুরাল সম্বলিত সাতটি দেয়ালও ভেঙে ফেলেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।২৭ জুন শুক্রবার সকাল থেকে এই “মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ” ভাঙার কাজ শুরু হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, “মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ” নামে এই ম্যুরালের জায়গায় নতুনভাবে “জুলাই শহিদদের” স্মরণে একটি “গণমিনার” নির্মাণ করা হবে। মূলত জুলাই অভ্যুত্থানে সংঘটিত গণপ্রতিরোধ ও আত্মত্যাগের স্মৃতিকে অম্লান করে রাখতে “মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ” এর জায়গায় “গণমিনার” নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় “গণমিনার বাস্তবায়ন কমিটি”। এ বিষয়ে গত ২০ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ওই সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম বলেন, “জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহিদ হয়েছেন ১,৪০০ মানুষ, আহত হয়েছেন হাজার হাজার। তাদের স্মরণেই নির্মিত হবে “গণমিনার”। আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে এর একটি দৃশ্যমান রূপ দিতে চায় কমিটি।

গণমিনার বাস্তবায়ন কমিটির আরেক সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক খোরশেদ আলম। তিনি শুক্রবার এ বিষয়ে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, “আমাদের পরিকল্পনায় পুরো বিজয় সরণিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি কয়েক ধাপে সম্পন্ন হবে।”

এদিকে, গত ২৫ জুন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সপ্তম কর্পোরেশন সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, “মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ”-এ জুলাই শহিদদের স্মরণে একটি ভাস্কর্য নির্মাণ এবং একটি উন্মুক্ত স্থান তৈরি করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা জোবায়ের হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, “সপ্তম কর্পোরেশন সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে একটি কনসেপ্ট তৈরি করা হয়েছে, তার ওপর কাজ চলছে। আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে বিস্তারিত জানানো হবে।”