২৭শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আর্ন্তজাতিক

পাকিস্তানে ক্ষমতা দখলের পথে সেনাবাহিনী? দেশজোড়া জল্পনায় অবশেষে মুখ খুললেন মুনির, এল আমেরিকা-চিন প্রসঙ্গও

পাকিস্তানে ক্ষমতা দখলের পথে সেনাবাহিনী? দেশজোড়া জল্পনায় অবশেষে মুখ খুললেন মুনির, এল আমেরিকা-চিন প্রসঙ্গও

পাকিস্তানে ক্ষমতা দখলের পথে সেনাবাহিনী? দেশজোড়া জল্পনায় অবশেষে মুখ খুললেন মুনির, এল আমেরিকা-চিন প্রসঙ্গওবেলজিয়ামে বসে পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সেনাপ্রধান আসিম মুনির। প্রেসিডেন্ট জ়ারদারির অপসারণ নিয়ে সম্প্রতি যে জল্পনা শুরু হয়েছে, তা নিয়ে মুখ খুলেছেন।

পাকিস্তানে কি ক্ষমতায় দখলের পথে সেনাবাহিনী? প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জ়ারদারিকে কি সরিয়ে দেওয়া হবে? সমস্ত ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়ে নেবেন সেনাপ্রধান তথা ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরই? নানা প্রশ্নে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জর্জরিত পাকিস্তানের রাজনীতি। অবশেষে তা নিয়ে মুখ খুললেন মুনির নিজে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ এবং পাকিস্তানের আর এক মন্ত্রী মহসিন নাকভি এই সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়েছিলেন। এ বার মুনিরও সেই পথে হাঁটলেন। জানিয়ে দিলেন, যে খবর ছড়িয়েছে, তা ভুয়ো। পাকিস্তানের ক্ষমতা দখল আদৌ তাঁর উদ্দেশ্য নয়।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও গোষ্ঠীর সিনিয়র প্রতিবেদক সুহেল ওয়ারাইচ সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। তাতে জানিয়েছেন, কিছু দিন আগে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেল্‌সে মুনিরের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিল। আমেরিকা সফর থেকে ফেরার পথে বেলজিয়ামে কিছু দিন ছিলেন মুনির। সেখানে পাক সেনাপ্রধানের একান্ত সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে সেখানে মুনির মুখ খুলেছেন বলে দাবি।

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর পদে কিছু পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে কি না, তা নিয়ে মুনিরকে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়েছিল। ওয়ারাইচ লিখেছেন, ‘‘ব্রাসেল্‌সের সভায় এবং আমার সঙ্গে দু’ঘণ্টার একান্ত সাক্ষাৎকারে মুনির একই কথা বলেছেন। এই মুহূর্তে রাজনীতিতে কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। যে গুজব ছড়িয়েছে, তা ভুয়ো।’’ মুনির আরও বলেছেন, ‘‘যাঁরা সরকার এবং কর্তৃপক্ষের বিরোধিতা করেন, যাঁরা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চান, তাঁরাই এই সমস্ত গুজব ছড়াচ্ছেন।’’ নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন পাক সেনাপ্রধান। বলেছেন, ‘‘আমাকে ঈশ্বর দেশের রক্ষক হিসাবে গড়েছেন। সেটা ছাড়া অন্য কোনও ক্ষমতা আমার চাই না।’’

পাকিস্তানের বিদেশনীতি, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে মুনিরকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। চিনের সঙ্গে বরাবর ঘনিষ্ঠ ইসলামাবাদ। সম্প্রতি আমেরিকার সঙ্গেও তাদের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। দুই প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির সঙ্গে কী ভাবে মানিয়ে চলবে পাক সরকার? মুনির বলেছেন, ‘‘একটা বন্ধুর জন্য আমরা কখনও অন্য বন্ধুকে বলি দেব না।’’ আমেরিকার প্রেসি়ডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা আরও এক বার শোনা গিয়েছে মুনিরের মুখে। জানিয়েছেন, নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করবেন তিনি।

গত দু’মাসে দু’বার আমেরিকা সফরে গিয়েছেন মুনির। দ্বিতীয় বারের সফরে আমেরিকা থেকেই ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। নিজেদের পরমাণু শক্তি জাহির করে জানিয়েছেন, অর্ধেক বিশ্বকে নিয়ে ধ্বংস হওয়ার ক্ষমতা রাখে পাকিস্তান। সিন্ধুর জল আটকালে ভারতের উপর ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হবে, দাবি মুনিরের। তাঁর এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে কঠোর বিবৃতি দিয়েছে নয়াদিল্লিও।