৪ঠা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আর্ন্তজাতিক

বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া ১০ হাজার হিন্দু পরিবারকে জমি দিচ্ছে উত্তর প্রদেশ সরকার

বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া ১০ হাজার হিন্দু পরিবারকে জমি দিচ্ছে উত্তর প্রদেশ সরকার

১৯৬০ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া প্রায় ১০ হাজার হিন্দু পরিবারকে জমির মালিকানা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথ। এসব পরিবার যাতে সম্মানের সঙ্গে বসবাস করতে পারেন তেমন জীবন উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। খবর ‘সংবাদ প্রতিদিন’, ‘দ্য ইকোনমিক টাইমস’সহ ভারতীয় গণামাধ্যমগুলোর।

গত সোমবার উত্তরপ্রদেশে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকের পরই ঘোষণা আসে, একসময়ের পূর্ব পাকিস্তান তথা বর্তমান বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া উদ্বাস্তুদের আর ‘অনুপ্রবেশকারী’ কিংবা ‘অনাগরিক’ তকমা দেবে না উত্তর প্রদেশ সরকার। তাদের দেওয়া হবে জমি ও বাড়ির অধিকার। পাবেন দলিল-পাট্টা।

যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে আসা বাঙালিদের সম্মানের জীবন উপহার দেওয়া হবে। এতদিন এই কাজটি করা যায়নি। এবার সেই ভুল সংশোধন করা হবে।… এটি সামাজিক ন্যায়বিচার, মানবতা এবং জাতীয় দায়িত্বের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত।’ এমনকি যদি তাদের বসতি তৈরি করার জন্য প্রাথমিকভাবে জমি না থাকে, তিনি ওই পরিবারগুলির জন্য বিকল্প প্লটের ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেন।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৬০ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের রামপুর, বিজনৌর, লখিমপুর খেড়ি, পিলভিটের মতো জেলাগুলোতে। প্রাথমিকভাবে তাদের ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখার পর কৃষি জমি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ১০ হাজারের বেশি পরিবার এখনো জমির আইনি মালিকানা পায়নি।

এদিকে, ১৯৫০ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে যে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা উত্তরপ্রদেশে বসতি গড়েছেন, তাদের ভবিষ্যৎ নিয়েও তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। এছাড়া যোগী আদিত্যনাথের এই সিদ্ধান্তের ফলে ১৯৭৫ সালের পর থেকে যারা উত্তরপ্রদেশের বাঙালি বাসিন্দা হয়েছেন, তাদের ছেঁটে ফেলার কাজও সহজ হবে উত্তর প্রদেশ প্রশাসনের পক্ষে।

উত্তর প্রদেশ সরকারের এমন সিদ্ধান্তে উঠেছে নানা প্রশ্নও। যেখানে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলা বললেই ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে অত্যাচার করা হয়, সেখানে যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশের সরকার এমন সিদ্ধান্ত কেন নিলেন, সেটি নিয়ে চলছে জোরদার চর্চা।