শরীর সুস্থ রাখতে ফলের জুড়ি নেই। এ কারণে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অন্তত একটি করে হলেও ফল রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি কিছু কিছু ফল শরীরের মেদ ঝরাতেও বেশ উপকারী। যারা ওজন কমাতে চাইছেন তারা এসব ফল খেতে পারেন। যেমন-
আঙুর : ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে আঙুরের জুড়ি নেই। এতে ক্যালোরির পরিমাণ কম, তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। আঙুরের গ্লাইসেমিক সূচকও অনেক কম। তাই স্বাদে মিষ্টি হলেও এ ফল খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়ার আশঙ্কা নেই। গবেষণায় দেখা গেছে, আঙুরের রস পান করায় শরীরে ক্যালোরির পরিমাণ কমেছে। সেই সঙ্গে ওজনও কমেছে। এমনকী কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকছে এই রস পানে।
কখন খাবেন: সকালের নাশতা খাওয়ার ২০ মিনিট আগে বা দুপুরে খাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে আঙুরের রস খেতে হবে।
আপেল : এই ফলে ক্যালোরির মাত্রা কম তবে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার থাকায় ওজন কমাতে সাহায্য করে। একটি মাঝারি মাপের একটি আপেল থেকে ১১৬ ক্যালোরি মেলে ও ৪.৪ গ্রাম ফাইবার পাওয়া যায়। মেদ ঝরাতে চাইলে খাদ্যতালিকায় বেশি পরিমাণে ফাইবার রাখতে হবে।
কখন খাবেন: সকালের নাশতার সময় অথবা শরীরচর্চার আগে আপেল খেতে হবে।
পেঁপে : পেঁপেতে ফ্যাট প্রায় নেই বললেই চলে। এতে থাকা এনজাইম হজমে সাহায্য করে। ওজন কমানোর জন্য সঠিক ভাবে হজম হওয়াটা জরুরি। নিয়মিত পেঁপে খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। সেই সঙ্গে ওজনও দ্রুত কমবে।
কখন খাবেন: দুপুরের আগে বা সন্ধ্যার স্ন্যাকস হিসেবে পেঁপে খেতে পারেন।
তরমুজ : তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। এ ছাড়াও এতে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন সি ও এ ওজন কমাতে খুব কার্যকর। প্রতি দিন তরমুজ খেলে দ্রুত মেদ ঝরবে । সেই সঙ্গে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
কখন খাবেন: দুপুরে খাওয়ার পরে খেলে ভালো, চাইলে সন্ধ্যার সময়েও খেতে পারেন। তবে খালি পেটে খাওয়া ঠিক নয়।
পেয়ারা : পেয়ারায় উচ্চ পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে পেয়ারা খুবই উপকারী। এর গ্লাইসেমিক রেট কম হওয়ায় ওজন কমাতেও সাহায্য করে। একটি মাঝারি মাপের পেয়ারায় ৩৭ ক্যালোরি থাকে। এই ফলে কোনো কোলেস্টেরল থাকে না। তাই ওজন কমাতে নিশ্চিন্তে খাদ্যতালিকায় এই ফল রাখতে পারেন।