মজুরি, পেনশন বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যসেবার জোরদারসহ বেশ কিছু দাবিতে মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে নেমেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বন্দরে হাজার হাজার ডক শ্রমিক। প্রায় ৫০ বছরের মধ্যে এই প্রথম বন্দরের কার্যক্রম এভাবে বন্ধ হল।
মনে করা হচ্ছে, আসন্ন নির্বাচনের প্রাক্কালে এই ধর্মঘটের ফলে মুদ্রাস্ফীতি আবার বাড়তে পারে। কয়েক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এটি চলতে থাকলে পণ্যের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
মঙ্গলবার (১লা অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে জার্মান বার্তা সংস্থা ডয়চে ভেলে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দর এবং আন্তর্জাতিক লংশোরম্যান অ্যাসোসিয়েশনের প্রায় ৪৫ হাজার সদস্যের মধ্যকার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। সোমবার আলোচনায় অগ্রগতির খবর পাওয়া গেলেও মঙ্গলবার থেকে শ্রমিকরা ধর্মঘট কর্মসূচি পালন শুরু করে। ৩৬টি বন্দরে এই ধর্মঘট ১৯৭৭ সালের পর ইউনিয়নের প্রথম ধর্মঘট।
শ্রমিকরা ধর্মঘট বিষয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম আইনের একটি বিবৃতি দেখিয়ে বলেছে, নিয়োগকর্তারা তাদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করেছে।
জানা গেছে, আগের চুক্তির অধীনে, একজন শ্রমিকের অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে প্রারম্ভিক মজুরি ঘন্টা প্রতি ২০ ডলার থেকে ৩৯ ডলার পর্যন্ত ছিল। শ্রমিকরা অন্যান্য সুবিধাও পান, যেমন কন্টেইনার বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত বোনাস।
তবে শ্রমিক ইউনিয়ন টানা ৬ বছর ধরে প্রতি বছরেই ঘণ্টাপ্রতি ৫ ডলার বাড়তি মজুরি দাবি করছে বলে জানিয়েছেন ড্যাগেট। আবার প্রারম্ভিক বেতনও ৩৯ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৬৯ ডলার করার দাবি জানাচ্ছে ইউনিয়ন। এই হিসাবে শ্রমিকদের মজুরি ৭৭ শতাংশ বাড়ার কথা।
ইন্টারন্যাশনাল লংশোরমেনস অ্যাসোসিয়েশন (আইএলএ) বলছে, করোনা মহামারির সময় শ্রমিকদের বেতন এখনো পাওনা রয়েছে। মূল্যস্ফীতির কারণও মজুরিতে এর প্রভাব পড়েছে। এই পাওনা আদায়ে আরও বড় ধর্মঘট ডাকা হতে পারে বলে মার্কিন প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে।