জার্মানিতে গত রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দেশটি নতুন নেতা পেতে যাচ্ছে। অর্থনীতিতে মন্দা, সন্ত্রাসী হামলা, অভিবাসীসহ বেশ কিছু কারণে এই নির্বাচনকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এমনকি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা ইউরোপ; শুধু তা-ই নয়, যুক্তরাষ্ট্রও এই নির্বাচনের দিকে বিশেষ নজর রাখছে। খবর বিবিসি।
৬৯ বছর বয়সী ফ্রেডরিখ মার্জ জরিপে এগিয়ে রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনিই হবেন দেশটির পরবর্তী ভাইস চ্যান্সেলর; কিন্তু সরকারগঠনের জন্য তাকে হয়তো অন্য দলের ওপর নির্ভর করতে হবে। কেননা নির্বাচনী হাওয়া বলছে, কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। বিবিসির খবরে বলা হয়, মার্জের রক্ষণশীল দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক (সিডিইউ) যদি হয় তা হলে তাকে কমপক্ষে একটি দলের সঙ্গে জোট গঠন করতে হবে। সেক্ষেত্রে তিনি হয়তো ওলাফ শোলৎজের স্যোশাল ডেমোক্র্যাটিক দলের হাত ধরবেন।
প্রসঙ্গত, গত বছর শোলৎজের সরকার পতনের পর আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হয়। মার্জ বলেছেন, তিনি চ্যান্সেলর হলে আগামী চার বছরের মধ্যেই ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশটির বেশিরভাগ সংকটের সমাধান করবেন। কোনো অবস্থাতেই কট্টর ডানপন্থি অলটারনেটিভ ফর জার্মানির (এএফডি) সঙ্গে জোট করবেন না বলেও আশ্বস্ত করেছেন ৬৯ বছর বয়সী এ রাজনীতিক। শোলৎজের মধ্য-বামপন্থি দলকে পেছনে ফেলে ভোটে এবার অভিবাসনবিরোধী এএফডি দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসতে পারে বলে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন। এবার ৫ কোটি ৯২ লাখ জার্মান ভোট দেওয়ার যোগ্য হলেও অনেকে এরই মধ্যে ডাকযোগে তাদের রায় জানিয়ে দিয়েছেন। নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত ২০ শতাংশ ভোটার এখনও কাকে ভোট দেবেন তা ঠিক করে উঠতে পারেননি বলে একাধিক জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে।