২৬শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রে ছয় হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। তাদের বিরুদ্ধে আইন ভঙ্গ এবং ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবস্থান করাসহ আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগ করা হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) পররাষ্ট্র দফতরের একজন কর্মকর্তা এমন তথ্য জানান। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ফক্স ডিজিটালের প্রতিবেদনে প্রথম প্রকাশিত এই পদক্ষেপটি এসেছে, যখন ট্রাম্প প্রশাসন তার অভিবাসন দমন অভিযানের অংশ হিসেবে ছাত্র ভিসার প্রতি বিশেষভাবে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। সোশ্যাল মিডিয়া যাচাই-বাছাই কঠোর করেছে এবং স্ক্রিনিং সম্প্রসারণ করেছে।

এছাড়া এই বছর পররাষ্ট্র দফতরের নির্দেশনায় মার্কিন কূটনীতিকদের এমন যেকোনো আবেদনকারীর বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে যাদেরকে ওয়াশিংটন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন এবং যাদের রাজনৈতিক সক্রিয়তার ইতিহাস রয়েছে।

কর্মকর্তা আরও জানান, আইন ভঙ্গের কারণে প্রায় ৪,০০০ ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া মদ্যপান ও মাদক সেবন করে গাড়ি চালানো এবং চুরি করার অভিযোগও আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

সন্ত্রাসবাদের জন্য প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ ভিসা বাতিল করা হয়েছে বলে কর্মকর্তা বলেন, যে সকল শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে তারা কোন কোন গোষ্ঠীর সমর্থনে ছিল তা কর্মকর্তা বলেননি।

এদিকে, গাজা যুদ্ধের সময় ফিলিস্তিনি অধিকারের পক্ষে ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভের পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কয়েকটি শীর্ষ-স্তরের মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়েছেন।

অভিযোগ করেছেন যে তারা ইহুদি-বিদ্বেষের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। হার্ভার্ডের সাথে দ্বন্দ্বেও তহবিল বন্ধ করে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন।

এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, তিনি শত শত, সম্ভবত হাজার হাজার লোকের ভিসা বাতিল করেছেন, যাদের মধ্যে শিক্ষার্থীও রয়েছে। কারণ তারা এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন যা তিনি বলেছিলেন যে মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির অগ্রাধিকারের বিরুদ্ধে ছিল।

মার্কিন সামরিক গোয়েন্দা প্রধানকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প‍! ‘কোপে’ নৌসেনার দুই কর্তাও

মার্কিন সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা (ডিফেন্স ইনটেলিজেন্স এজেন্সি বা ডিআইএ) প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেফ্রি ক্রুজ়কে বরখাস্ত করল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার। সেই সঙ্গে নৌ এবং সেনার দুই প্রথম সারির কর্তাকেও শুক্রবার রাতে অপসারিত করা হয়েছে।

তবে কোনও সেনাকর্তাকে বরাখাস্তের কোনও কারণ জানায়নি হোয়াইট হাউস। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তিন সামরিক কর্তাকে ‘অব্যাহতি’ দেওয়া হয়েছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেফ্রির পাশাপাশি ট্রাম্পের ‘কোপে’ পড়েছেন নৌসেনার রিজার্ভ বাহিনীর প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল ন্যান্সি ল্যাকোর এবং ‘ন্যাভাল স্পেশাল ওয়ারফেয়ার কমান্ড’-এর প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মিল্টন স্যান্ডস। মিল্টন একদা মার্কিন ‘নেভি সিল’ কমান্ডো বাহিনীরও প্রধান ছিলেন।

হোয়াইট হাইসে ট্রাম্পের দ্বিতীয় বার প্রবেশের পর থেকেই ধারাবাহিক ভাবে পেন্টাগনের অন্দরে ‘অস্থিরতার’ আঁচ প্রকাশ্যে আসছে। বরখাস্ত হয়েছেন আমেরিকার সেনা সর্বাধিনায়ক (চেয়ারম্যান, ‘জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ’) জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউন জুনিয়র এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ)-র প্রধান জেনারেল টিমোথি হাফকের মতো শীর্ষ সামরিক কর্তা! এ বার কোপ পড়ল মার্কিন সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের উপর।

২১ জুন গভীর রাতে মার্কিন ‘স্টেল্‌থ’ বোমারু বিমান ‘বি-২ স্পিরিট’ ইরানের তিন পরমাণুকেন্দ্র— নাতান্‌জ়, ফোরডো এবং ইসফাহানে জিবিইউ-৫৭ (বাঙ্কার ব্লাস্টার সিরিজ়ের সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা) ফেলার পরে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তেহরানের পরমাণু অস্ত্র নির্মাণের পরিকাঠামো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি ডিআইএ প্রধান জেফ্রি একটি রিপোর্ট পেশ করে জানিয়েছিলেন, বাঙ্কার ব্লাস্টারের আঘাতে ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলির তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি! ঘটনাচক্রে, সেই রিপোর্ট পেশের এক মাসের মধ্যেই বরখাস্ত করা হল তাঁকে।