ইউক্রেন একদিন রাশিয়ার হতে পারে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তির পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে ট্রাম্প সোমবার ফক্স নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে এ কথা বলেন। চলতি সপ্তাহেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স। এর আগেই ট্রাম্পের এ মন্তব্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটেন ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স ও বিবিসির প্রতিবেদনে এতথ্য জানান হয়েছে।
প্রায় তিন বছর ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। ট্রাম্প একাধিকবার দাবি করেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট থাকলে এই যুদ্ধ হতোই না। কিন্তু যুদ্ধের তিন বছর পূর্তির মাত্র কয়েক দিন আগে ইউক্রেন নিয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন তিনি। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইউক্রেন হয়তো রাশিয়ার সঙ্গে কোনো সমঝোতা করতে পারে। আবার সেটা নাও হতে পারে। আবার এমনটাও হতে পারে, ইউক্রেন একদিন রাশিয়ার হয়ে গেল। ট্রাম্পের এমন মন্তব্য ঘিরেই চলছে জোর চর্চা। ঠিক কী বলতে চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, তার চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে ওয়াকিবহাল মহল।
চলতি সপ্তাহেই জেলেনস্কির সঙ্গে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের বৈঠক হতে চলেছে। বৈঠকের মাধ্যমে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের একটি গতি করতে চান ট্রাম্প। সমঝোতার পাশাপাশি নিজের লাভের কথাও তুলে ধরে তিনি বলেন, ইউক্রেনকে দেওয়া মার্কিন সহায়তার বিনিময়ে একটি লাভের প্রত্যাশা থাকতেই পারে। কিয়েভের প্রাকৃতিক সম্পদ, যেমন– বিরল খনিজ দিয়ে এর বিনিময় মূল্য দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে।
এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে হলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সব শর্ত পুরোপুরি পূরণ করতে হবে। সোমবার এমন কথা জানিয়েছেন রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক প্রধান। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, মস্কো ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত থাকলেও, এ সংঘাতের ‘মৌলিক কারণগুলো’ সমাধান করা হলেই কেবল যুদ্ধ বন্ধ করা সম্ভব।