১২ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

যুক্তরাষ্ট্র

বিশ্বের নামজাদা তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির কর্তাদের সঙ্গে নৈশভোজ ট্রাম্পের, অনুপস্থিত মাস্ক! কী বললেন টেসলা কর্তা

বিশ্বের নামজাদা তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির কর্তাদের সঙ্গে নৈশভোজ ট্রাম্পের, অনুপস্থিত মাস্ক! কী বললেন টেসলা কর্তা

গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডায় আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দিয়েছিলেন মেটা (ফেসবুকের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা)-র সিইও মার্ক জ়াকারবার্গ, অ্যাপল-এর সিইও টিম কুক, মাইক্রোসফ্‌ট-এর সিইও সত্য নাদেল্লা প্রমুখেরা। তবে নৈশভোজে দেখা যায়নি একদা ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি তথা টেসলা এবং এক্স-এর কর্ণধার ইলন মাস্ককে।

বিশ্বের প্রথম সারির তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির সঙ্গে নৈশভোজ সারলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার ৪ঠা সেপ্টেম্বর ফ্লোরিডায় আয়োজিত এই নৈশভোজে যোগ দিয়েছিলেন মেটা (ফেসবুকের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা)-র সিইও মার্ক জ়াকারবার্গ, অ্যাপল-এর সিইও টিম কুক, মাইক্রোসফ্‌ট-এর সিইও সত্য নাদেল্লা, মাইক্রোসফ্‌ট-এর সহ প্রতিষ্ঠাতা বিল গেট্‌স প্রমুখেরা। তবে নৈশভোজে দেখা যায়নি একদা ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি তথা টেসলা এবং এক্স-এর কর্ণধার ইলন মাস্ককে। মাস্ক নৈশভোজের আমন্ত্রণ পাননি বলে জল্পনা ছড়ায়। তবে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন একদা ট্রাম্প প্রশাসনে সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতরের প্রধান মাস্ক।

আপনি কি ট্রাম্পের দেওয়া নৈশভোজে আমন্ত্রণ পাননি? এই প্রশ্নের উত্তরে মাস্ক বলেন, “আমন্ত্রিত ছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক যে, আমি সেখানে যেতে পারিনি। তবে আমার এক জন প্রতিনিধি সেখানে গিয়েছেন।” যদিও হোয়াইট হাউসের এক আধিকারিকের দাবি, আমন্ত্রিতদের তালিকায় মাস্কের নামই ছিল না। তাই গোটা বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তবে ট্রাম্প না-থাকলেও নৈশভোজে ছিলেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বাণিজ্যিক ব্যবহারে মাস্কের প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থা ওপেনএআই-এর সিইও স্যাম অল্টম্যান। নৈশভোজে প্রতিটি সংস্থার প্রধানের কাছে ট্রাম্প জানতে চান, তাঁরা কত টাকা আমেরিকায় বিনিয়োগ করবেন। বিনিয়োগের পরিমাণ শুনে খুশি হন তিনি। মশকরা করে বলেন, ‘‘উচ্চ মেধাসম্পন্ন মানুষদের সঙ্গে বসে রয়েছি।”

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রচারে ধনকুবের তথা টেসলা কর্তা মাস্ককে পাশে পেয়েছিলেন ট্রাম্প। রিপাবলিকান প্রার্থীর প্রতি মাস্ক সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিলেন। ট্রাম্পের হয়ে প্রচারও করেছেন। ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প প্রশাসনে বিশেষ গুরুত্ব পান মাস্ক। তাঁকে প্রেসিডেন্টের বিশেষ পরামর্শদাতা হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। তাঁর জন্য গড়ে দেওয়া হয়েছিল আলাদা একটি দফতর। সেই সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতরের কাজ ছিল অপ্রয়োজনীয় খরচে কাটছাঁট করে সরকারের সাশ্রয়ের ব্যবস্থা করা। ট্রাম্প এবং মাস্কের ঘনিষ্ঠতা দিন দিন বাড়ছিল। কিন্তু কয়েক মাস একটি বিলকে কেন্দ্র করে দু’জনের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। যে বিলকে ট্রাম্প ‘বড় ও সুন্দর’ বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন, প্রকাশ্যে তার সমালোচনা শুরু করেন। এক সময়ের মধুর সম্পর্ক তিক্ততার রূপ নেয়। ট্রাম্পকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতেও ছাড়েননি মাস্ক। প্রশাসনিক পদ ছেড়ে দেন তিনি। তবে মার্কিন কংগ্রেসের উভয়কক্ষে পাশ হওয়ার পর আইনে পরিণত হয়েছে ট্রাম্পের সেই ‘বড় ও সুন্দর’ বিল।