প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন অন্যায়ভাবে হার্ভার্ডবিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০ কোটি ডলারের অনুদান বন্ধ করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির একটি আদালত। গত ০৩ সেপ্টেম্বর বুধবার বোস্টনের ওই আদালত জানায়, গবেষণার জন্য অনুদান বন্ধ করতে পারবে না প্রশাসন। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
মার্কিন বিচারক অ্যালিসন বওরোস আইভি লিগের এই বিশ্ববিবিদ্যালয় সম্পর্কে বলেন, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় হোয়াইট হাউসের দাবি মেনে সরকারি নীতি পালন করতে অস্বীকার করাতে অন্যায় প্রতিশোধ স্পৃহা থেকে অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
হার্ভার্ডের দায়ের করা মামলায় বলা হয়, গত এপ্রিল মাসে ফেডারেল অ্যান্টিসেমিটিজম টাস্কফোর্সের একটি চিঠিতে প্রশাসনিক, শিক্ষাবিষয়ক ও ভর্তি নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তনের দাবি করা হয়। এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করায় বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রশাসনের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের শিকার হয়।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট অ্যালান গারবার বলেন, ‘আমরা অ্যান্টিসেমিটিজমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে কোনো সরকার নির্ধারণ করতে পারে না যে, একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কী পড়াবে, কাকে ভর্তি বা নিয়োগ দেবে, এবং কোন বিষয়ে গবেষণা করবে।’
ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সংঘাতে, এই রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে একটা বড় জয়। এর আগে, হার্ভার্ডে বিদেশি ছাত্র ভর্তির উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। প্রশাসনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলাকালীন, গবেষণার জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ প্রথমে স্থগিত করা হয়, যা পরে সম্পূর্ণ কেটে দেওয়া হয়। আদালতের এই রায় টিকে থাকলে, হার্ভার্ডের শত শত গবেষণা প্রকল্পে আবারও প্রাণ ফিরবে বলে মনে করা হচ্ছে।