নিউইয়র্ক     শুক্রবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিনেটর চাক শুমারকে ‘ফিলিস্তিনি’ বললেন ট্রাম্প, আবারও বিতর্কিত মন্তব্য

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫ | ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫ | ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
সিনেটর চাক শুমারকে ‘ফিলিস্তিনি’ বললেন ট্রাম্প, আবারও বিতর্কিত মন্তব্য

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় সিনেটর চাক শুমার সম্পর্কে এক বিতর্কিত মন্তব্য করেন, যেখানে তিনি দাবি করেন- শুমার আর ইহুদি নন এবং তাকে ফিলিস্তিনি বলে অভিহিত করেন। ট্রাম্প শুমারকে ফিলিস্তিনি শব্দটি ব্যবহার করে নিন্দা করার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগেও তিনি মিথ্যাভাবে শুমারকে ‘হামাসের গর্বিত সদস্য’ বলে অভিহিত করেছিলেন। ট্রাম্প প্রায়ই ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য করেন যাদের তিনি ইসরাইলের প্রতি যথেষ্ট সমর্থনশীল মনে করেন না।

এই মন্তব্যটি শুমারের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের দীর্ঘমেয়াদী বিরোধের নতুন দিক উন্মোচন করে। শুমার নিউইয়র্কের ডেমোক্র্যাট সিনেটর এবং সিনেটের সংখ্যালঘু নেতা, তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তার ইহুদি পরিচয় নিয়ে কথা বলেছেন। শিগগিরই তিনি ইহুদি বিদ্বেষ নিয়ে একটি বই প্রকাশ করতে যাচ্ছেন।

তবে এইবার প্রসঙ্গ ছিল ভিন্ন। আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিশেল মার্টিনের সঙ্গে কর্পোরেট করহার নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ট্রাম্প হঠাৎ শুমার প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন। কর বৃদ্ধি নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের দোষারোপ করার পর, তিনি তার কংগ্রেসের প্রধান প্রতিপক্ষ শুমারকে নিয়ে কটাক্ষ করেন, যিনি সেদিনই রিপাবলিকানদের উত্থাপিত একটি তহবিল বিলের বিরোধিতা করছিলেন। (উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, আয়ারল্যান্ড সরকার সাধারণত ফিলিস্তিনপন্থী অবস্থান গ্রহণ করে থাকে।)

এরপর হঠাৎ শুমারের প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্প বলেন, শুমার এখন একজন ফিলিস্তিনি, সে একসময় ইহুদি ছিল, এখন আর ইহুদি নয়, সে একজন ফিলিস্তিনি। এ মন্তব্যের পর শুমারের মুখপাত্র কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে ট্রাম্পের এই বক্তব্যটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হচ্ছে এবং এটি কিছু লিবারেল ইহুদি সংগঠনের সমালোচনার মুখে পড়েছে।

ট্রাম্পের এই মন্তব্যের মধ্যে একটি রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে, যেখানে তিনি শুমারের প্রতি নিজের বিরোধিতা এবং ইসরাইল সম্পর্কিত তার অবস্থান তুলে ধরছেন। তবে, তার মন্তব্যটি স্পষ্টভাবে আক্রমণাত্মক এবং বিভ্রান্তিকর, যা ইহুদি পরিচয় এবং ফিলিস্তিনের ইস্যুর প্রতি অস্পষ্টতা সৃষ্টি করতে পারে। এটি শুধু ট্রাম্পের রাজনৈতিক ভাষা নয়, বরং সমালোচনামূলক বিতর্কেও নতুন মাত্রা যোগ করছে। খবর টাইমস অব ইসরাইল।

শেয়ার করুন