১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ওবামার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ ট্রাম্পের

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে বলেছেন, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়টি বানিয়ে তার প্রচারাভিযানকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। ট্রাম্প দাবি করেছেন, এটি ছিল “রাষ্ট্রদ্রোহ”।

ট্রাম্প এ অভিযোগ করেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের সময়। তিনি বলেন, ‘ওবামাই নেতা ছিল। হিলারি ক্লিনটনসহ অনেকেই ছিল, কিন্তু ওবামা নেতৃত্ব দিয়েছিল। এটি রাষ্ট্রদ্রোহ, এবং কেউ কখনো এমন কিছু কল্পনাও করতে পারেনি।’ তবে ট্রাম্প তার অভিযোগের পক্ষে কোনও প্রমাণ উপস্থাপন করেননি।

ট্রাম্পের অভিযোগের পেছনে গাবার্ডের মন্তব্য : ট্রাম্পের এই মন্তব্য আসে তার গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গাবার্ডের এক ঘোষণার পরে। গত ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলার জন্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং তৎকালীন শীর্ষ মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিচার করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড।

তিনি এই ঘটনাকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহমূলক ষড়যন্ত্র’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ের পর তাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।

তুলসি গ্যাবার্ড বলেছেন, ওবামা এবং তার প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ‌‘একটি দীর্ঘমেয়াদী অভ্যুত্থানের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন’ এবং ‘ভুয়া গোয়েন্দা তথ্য তৈরি করে’ রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছিলেন।

তিনি দাবি করেছেন, এতে একটি বিতর্কিত নথি ব্যবহার করা হয়েছিল, যা ব্রিটিশ গোয়েন্দা বিশ্লেষক ক্রিস্টোফার স্টিল তৈরি করেছিলেন এবং যেটিকে তারা আগেই অবিশ্বস্ত হিসেবে জানতেন।

তুলসি গ্যাবার্ড বলেছেন, ‘আমরা আজ যে তথ্য প্রকাশ করছি, তা স্পষ্ট করে দেখায় যে ২০১৬ সালে আমাদের দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দ্বারা রাষ্ট্রদ্রোহমূলক ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল আমেরিকান জনগণের ইচ্ছাকে অপমান করে প্রেসিডেন্টকে তার দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ষড়যন্ত্রে জড়িত প্রত্যেককে তদন্ত করে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগে বিচার করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে। দেশের গণতন্ত্র, জনগণের বিশ্বাস এবং আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ এর উপর নির্ভর করছে।’

তুলসি গ্যাবার্ড জানিয়েছেন, তিনি তার দাবির পক্ষে নথি যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগে জমা দিচ্ছেন। এই নথির মধ্যে রয়েছে ওবামা প্রশাসনের সাইবার হুমকি সম্পর্কিত আংশিক গোপন একটি গোয়েন্দা মূল্যায়ন এবং তৎকালীন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক জেমস ক্ল্যাপারের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত কিছু পূর্বের গোপন মেমো।

গ্যাবার্ডের অভিযোগে যাদের নাম রয়েছে, তাদের মধ্যে আছেন তৎকালীন সিআইএ পরিচালক জন ব্রেনান, তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি, তৎকালীন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুসান রাইস, তৎকালীন এফবিআই উপপরিচালক অ্যান্ড্রু ম্যাকাবে এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।

এক বিবৃতিতে গ্যাবার্ড বলেন, নতুন প্রকাশিত নথিতে দেখা গেছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং রাশিয়ার সরকার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জেতানোর চেষ্টা করেছে— এমন অভিযোগ ওবামা প্রশাসন রাজনৈতিকভাবে তৈরি করেছিল।

তিনি বলেন, হাউস ইন্টেলিজেন্স কমিটির একটি রিপোর্ট ডিক্লাসিফাই করার পর দেখা গেছে, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত গোয়েন্দা মূল্যায়ন ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং জনগণের ইচ্ছাকে উপেক্ষা করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বৈধতা নষ্ট করার চেষ্টা হিসেবে এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। গ্যাবার্ড অভিযোগ করেন, এভাবে প্রশাসন ও গণমাধ্যম একসঙ্গে কাজ করে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ষড়যন্ত্র চালিয়েছিল।

তবে ওবামার অফিস এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এসব দাবি ভিত্তিহীন এবং জনমনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টা।

ওবামার মুখপাত্র প্যাট্রিক রোডেনবুশ বলেন, রাশিয়া ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচন প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিল, তবে কোনো ভোটের ফলাফল পাল্টাতে পারেনি— এই সিদ্ধান্ত এখনও বহাল রয়েছে। ২০২০ সালে মার্কিন সিনেটের দ্বিদলীয় গোয়েন্দা কমিটির রিপোর্টেও এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্যাবার্ড যে রিপোর্টের কথা বলেছেন তা মূলত ২০১৭ সালে হাউস ইন্টেলিজেন্স কমিটি রিপাবলিকানদের তত্ত্বাবধানে তৈরি করেছিল এবং ২০২০ সালে তা সংশোধন করা হয়। রিপোর্টে বলা হয়, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বেশিরভাগ মূল্যায়ন সঠিক হলেও ট্রাম্পকে সমর্থন করার রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে বিশ্লেষণটি পর্যাপ্ত মানদণ্ডে হয়নি এবং রিপোর্ট তৈরি প্রক্রিয়াটি তাড়াহুড়ো করে শেষ করা হয়েছিল।

সিএনএন জানিয়েছে, এ ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ মেলেনি এবং ২০২০ সালের নির্বাচনের ফল বদলানোর প্রয়াসে ট্রাম্পের ভূমিকা নিয়ে বিপরীত প্রমাণ রয়েছে।

এই অভিযোগ তোলার মাধ্যমে রাশিয়া হস্তক্ষেপ ইস্যুতে নতুন করে বিতর্ক শুরু হলো। উল্লেখযোগ্য যে, রবার্ট মুলারের নেতৃত্বে হওয়া তদন্তে বলা হয়েছিল, রাশিয়া ‘বিস্তৃত এবং পদ্ধতিগতভাবে’ ২০১৬ সালের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছিল, তবে ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের সাথে রাশিয়ার কোনো যোগসাজশ পাওয়া যায়নি।

তুলসি গ্যাবার্ডের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ ট্রাম্প প্রশাসনের সময় সবচেয়ে বিতর্কিত নিয়োগগুলোর মধ্যে একটি ছিল। তার গোয়েন্দা বিষয়ে কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি ইতিবাচক মন্তব্য করার কারণে এই নিয়োগ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল।

তবে ডেমোক্র্যাটরা এই দাবিকে “ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

ওবামার পক্ষে কড়া প্রতিক্রিয়া : প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক ও বিভ্রান্তিকর’ আখ্যা দিয়ে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার মুখপাত্র প্যাট্রিক রোডেনবুশ বলেন, “এই অদ্ভুত অভিযোগগুলো হাস্যকর এবং প্রকৃত সমস্যা থেকে মনোযোগ সরানোর দুর্বল চেষ্টা।”

ট্রাম্প সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের ‘প্রমাণ তৈরি করে’ ওবামা তার বিরুদ্ধে জালিয়াতি চালানোর চেষ্টা করেছিলেন। এ প্রেক্ষিতে ওবামার দপ্তর থেকে এক বিরল বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্টের পদমর্যাদার প্রতি সম্মান রেখে আমরা সাধারণত এ ধরনের অসঙ্গত ও ভুল তথ্যের উত্তর দিই না। কিন্তু এই দাবিগুলো এতটাই অযৌক্তিক যে উত্তর দেওয়া প্রয়োজন। এটি বিভ্রান্তিকর এবং দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানোর দুর্বল চেষ্টা।’

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি তুলসি গ্যাবার্ড প্রকাশিত ১১ পৃষ্ঠার নথিতে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। গ্যাবার্ড নথিতে ওবামা প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ এনে বিচার বিভাগের কাছে অভিযোগ দায়েরের সুপারিশ করেছিলেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গত সপ্তাহে প্রকাশিত নথিতে এমন কিছু নেই যা ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়া প্রভাব ফেলতে চেয়েছিল এবং ভোট পরিবর্তন করতে পারেনি—এই ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্তকে অস্বীকার করে।’

ট্রাম্প এ অভিযোগ করেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের সময়। তিনি বলেন, ‘ওবামাই নেতা ছিল। হিলারি ক্লিনটনসহ অনেকেই ছিল, কিন্তু ওবামা নেতৃত্ব দিয়েছিল। এটি রাষ্ট্রদ্রোহ, এবং কেউ কখনো এমন কিছু কল্পনাও করতে পারেনি।’

ট্রাম্প আরও দাবি করেন, গ্যাবার্ড তাকে জানিয়েছেন আরও ‘হাজার হাজার নথি’ আসছে।

তবে গ্যাবার্ডের প্রতিবেদনে ভিন্ন ইস্যু গুলিয়ে ফেলে ২০১৭ সালেরগোয়েন্দা প্রতিবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, রাশিয়া ট্রাম্পকে সহায়তা এবং হিলারিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চেয়েছিল। তবে রাশিয়া ভোট গণনার ফলাফলে কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি, যদিও ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির তথ্য হ্যাক করে ফাঁস করা হয়েছিল।

২০১৯ সালে রবার্ট মুলারের বিশেষ কৌঁসুলির প্রতিবেদনে এবং ২০২০ সালে মার্কো রুবিওর নেতৃত্বে প্রকাশিত দ্বিদলীয় সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির প্রতিবেদনে এই রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়টি পুনরায় নিশ্চিত করা হয়।

সাবেক সিআইএ বিশ্লেষক ফালটন আর্মস্ট্রং দ্য গার্ডিয়ানকে জানান, গ্যাবার্ডের নথি ‘একপেশে রাজনৈতিক আক্রমণের উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে’ এবং ’অজানা বিভ্রান্তি ও অস্পষ্ট ব্যাখ্যা ব্যবহার করে মিথ্যা বার্তা ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে।’

পূর্বের তদন্ত প্রতিবেদন কী বলছে?
২০১৭ সালের জানুয়ারিতে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার একটি মূল্যায়নে বলা হয়, রাশিয়া সামাজিক মাধ্যম, হ্যাকিং ও প্রপাগান্ডার মাধ্যমে হিলারি ক্লিনটনের প্রচারাভিযানকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিল এবং ট্রাম্পকে সহায়তা করেছিল। তবে এতে ভোটের ফলাফল সরাসরি প্রভাবিত হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

২০২০ সালে সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির দ্বিদলীয় এক রিপোর্টেও একই ধরনের সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হয়।

ট্রাম্পের অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত ষড়যন্ত্র তত্ত্ব : ট্রাম্প এর আগেও সাবেক প্রেসিডেন্টদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়েছেন। ওবামার নাগরিকত্ব নিয়েও তিনি ২০১১ সালে প্রশ্ন তোলেন।

সাম্প্রতিক সময়ে, ট্রাম্প একটি ভুয়া ভিডিও পোস্ট করেছেন যেখানে ওবামাকে হ্যান্ডকাফ পরে ওভাল অফিসে গ্রেফতার হতে দেখা যায়।

এক্স (সাবেক টুইটার)-এ ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি জিম হাইমস বলেন, “এটি একটি মিথ্যা কথা। প্রেসিডেন্ট যদি বিভ্রান্ত হন, তাহলে তিনি মার্কো রুবিওর কাছে জিজ্ঞেস করতে পারেন, যিনি এই তদন্তের দ্বিদলীয় সিনেট কমিটি পরিচালনা করেছিলেন।”

তবে গ্যাবার্ডের প্রতিবেদনে ভিন্ন ইস্যু গুলিয়ে ফেলে ২০১৭ সালেরগোয়েন্দা প্রতিবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, রাশিয়া ট্রাম্পকে সহায়তা এবং হিলারিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চেয়েছিল। তবে রাশিয়া ভোট গণনার ফলাফলে কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি, যদিও ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির তথ্য হ্যাক করে ফাঁস করা হয়েছিল।

২০১৯ সালে রবার্ট মুলারের বিশেষ কৌঁসুলির প্রতিবেদনে এবং ২০২০ সালে মার্কো রুবিওর নেতৃত্বে প্রকাশিত দ্বিদলীয় সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির প্রতিবেদনে এই রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়টি পুনরায় নিশ্চিত করা হয়।

সাবেক সিআইএ বিশ্লেষক ফালটন আর্মস্ট্রং দ্য গার্ডিয়ানকে জানান, গ্যাবার্ডের নথি ‘একপেশে রাজনৈতিক আক্রমণের উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে’ এবং ’অজানা বিভ্রান্তি ও অস্পষ্ট ব্যাখ্যা ব্যবহার করে মিথ্যা বার্তা ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে।’

বর্তমানে, সাবেক রিপাবলিকান সেনেটর রুবিও ট্রাম্প প্রশাসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।