গত ১৭ নভেম্বর রবিবার জ্যামাইকার একটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঊনবাঙালের ৪৫ তম সাহিত্য সভা । এবারের সাহিত্যসভার থিম ছিল: জীবনানন্দ দাশ – আধুনিক বাংলা কবিতার ভিত্তি। এই বিষয়ের ওপর বক্তব্য রাখেন কবি কাজী জহিরুল ইসলাম। তিনি তার বক্তব্যে বুঝিয়ে বলেন কী করে ত্রিশের দশকের ৫ কবি বাংলা কবিতাকে প্রচলিত ধারা থেকে বের করে এনে আধুনিক বাংলা কবিতার একটি মজবুত ভিত্তি নির্মাণ করেন এবং কালক্রমে তাদের সকলকে ছাপিয়ে তাদেরই একজন, জীবনানন্দ দাশ হয়ে ওঠেন আধুনিক বাংলা কবিতার প্রধানতম কবি। প্রসঙ্গত তিনি জীবনানন্দ দাশের ব্যক্তি জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গও উপস্থাপন করেন। উপস্থিত কবি, সাহিত্যিক এবং শিল্পানুরাগীরা মুগ্ধ হয়ে শোনেন সেইসব কথা।
মূল বক্তব্যের পরে মো: নজরুল ইসলাম হাসন রাজা ও শাহ আব্দুল করিমের গান পরিবেশন করে সবাইকে আনন্দ দেন।
ঊনবাঙাল প্রতি মাসে এক বা একাধিক নির্বাচিত কবি এবং নির্বাচিত আবৃত্তি শিল্পীর নাম ঘোষণা করে। এবারের নির্বাচিত কবি ছিলেন সোহেল হামিদ এবং নির্বাচিত আবৃত্তি শিল্পী ছিলেন জিএম ফারুক খান। সোহেল হামিদ বিভিন্ন মেজাজের ৩টি কবিতা পড়ে শোনান, জিএম ফারুক খান আবৃত্তি করেন কাজী জহিরুল ইসলাম, নির্মলেন্দু গুণ এবং হেলাল হাফিজের কবিতা। দর্শক, শ্রোতারা মুগ্ধ হয়ে শোনেন তার আবৃত্তি।
এ-ছাড়া স্বরচিত গল্প পাঠ করেন কাওসার চৌধুরী, কবিতা পড়েন এস এম মোজাম্মেল হক, কুলসুম আক্তার সুমী, শামসুন ফৌজিয়া, মিজানুর রহমান। আবৃত্তি করেন হারুন অর রশিদ তানভীর। জালালুদ্দিন রুমির কবিতা পড়ে শোনান এবং অনুষ্ঠানের অংশবিশেষ সঞ্চালনা করেন ইমাম চৌধুরী।
ঊনবাঙালের অন্যতম আয়োজক সৈয়দ ফজলুর রহমান তার বক্তব্যে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আপনারা যদি শুদ্ধ শিল্পের চর্চা করতে চান তাহলে ঊনবাঙালের সঙ্গে যুক্ত হন, এখানে শুদ্ধ শিল্পের নিবিড় চর্চা হয় এবং সত্যের অনুসন্ধান করা হয়।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ড. মুশফিক চৌধুরী, কামরুল ইসলাম, আনিসুর রহমান ভুঁইয়া, মাহমুদুল হক ওসমানী, নাছিমা ইয়াসমিন, শাফি মাহমুদ প্রমূখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুসারে