১৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

গোপালগঞ্জে থমথমে পরিস্থিতি, টহলে সেনা-পুলিশ

গোপালগঞ্জ শহরের লঞ্চ ঘাট এলাকায় বুধবারের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার পর ১৭ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এলাকাজুড়ে চাপা আতঙ্ক ও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শহরের রাস্তাঘাটে লোকজনের উপস্থিতি কম, যদিও পুরোপুরি জনশূন্য নয়। কারফিউর কারণে অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকলেও কয়েকটি দোকান খোলা দেখা গেছে।

ঘটনার পর নিরাপত্তা নিশ্চিতে শহরজুড়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। দুপুর ১টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সমন্বিত দল লঞ্চ ঘাট এলাকায় আসে এবং সড়কে অবস্থান নেওয়া সাধারণ মানুষদের সরিয়ে দেয়। এ সময় দুজনকে আটক করতেও দেখা গেছে। শহরে মাইকিং করে মানুষকে অকারণে সড়কে না থাকার আহ্বান জানানো হয়।

এর আগে পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা সংঘর্ষের সময় ছোড়া ইটের টুকরো সড়ক থেকে সরিয়ে ফেলেন। সড়ক বিভাজকের কংক্রিটের ব্লকগুলো যত্রতত্র পড়ে থাকায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল, যা পরে পুলিশ সরিয়ে সঠিক স্থানে বসিয়ে দেয়।

ঘটনার পর শহরের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ রয়েছে। এক স্থানীয় খাদ্যপণ্য বিক্রয়কর্মী মো. হাসান বলেন, “এমন ঘটনা কেউ চায় না। আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, হরতাল বা কারফিউ হলে ক্ষতির মুখে পড়ি।”

নিহত সোহেল রানার প্রতিবেশী সোনিয়া আক্তার বলেন, “এনসিপির কর্মসূচিকে ঘিরে কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা ছিল। তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কেন আগেই ব্যবস্থা নেয়নি? কেন এমন ঘটনা ঘটল? এখন পুরো এলাকা আতঙ্কে রয়েছে।”

সংঘর্ষের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি, তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে।