হত্যা মামলায় এবার ফেঁসে যাচ্ছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল সমালোচিত সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এবং সাবেক সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে আদাবর থানায় মামলাটি রুজু হয়। আদাবর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এই মামলার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ আরও ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করে বলেন, গত ৫ আগস্ট রুবেল আদাবরের রিংরোডে প্রতিবাদী মিছিলে অংশ নেয়। এ সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ, প্ররোচনা, সাহায্য, সহযোগিতা ও প্রত্যক্ষ মদদে কেউ মিছিলে গুলি ছুড়ে। বুকে ও পেটে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রুবেলকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসারত অবস্থায় ৭ আগস্ট মারা যান। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়টায় দেশের বাইরে ছিলেন সাকিব। বিশ্বকাপের পর থেকেই বিভিন্ন লিগে খেলে বেড়াচ্ছেন তিনি। পুরো আন্দোলনে ছিলেন নীরব ভূমিকায়। উল্টো কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ খেলার সময় সমর্থকদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে সামলোচনার জন্ম দেন। এরপর, যখন শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয় তখন সাকিব আর দেশে ফিরবেন কি না সেটা নিয়েই শঙ্কা জাগে। নানা আলোচনার মাঝে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান সিরিজে সুযোগ পান সাকিব। কানাডা থেকে সরাসরি পাকিস্তানি যোগ দেন তিনি। অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত এমপি ব্যরিষ্টার সুমন। যার উত্থানটাই শুরু হয়েছিল ফেসবুকের কল্যাণে। বর্তমান তরুণসমাজের বড় একটা অংশ তাকে আদর্শ মানতো তার মানবকল্যাণমুলক কাজের কারণে। কিন্তু কোটা আন্দোলনে এই তরুণ শিক্ষার্থীদের বিপদে তিনি চুপ ছিলেন। সবশেষ শেখ হাসিনার পক্ষপাতমূলক কথা ভালোভাবে নেয়নি নেটিজেনরা।
শেখ হাসিনা সরকার পতনের গা ঢাকা দিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। কোথাও তিনি নেই। ফেসবুক, হোয়াটসআপ, মোবাইল ফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
এদিকে চিত্রনায়ক ফেরদৌসের ভাগ্যটাও সুপ্রসন্ন নয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে জয় লাভ করেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস। নির্বাচনে ৬৫ হাজার ৮৯৮ ভোটে জয়ী হন তিনি। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী শামসুল আলম আম প্রতীকে পান ২ হাজার ২৫৭ ভোট। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর তার খোঁজও পাওয়া যাচ্ছে না।