নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি আগামী ১লা জানুয়ারি দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। দায়িত্বভার গ্রহণ প্রক্রিয়াকে সুসম্পন্ন করার লক্ষ্যে ১৭টি ট্রানজিশন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব কমিটিতে ৪০০ জনের বেশি সদস্য রয়েছেন। তালিকায় বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞ ও দক্ষ ব্যক্তিরা স্থান পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন রয়েছেন।
গত সোমবার (২৪ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রানজিশন কমিটির সদস্যের নাম ঘোষণা করেন মামদানি। তালিকায় বাংলাদেশিদের মধ্যে রয়েছেন সেবামুলক প্রতিষ্ঠান ভালো’র শাহরিয়ার রহমান, হিলসাইড ইসলামিক সেন্টারের চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ ভূঁইয়া, বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট শামসুল হক, উত্তর আমেরিকা বাংলাদেশি-আমেরিকান কমিউনিটির সর্ববৃহৎ ইসলামিক সংগঠন মুসলিম উম্মাহ অব নর্থ আমেরিকার (মুনা) নির্বাহী পরিচালক আরমান চৌধুরী সিপিএ, অ্যালায়েন্স অব সাউথ এশিয়ান আমেরিকান লেবার ইনকরপোরেশনের (আসাল) সেক্রটারী মোহাম্মদ করিম চৌধুরী, ড্রাম বিটসের কাজী ফৌজিয়া, কমিটি অ্যাগেইনস্ট অ্যান্টি-এশিয়ান ভায়োলেন্সের (সিএএএভি) ফারিহা আক্তার, ‘সিটি ইউনিভার্সিটি স্কুল অব ল’–এর সহযোগী অধ্যাপক সমতলী হক ও তাজিন আজাদ।
ঘোষিত কমিটিতে পরিবহন ও জননিরাপত্তাবিষয়ক শাখা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া শ্রমিক ন্যায়বিচার ও কমিউনিটি সংগঠন নামের দুটি নতুন কমিটি করা হয়েছে, যা অন্য মেয়রদের ট্রানজিশন কমিটিতে দেখা যায়নি।
জোহরান মামদানি বলেন, ‘বর্তমানে নিউইয়র্কের একজন বাসিন্দার কাছে এ দুটি বিষয়ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের নগরে এমন সব শ্রমিক আছেন, যাঁদের এ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। সত্যি বলতে গেলে এটি আমাদের লজ্জিত করে।’
জোহরান আরও বলেন, তাঁর প্রশাসনে চাকরির জন্য ৭০ হাজার মানুষ আবেদন করেছেন। তবে এত মানুষকে চাকরি দেওয়ার জন্য পদ ফাঁকা নেই। বর্তমানে প্রায় ১৭ হাজার পদ খালি আছে।
এসব বিভাগের মধ্যে নিউইয়র্ক পুলিশে প্রায় ২ হাজার ৬০০, শিক্ষা বিভাগে প্রায় ২ হাজার ৫০০ ও সংশোধন বিভাগে প্রায় ১ হাজার ৬০০ পদ খালি রয়েছে।
নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে প্রথম নির্বাচিত মুসলিম মেয়র জোহরান মামদানি। একই সঙ্গে তিনি দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ও আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী নিউইয়র্কের প্রথম মেয়র। এক শতাব্দীর বেশি সময়ের মধ্যে তাঁর চেয়ে কম বয়সী মেয়র নিউইয়র্ক সিটি আর পায়নি।