নিউইয়র্ক     সোমবার, ১৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ৪ঠা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহানবী (স.)-এর হিজরতের পথ স্মরণীয় করতে সৌদি আরবের ঐতিহাসিক উদ্যোগ

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ০৫:২১ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ০৫:২১ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
মহানবী (স.)-এর হিজরতের পথ স্মরণীয় করতে সৌদি আরবের ঐতিহাসিক উদ্যোগ

দীর্ঘদিন পর মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর হিজরতের পথকে স্মরণীয় করে রাখার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। পবিত্র মক্কা থেকে যেপথে পবিত্র মদিনায় হিজরত করেছেন মহানবী (স.) সেই ঐতিহাসিক পথকে নতুন করে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ জন্য ঘোষণা করা হয়েছে ‘ইন দ্য প্রোফেটস স্টেপস’ প্রকল্প। এ খবর দিয়ে অনলাইন গালফ নিউজ বলছে, গত সোমবার (২৭ জানুয়ারী) এ প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন মদিনার আমির প্রিন্স সালমান বিন সুলতান। এ জন্য ঐতিহাসিক অহুদ পাহাড়ের কাছে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। ‘ইন দ্য প্রোফেটস স্টেপস’ প্রকল্পটিতে মহানবী (স.) এর হিজরতের পথের দৈর্ঘ্য ধরা হয়েছে ৪৭০ কিলোমিটার। এই পথ মক্কা থেকে মদিনাকে সংযুক্ত করেছে। এর মধ্যে ৩০৫ কিলোমিটার পথ আছে পায়ে হাঁটার উপযোগী। এর মধ্যে ৪১টি ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্ক বা স্থানকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার কথা।

মহানবী (স.)-এর হিজরতের গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বর্ণনা করে এমন গুরুত্বপূর্ণ ৫টি স্টেশন আছে। এ ছাড়া আছে একটি ‘মাইগ্রেশন মিউজিয়াম’ বা হিজরত জাদুঘর। ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো সেখানে দর্শনার্থীদের সামনে তুলে ধরা হবে। এই রুট বা পথে আটটি স্টেশন আছে। সেখান থেকে হিজরতের গভীর দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ ঘটানো হবে। দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে কমপক্ষে ৩০টি রেস্তোরাঁ এবং ৫০টি দোকান। প্রতিদিন এই প্রকল্প ভ্রমণ করতে পারবেন ১২ হাজার দর্শনার্থী। প্রকল্পটি হিজরত বা যাত্রাপথের পরিবর্তিত পরিস্থিতি তুলে ধরবে। তাতে মিশে থাকবে ইতিহাস, আধ্যাত্মিকতা এবং আধুনিক সুযোগ সুবিধার মিশ্রণ। প্রিন্স সালমান বলেছেন, ইসলামিক ঐতিহ্যকে সুরক্ষিত রাখতে আমাদের নেতৃত্ব যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তার সাক্ষ্য এই প্রকল্প। এর মধ্য দিয়ে মহানবী (স.)-এর হিজরতের শিক্ষা নেয়ার সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা।

তাঁরা হিজরতের সঙ্গে ঐতিহাসিক বিষয়বস্তুকে উদঘাটনের সুযোগ পাবেন। প্রিন্স সালমান আরও বলেন, সৌদি আরব ইসলামিক ঐতিহ্যের স্থাপনাগুলোকে সংস্কার ও সক্রিয় রাখার চেষ্টা করছে। তারই অংশ হিসেবে সৌদি আরবের প্রচলিত রীতি যুক্ত হয়েছে। তিনি দর্শনার্থীদের জন্য একটি ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সৌদি আরবের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার প্রচারের গুরুত্ব তুলে ধরেন। সৌদি আরবের ঐতিহ্যকে সংরক্ষণের একটি মাইলফলক এই প্রকল্প- এমনটা মনে করেন জেনারেল এন্টারটেইনমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান তুর্কি আলালশিখ। ঐতিহাসিক এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতায় প্রকল্পের যথার্থতা নিশ্চিত করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্প চালু করা হবে নভেম্বরে। ৬ মাস ধরে তা চলবে।

শেয়ার করুন