১২ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাংলাদেশ

বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার ঝুঁকি রয়েছে – বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন

বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার ঝুঁকি রয়েছে – বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার ঝুঁকি দেখছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংক মনে করছে, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার ঝুঁকি রয়েছে, যা নির্বাচনের পরেও থেকে যেতে পারে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থাকলে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর বিশ্বব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন মত দিয়েছে সংস্থাটি।

গতকাল মঙ্গলবার ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শিরোনামে প্রতিবেদনে এ দেশের অর্থনীতির ঝুঁকি ও আগামীর সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। সংস্থার ঢাকা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনের বিস্তারিত তুলে ধরেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ নাজমুস সাদাত খান। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর জঁ পেমে। সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের অর্থনীতির ওপর হালনাগাদ প্রতিবেদন ‘সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ উপস্থাপন করেন সংস্থার দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান অর্থনীতিবিদ ফ্রান্সিসকা অং সরগ। সিনিয়র এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তা মেহরীন আহমেদ মাহমুদ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাসহ ছয়টি প্রধান ঝুঁকি দেখছে বিশ্বব্যাংক। অন্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে– ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা, রাজস্ব আয়ে সংস্কারে ঘাটতি, ভর্তুকি ব্যয় বৃদ্ধি ও সরকারি ব্যয়ে অদক্ষতা, বিশ্ব বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি এবং এলডিজি উত্তরণ-পরবর্তী অনিশ্চয়তা, অপ্রত্যাশিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে অস্থিরতা ও অভ্যন্তরীণ সরবরাহে বাধা এবং দীর্ঘ মেয়াদে উচ্চ সুদহার রাখা।
বিশ্বব্যাংক বলেছে, চলতি অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধি গত দুটি অর্থবছরকে ছাড়িয়ে যাবে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে। বিবিএসের সাময়িক হিসাবে গত অর্থবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। বিশ্বব্যাংক মনে করছে, ২০২৬-২৭ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৩ শতাংশে উন্নীত হতে পারে। তবে এ ধারা ধরে রাখতে সাহসী ও সময়োপযোগী সংস্কার এখন খুব অপরিহার্য।

রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের মন্থর গতি কাটছে না। উদ্যোক্তারা এ পরিস্থিতিতে অপেক্ষার নীতি নিয়েছেন। রপ্তানি খাতে তৈরি পোশাক কিছুটা ভালো করলেও পোশাকবহির্ভূত খাত রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও ব্যবসা পরিচালনা ব্যয় বৃদ্ধির কারণে সংকুচিত হয়ে আসতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কম অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং শ্রমবাজারের দুর্বল পরিস্থিতিতে গত অর্থবছর বাংলাদেশে দারিদ্র্য বেড়েছে। বিশ্বব্যাংকের প্রাক্কলন হলো– জাতীয় দারিদ্র্যের হার ২১ দশমিক ২ শতাংশ হয়েছে, যা আগের অর্থবছরে ছিল ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। ৩০ লাখ কর্মক্ষম মানুষ শ্রমবাজারের বাইরে ছিলেন, যার একটা বড় অংশই নারী। ২৪ লাখই নারী, যারা শ্রমবাজারে যুক্ত হতে পারেননি।
বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেটে বলা হয়, মূলত মূল্যস্ফীতি হ্রাস ও বেসরকারি ভোগব্যয়ের জোরদার হওয়ার ফলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে। তবে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতার কারণে বিনিয়োগ মন্থর থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা অব্যাহত থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক কাঠামোর অধীনে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান বজায় থেকে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আমদানি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসায় বৈদেশিক লেনদেনে চলতি হিসাবের ভারসাম্য ফের ঘাটতিতে পরিণত হতে পারে। রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে সংস্কারমূলক পদক্ষেপে বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সংস্কারের ফলে ভর্তুকি ধীরে ধীরে কমে এলেও সুদ পরিশোধের সঙ্গে মিলিয়ে এটি মোট চলতি ব্যয়ের ৫০ শতাংশের বেশি থেকে যেতে পারে। সরকারের ঋণ আগামী ২০২৬-২৭ অর্থবছরের মধ্যে জিডিপির ৪১ দশমিক ৭ শতাংশে দাঁড়াতে পারে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিশ্বব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মূল্যায়ন অনুযায়ী, বাংলাদেশের ঋণ সংকটের ঝুঁকি ‘নিম্ন’ থেকে বেড়ে এখন ‘মধ্যম’ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ‘দক্ষিণ এশিয়ার ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ নামে পৃথক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, এ অঞ্চলে প্রবৃদ্ধি এ বছর ৬ দশমিক ৬ শতাংশে পৌঁছাবে। তবে সামনে বড় ঝুঁকি রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বাণিজ্য উন্মুক্ততার সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগে নতুন গতি আনতে পারবে।
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংক প্রতিবেদনে বলেছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মূল্যস্ফীতি কমার প্রবণতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গত বছরের নভেম্বরে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ। গেল আগস্টে তা ৭ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসে। ডলারের বিপরীতে টাকার স্থিতিশীল বিনিময় হার এবং খাদ্য সরবরাহ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হয়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি এখনও বেশি। আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৩ শতাংশ, যা নিম্ন আয়ের মানুষের মজুরি বৃদ্ধির হারের চেয়ে বেশি।

এলডিসি থেকে উত্তরণ রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনবে : প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৬ সালের নভেম্বরে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ রপ্তানি খাতে তাৎক্ষণিক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না বলে আশা করা হচ্ছে। এর কারণ, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ২০২৯ সাল পর্যন্ত অগ্রাধিকারমূলক শুল্কহার অব্যাহত রাখবে। এলডিসি উত্তরণ বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বেসরকারি খাতের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যায়নের জন্য ব্যাপক সংস্কার বাস্তবায়নের গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ তৈরি করবে। নির্বাচন-পরবর্তী নীতির স্বচ্ছতা ও সংস্কার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হলে প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত প্রবৃদ্ধি পুনরুদ্ধার, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দারিদ্র্য হ্রাস সম্ভব হবে। এ-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, উত্তরণের ফলে কমপ্লায়েন্স মানার বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে হবে। তবে এর মাধ্যমে বেসরকারি খাতের সক্ষমতা বাড়বে। যার ফলে প্রচলিত বাজারের পাশাপাশি নতুন বাজারে অনুপ্রবেশও সহজ হবে। তবে ঝুঁকি হ্রাসে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় চুক্তির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে।

ব্যাংক খাত রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে : ব্যাংক খাতের সংস্কার অব্যাহত রাখতে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার সুপারিশ করা হয় প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, ব্যাংক গত অর্থবছরে খেলাপি ঋণ শনাক্তকরণ ও সংরক্ষণ প্রক্রিয়াকে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার পদক্ষেপ নিয়েছে। এর ফলে গত মার্চ নাগাদ ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের হার বেড়ে ২৪ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছায়, যা দক্ষিণ এশিয়ার ব্যাংকগুলোর গড় হার ৭ দশমিক ৯ শতাংশের তুলনায় অনেক বেশি। এ পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ব্যাংকিং খাতে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দিয়ে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে, যার মধ্যে তারল্য সহায়তা অন্যতম। বর্তমানে নিয়ন্ত্রক কাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চলছে, যার লক্ষ্য বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর শাসন ব্যবস্থা ও স্বচ্ছতা জোরদার করা। উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য উচ্চস্তরের কৌশল প্রণয়ন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শাসন ব্যবস্থা ও কার্যকর স্বাধীনতা বাড়াতে আইনি কাঠামোর সংশোধনী প্রস্তুত করা।

বাহ্যিক খাত : বাহ্যিক খাতের বিষয়ে প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলেছে, প্রবাসী আয় গত অর্থবছরে ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। রপ্তানি আয় ৮ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে; যা মূলত তৈরি পোশাক, চামড়া, প্লাস্টিক, কৃষিপণ্য ও জুতা শিল্পের রপ্তানিকে ভর করে হয়েছে। অন্যদিকে আমদানি ৪ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে, যা প্রধানত চাল ও মধ্যবর্তী পণ্যের আমদানি বৃদ্ধির কারণে। তবে মূলধনি পণ্য ও যন্ত্রপাতির আমদানি কমেছে, যা বেসরকারি ও সরকারি বিনিয়োগের মন্থরতার ইঙ্গিত দেয়।
বিশ্বব্যাংক বলেছে, উন্নয়ন সহযোগীদের উল্লেখযোগ্য সহায়তা গত অর্থবছরে আর্থিক হিসাবকে শক্তিশালী করেছে। নিট প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ ২০ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যদিও এটি মোট জিডিপির মাত্র শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। এর ফলে সামগ্রিক পরিশোধ ভারসাম্যের উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি হয়েছে। আগের বছরের ৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি থেকে ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের উদ্বৃত্তে পরিণত হয়েছে। এই ইতিবাচক পরিবর্তন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করেছে।

কর-জিডিপি অনুপাত কমেছে : প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজস্ব ঘাটতি গত অর্থবছরে কিছুটা বেড়েছে, যার প্রধান কারণ ছিল কর আয়ের মন্থর প্রবৃদ্ধি এবং ভর্তুকি ও সুদ পরিশোধজনিত বর্তমান ব্যয় বৃদ্ধি। তবে আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জিডিপির অনুপাতে করের হার ৭ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে কমে ৬ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে এসেছে, যা প্রথম প্রান্তিকে দুর্বল অর্থনৈতিক কার্যক্রম এবং অর্থবছরের শেষ দিকে কর আদায়ে বিঘ্নতার প্রতিফলন। অন্যদিকে চলতি ব্যয় জিডিপির ৯ দশমিক ২ শতাংশে পৌঁছেছে, যা মূলত জ্বালানি ও কৃষি খাতে ভর্তুকি বৃদ্ধি এবং উচ্চ সুদ পরিশোধের কারণে।

রাজস্ব ও ব্যাংকিং খাতে বাকি সংস্কারে গুরুত্ব দিতে হবে : সংস্কার প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) কর প্রশাসন থেকে করনীতি পৃথক করা খুব ভালো পদক্ষেপ। এ ছাড়া কর ব্যয়নীতি ও ব্যবস্থাপনা কাঠামো গ্রহণের সাম্প্রতিক সংস্কার পদক্ষেপগুলোও সঠিক ছিল। তবে এসব সংস্কারের সুফল নির্ভর করবে ধারাবাহিক ও কার্যকর বাস্তবায়নের ওপর। কিছু নীতি সংস্কার এখনও বাকি রয়েছে, বিশেষ করে ভ্যাট আদায় পদ্ধতি সহজ করা এবং ভ্যাট অব্যাহতির ঘটনা কমানো। এটি সম্ভব হবে রাজস্ব উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। করদাতাদের মধ্যে ন্যায্যতাও সৃষ্টি হবে এতে। একইভাবে ব্যাংকিং খাতে ও প্রস্তাবিত নতুন আমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশ আমানত বীমা আদেশকে প্রসারিত করবে। এর ফলে দুর্বল ব্যাংকগুলো দ্রুততার সঙ্গে গ্রাহক আমানত পরিশোধ করতে পারবে এবং কার্যকরভাবে কাজ করতে পারবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতে পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো আমানত সুরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে সচল করা এবং জরুরি তহবিলের সংস্থান রাখা। খেলাপি ঋণ হ্রাস এবং দেউলিয়াত্ব ঠেকাতে আইনি কাঠামো উন্নত করা।