সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঘুষের মামলায় অভিযুক্ত করার ঘটনায় প্রতিশোধ চায় তার দল রিপাবলিকান পার্টি। এ প্রতিশোধ নিতে রিপাবলিকানরা তাদের আইন প্রণয়ন ক্ষমতা এবং অন্যান্য উপায় ব্যবহার করতে চাইছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মাইক জনসন ‘ফক্স নিউজ সানডে’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেছেন। হাউস স্পিকার বলেন, তাঁদের দল পুরো প্রক্রিয়াটির তদারক করার জন্য কংগ্রেসে থাকা ক্ষমতার ব্যবহার করবে।
একই সুরে কথা বলেছেন রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির কো-চেয়ার লারা ট্রাম্প। লারা সিএনএনকে বলেন, ট্রাম্পের সমর্থকেরা শান্ত থেকে নভেম্বরে ব্যালট বাক্সে ভোট দিয়ে প্রতিবাদ জানাবেন। ট্রাম্পকে কারাগারে পাঠানো হলে তাঁর সমর্থকদের কী করা উচিত, জানতে চাইলে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির কো-চেয়ার লারা এ কথা বলেন।
ট্রাম্প নিজেও অবশ্য এ ধরনের কৌশল নিয়েই এগিয়েছেন। এর আগে তাঁকে অভিযুক্ত করার প্রতিক্রিয়ায় নির্বাচনী প্রচার ও তহবিল সংগ্রহের বিষয়টি জোরদার করেছেন। তিনি তাঁর সমর্থকদের এ নিয়ে একত্র করার চেষ্টা করেননি। অথচ এর আগে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ট্রাম্প তাঁর সমর্থকদের জড়ো করেন, এতে ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনা ঘটে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিউইয়র্কের আদালত গত সপ্তাহে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। এখন আদালত ট্রাম্পের সাজা ঘোষণা করবেন। এ নিয়ে ট্রাম্প বলেন, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাঁকে যদি কারাগারে পাঠানো হয় বা গৃহবন্দী করে রাখা হয়, তাহলে তিনি তা মেনে নেবেন। কিন্তু তা জনগণের জন্য মেনে নেওয়া কঠিন হবে।
গত রোববার ফক্স নিউজে ট্রাম্পের এক সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয়। তাতে এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প বলেন, ‘আমাকে কারাদণ্ড দেওয়া হলে জনগণ এর পক্ষে দাঁড়াবে কি না, তা আমি নিশ্চিত নই। আমার মনে হয়, জনগণের পক্ষে এটা মেনে নেওয়া কঠিন হবে। আপনি জানেন, একটা নির্দিষ্ট সময়ে গিয়ে, এর একটা ব্রেকিং পয়েন্ট আছে।’ এই নির্দিষ্ট পয়েন্টে পৌঁছালে কী হবে, তা নিয়ে ট্রাম্পের ভাবনার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
নিউইয়র্ক আদালত আগামী ১১ জুলাই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলার রায় দেবেন। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সাবেক পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ করা ও ব্যবসার নথি জালিয়াতির অভিযোগে বৃহস্পতিবার ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন ১২ সদস্যের জুরিবোর্ড।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এ মামলার রায় ঘোষণার চার দিন পরই রিপাবলিকান পার্টির সম্মেলন। সেখান থেকে দলটি থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে। সূত্র: প্রথম আলো।