২৭শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাংলাদেশ

পিআর পদ্ধতি সংবিধানে নেই, সংবিধানের বাইরে যেতে পারি না – প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন

পিআর পদ্ধতি সংবিধানে নেই, সংবিধানের বাইরে যেতে পারি না – প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন

বাংলাদেশেরপ্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, “আনুপাতিক পদ্ধতি বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সংবিধানে নেই। সংবিধানের বাইরে আমরা যেতে পারি না। এটা নিয়ে তর্ক বিতর্ক চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। আমি এর মধ্যে ঢুকতে চাই না। যদি আইন পরিবর্তন হয় তাহলে হবে।”

শনিবার (২৩ আগস্ট) সকালে রাজশাহী আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আগে তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, “নির্বাচন হবে কি হবে না, এ নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের বক্তব্যের ভেতর আমরা যেতে চাই না। প্রধান উপদেষ্টার চিঠি পাওয়ার পর থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে রমজানের আগে যাতে নির্বাচন হয় তার জোর প্রস্তুতি চলছে।”

তিনি বলেন, “ভোটার তালিকা হালনাগাদ হয়ে গেছে। ভোটের জন্য কেনাকাটা এগিয়ে চলছে। সীমানা নির্ধারণের খসড়া প্রকাশ করেছি। আগামী ২৪ আগষ্ট রোববার থেকে নির্বাচনি সীমানার শুনানি শুরু হচ্ছে। ২৮ আগষ্ট বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শুনানি চলবে।”

এ এম এম নাসির উদ্দীন আরও বলেন, “স্ট্রাইকিং ফোর্স নয়, সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমরা কাজ করছি। সেনাবাহিনী যাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত হয় সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। জেলা প্রশাসক বা পুলিশ সুপার যারা এর আগে নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন, তাদের পদায়নের চিন্তা নেই।”

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “ভোট আসতে আসতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। যারা বাক্স দখল করার স্বপ্নে বিভোর, তাদের স্বপ্নভঙ্গ হবে। যারা অস্ত্র বাজি করে ভোটে জিততে চাইবেন তাদের জন্য দুঃসংবাদ। ভোটকেন্দ্র দখলের ইতিহাস ভুলে যান। আমরা কঠোর অবস্থানে থাকবো। ভোটকেন্দ্র দখল করলে পুরো ভোট বাতিল করা হবে।”

বিগত সরকারের আমলে দায়িত্ব পালন করা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশনের অধীনে ৫৭০০ কর্মকর্তা রয়েছে। তারা আগেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এদের কোথায় পাঠাবো। তবে যারা স্বপ্রনোদিত হয়ে বিগত নির্বাচনে অনিয়ম করেছিল সেসব নির্বাচন কর্মকর্তাদের রাখা হবে না।”

বর্তমান সরকার চাপ দিলে পদত্যাগ করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, “সরকার নির্বাচন নিয়ে আমাকে এখন পর্যন্ত কোনো চাপ দেয়নি, আমাকে চাপ দিলে আমি পদত্যাগ করব, চেয়ারে থাকব না।”

আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “লীগের এই মুহূর্তে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নেই। তাদের বিচার চলছে। বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। দেখা যাক বিচারে কী হয়।”

প্রধান নির্বাচন কমিশনার সভায় রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্বাচন বিষয়ে নানা দিকনির্দেশনা দেন।