নিউইয়র্ক     রবিবার, ১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক বিভাজনের প্রভাব পরিবারগুলোতেও

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২:৩২ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক বিভাজনের প্রভাব পরিবারগুলোতেও

থ্যাংকস গিভিং ডে উদ্‌যাপনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাসিন্দা ইরিনার বাড়িতে নানা আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু খাবার টেবিলে একটি আসন ফাঁকা। স্বামীসহ ইরিনা তাঁর স্বামীর ভাইকে এ আয়োজনে আমন্ত্রণ না জানানোর সিদ্ধান্ত নেন। কারণ, ওই ব্যক্তি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভক্ত। গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।

ইরিনা বলেন, ‘খাবার টেবিলে সে ট্রাম্পের বিজয়ের মহিমাকীর্তন করবে, এটা আমি মেনে নিতে পারব না। আমার স্বামী এতে বাধা দিলে দুজনের বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হবে, যেটা আমরা এড়াতে চেয়েছি।’ যুক্তরাষ্ট্রে বড়দিনের পর সবচেয়ে বড় উৎসব বলা হয় থ্যাংকস গিভিং ডেকে। দিনটি ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রবাসীর থাকে অনেক পরিকল্পনা। থাকে সরকারি ছুটি। দিনটিতে দেশজুড়ে থাকে নানা আয়োজন। ধর্মীয় হলেও ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার বাইরে দিনটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংস্কৃতির একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। এ বছর দিনটি ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তিন সপ্তাহ পরে, গত ২৮ নভেম্বর।

থ্যাংকস গিভিং ডের পর এসেছে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। বড়দিন সামনে রেখে কোটি কোটি আমেরিকান দিনটি উদ্‌যাপনে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রাজনীতিতে মেরুকরণ ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিভাজিত প্রচারণার একটি বছরের শেষ প্রান্তে হচ্ছে এই উৎসব। এবার রাজনৈতিক মতানৈক্যের মধ্যেও পরিবারগুলো কীভাবে এই উৎসবে এক হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে স্পষ্টতই দুটি পক্ষ দেখা গেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ৭ কোটি ৭৩ লাখ ভোট বা মোট ভোটের ৪৯ দশমিক ৯ শতাংশ। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ৭ কোটি ৫০ লাখ বা ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট। গত বছর পিউ রিচার্সের করা এক জরিপ অনুযায়ী, ভিন্নমতের লোকের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা করাকে ক্লান্তিকর ও হতাশাজনক মনে করেন ৬১ শতাংশ আমেরিকান।

ইরিনা ও তাঁর স্বামী এবার থ্যাংকস গিভিং ডের আয়োজন করেছিলেন স্বল্প পরিসরে। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল শুধু ইরিনার মা ও তাঁদের দুজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে। সেই আয়োজনে আলাপচারিতায় তেমন তিক্ততা তৈরি হয়নি। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পরিবার জানিয়েছে, এ ধরনের পারিবারিক আয়োজনে তারা ‘রাজনীতি ও ধর্ম নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনা করা হবে না’ এমন নীতি নিয়েছে।

থ্যাংকস গিভিং ডের পর এসেছে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। বড়দিন সামনে রেখে কোটি কোটি আমেরিকান দিনটি উদ্‌যাপনে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রাজনীতিতে মেরুকরণ ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিভাজিত প্রচারণার একটি বছরের শেষ প্রান্তে হচ্ছে এই উৎসব। এবার রাজনৈতিক মতানৈক্যের মধ্যেও পরিবারগুলো কীভাবে এই উৎসবে এক হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে স্পষ্টতই দুটি পক্ষ দেখা গেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ৭ কোটি ৭৩ লাখ ভোট বা মোট ভোটের ৪৯ দশমিক ৯ শতাংশ। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ৭ কোটি ৫০ লাখ বা ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট। গত বছর পিউ রিচার্সের করা এক জরিপ অনুযায়ী, ভিন্নমতের লোকের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা করাকে ক্লান্তিকর ও হতাশাজনক মনে করেন ৬১ শতাংশ আমেরিকান। ইরিনা ও তাঁর স্বামী এবার থ্যাংকস গিভিং ডের আয়োজন করেছিলেন স্বল্প পরিসরে। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল শুধু ইরিনার মা ও তাঁদের দুজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে। সেই আয়োজনে আলাপচারিতায় তেমন তিক্ততা তৈরি হয়নি। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পরিবার জানিয়েছে, এ ধরনের পারিবারিক আয়োজনে তারা ‘রাজনীতি ও ধর্ম নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনা করা হবে না’ এমন নীতি নিয়েছে।

রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে অনেক পরিবারে দূরত্ব তৈরির বিষয়টি উঠে এল কারও কারও কথায়। তাঁদের একজন ওহাইও অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা রিটা (৬৬)। তিনি বলেন, ২০১৬ সালে প্রথমবার ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার আগে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল অনেক বেশি সৌহার্দ্যপূর্ণ। কিন্তু ওই নির্বাচনের প্রচারের পর থেকে তাঁদের পরিবারের মধ্যে ফাটল ধরতে শুরু করে বলে জানান তিনি।

রিটা বলেন, ‘আমরা তখন পরিবারের সদস্যরা মিলে ছুটিতে এক হতে পারতাম। রাজনীতি বা কোনো কিছু নিয়ে মাথাব্যথা ছিল না। কিন্তু ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে তা কঠিন হয়ে উঠতে থাকে। এরপর ২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের হেরে যাওয়া ও তাঁর উসকানিতে ট্রাম্প সমর্থকেরা ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলা চালানোর পর পরিবারের এক হওয়াটা একেবারে অসম্ভব হয়ে ওঠে।’

পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ফাটল ধরেছে জানিয়ে রিটা বলেন, ‘এখন আমাদের মধ্যে মারাত্মক বিভাজন তৈরি হয়েছে। আমাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কেউ কেউ একে অপরের সঙ্গে কথা বলেন না। মতপার্থক্য বেড়ে পরিস্থিতি এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে যাঁরা পারিবারিক আয়োজনে রাজনীতি ছাড়া কথা বলতে পারেন না, তাঁদের সঙ্গে কথা বলাকে সময়ের অপচয় মনে করা হয়।’

শেয়ার করুন