বর্তমান ব্যস্ত জীবনে অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া ও অলস জীবনযাপনের কারণে অনেকেই কম বয়সেই উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধির সমস্যায় ভুগছেন। ৫০ বছর বয়সের আগেই অনেককে নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। তবে শুধু ওষুধেই নয়, সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলেও এই সমস্যা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা বলে থাকেন—খাদ্যে অতিরিক্ত তেল, মসলা ও প্রক্রিয়াজাত খাবার কমিয়ে দিলে এবং ভিটামিন সি ও পটাসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার বা পানীয় রাখলে রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে সহজলভ্য ও উপকারী পানীয় হলো কমলালেবুর রস। কেন উপকারী কমলালেবুর রস?
কমলালেবুর রসে থাকে ফ্ল্যাভোনয়েড ও পেকটিন, যা দেহের বিপাকক্রিয়া বাড়াতে সহায়তা করে। এটি রক্তে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি কমাতে এবং ধমনির স্বাভাবিক গতি বজায় রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এতে থাকা উচ্চমাত্রার পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক : অনেকেই কোলেস্টেরল কমাতে না খেয়ে থাকার চেষ্টা করেন, যা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। বরং পুষ্টিকর খাবার সঠিক পরিমাণে খাওয়াই বেশি কার্যকর। কমলালেবুর রস যেমন হালকা, তেমনই ভরপুর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। কারা খাবেন, কারা খাবেন না?
যদিও কমলালেবুর রস অধিকাংশ মানুষের জন্য নিরাপদ ও উপকারী, তবে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এটি সাবধানে খাওয়া উচিত।
যেহেতু এতে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, তাই কতটা খাওয়া যাবে—তা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঠিক করা উচিত। এ ছাড়া বাজারে পাওয়া বোতলজাত কমলালেবুর রস এড়িয়ে চলাই ভালো, কারণ এতে থাকে অতিরিক্ত চিনি ও সংরক্ষক (প্রিজারভেটিভ), যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
কমলালেবুর রস নিয়মিত ও পরিমিতভাবে খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে, রক্তচাপ কমাতে এবং ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তবে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। সূত্র : বাংলা হান্ট