১২ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

যুক্তরাষ্ট্র

নোবেলের স্বপ্নভঙ্গ! ‘চাপ দিয়ে লাভ নেই’, ট্রাম্পকে স্পষ্ট বার্তা কমিটির

নোবেলের স্বপ্নভঙ্গ! ‘চাপ দিয়ে লাভ নেই’, ট্রাম্পকে স্পষ্ট বার্তা কমিটির

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মানুষও বটে। ফলে তাঁকে খুশি করতে তাবেদারের সংখ্যা কম নেই বিশ্বে। এহেন ট্রাম্প চান চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার উঠুক তাঁর হতে। তবে চাইলেই তো আর হল না ঝক্কি অনেক। শান্তির লক্ষ্যে তার কর্মকাণ্ডের বিস্তর তালিকা চাই। তবে শর্টকাট-বিলাসি ট্রাম্প এসব শুনবেন কেন? তাবেদারদের সঙ্গী করে তিনি ক্রমাগত চাপ বাড়িয়ে চলেছেন নোবেল কমিটির উপর। তাঁর নিজেরও দাবি ৭টি যুদ্ধ থামিয়েছেন তিনি। এই অবস্থায় পাল্টা বিবৃতি এল কমিটির তরফে। স্পষ্ট জানানো হল, নোবেল কমিটির উপর চাপ বাড়িয়ে বিশেষ লাভ হবে না। কমিটি সর্বদা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়।

একাধিকবার ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার জন্য উপযুক্ত প্রার্থী। পূর্বসূরী বারাক ওবামার উদাহরণ টেনে জানিয়েছেন, তিনি অল্প সময়ের মধ্যে এই পুরস্কার পেয়েছেন। নিজের দাবির সপক্ষে তাঁর যুক্তি ক্ষমতায় আসার পর ৬-৭ যুদ্ধ থামিয়েছেন। এমনকী রুশ-ইউক্রেন ও হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ থামাতেও প্রস্তুত তিনি। এহেন পরিস্থিতির মাঝে সংবাদমাধ্যম এএফপিকে দেওয়া নোবেল কমিটির সচিব ক্রিশ্চিয়ান বার্গ হার্পভিকেন বলেন, “এটা সত্যি যে একজন নির্দিষ্ট প্রার্থীকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিস্তর আলোচনা চলছে। তবে এটাও সত্য যে সংবাদমাধ্যমের আলোচনা আমাদের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে না। আমরা ঝাড়াই বাছাই করে যোগ্যতা অনুযায়ী স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেই। আমাদের উপর কোনও চাপ নেই। বাইরের কোনও চাপ আমাদের প্রভাবিত করতে পারে না।”

তবে বার্তা স্পষ্ট হলেও চেষ্টার কোনও খামতি রাখছেন না ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ, যাতে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পান তার জন্য তাবেদারদের ব্যবহার করছেন। আগামী ১০ অক্টোবর নোবেল শান্তির প্রাপকের নাম ঘোষণা হবে। তার আগে ট্রাম্পের হয়ে নোবেল কমিটির কাছে সুপারিশ করেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, আজারবাইজানের ইলহাম আলিয়েভ, এছাড়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। পাক সেনাপ্রধান আসিফ মুনিরও জানিয়েছেন ট্রাম্পের নোবেল পাওয়া উচিত। সূত্রের খবর, ভারতের কাছেও একই দাবি জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে তাঁর আবেদনকে গুরুত্ব দেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এমনকী বারবার ট্রাম্প ফোন করলেও ফোন তোলেননি প্রধানমন্ত্রী।

যদিও এবছর ট্রাম্পের নোবেল পাওয়ার সম্ভাবনা বড় কম। কারণ, নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়নের শেষ তারিখ ছিল ৩১ জানুয়ারী। ট্রাম্প তার ১১ দিন আগে ক্ষমতায় আসেন। এই অবস্থায় ট্রাম্পের নাম নোবেলের বিবেচনা করা হলে তা আগামী বছর হবে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুলাই মাসে নোবেলের জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেছিলেন নেতানিয়াহু। এবিষয়ে কমিটিকে চিঠিও দেন তিনি।