২৭শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আর্ন্তজাতিক

আমেরিকার বাজার ধরে রাখতে নতুন কৌশল? বাংলাদেশকে মাঝে রেখে এগোতে চাইছেন ভারতের ব্যবসায়ীরা, কী ভাবে

আমেরিকার বাজার ধরে রাখতে নতুন কৌশল? বাংলাদেশকে মাঝে রেখে এগোতে চাইছেন ভারতের ব্যবসায়ীরা, কী ভাবে

ভারতের পণ্যে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাণিজ্য সমঝোতা না হলে ২৭ অগস্ট থেকে তা কার্যকর হতে পারে। দেশের ব্যবসায়ীরা চিন্তায় পড়েছেন। ভারতীয় পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপিত হয়েছে ইতিমধ্যে। আরও ২৫ শতাংশ আরোপের হুঁশিয়ারি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার বাজারে রফতানি করতে সমস্যায় পড়ছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। চড়া শুল্কের কারণে ব্যবসা মার খাচ্ছে। তবে কেউ কেউ কৌশলে এই সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা শুরু করেছেন। তাঁরা যোগাযোগ করছেন বাংলাদেশের সঙ্গে।

ভারতের পণ্যে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাণিজ্য সমঝোতা না হলে ২৭ অগস্ট থেকে তা কার্যকর হতে পারে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান-সহ বাকি দেশগুলির উপরও ট্রাম্প শুল্ক আরোপ করেছেন। বাংলাদেশের পণ্যে মার্কিন শুল্ক এখন ২০ শতাংশ, চিনের পণ্যে ৩০ শতাংশ। ৫০ শতাংশের ঘোষণা কার্যকর হলে ভারতের শুল্কের হারই হবে সর্বোচ্চ। এই পরিস্থিতিতে এ দেশের বিভিন্ন বাজারে আমেরিকা থেকে যে সমস্ত বরাত এসেছিল, তা বাতিল হয়ে যাচ্ছে। মার্কিন ক্রেতারা হয় বরাত স্থগিত করছেন, নয়তো একেবারে বাতিলের কথা বলছেন। বিকল্প হিসাবে কম শুল্কের দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন তাঁরা। তার মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো জানিয়েছে, বহু আমেরিকান সংস্থা বাংলাদেশের কারখানায় পোশাক তৈরির বরাত দিচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভারতের বাতিল করা বরাত বাংলাদেশে যাচ্ছে। এমনকি, ভারত থেকে বড় ব্যবসায়ীরাও বাংলাদেশের সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন। দীর্ঘ মেয়াদে মার্কিন বাজার ধরে রাখার কৌশল হিসাবে বাংলাদেশকে মাঝে রেখে এগোতে চাইছেন তাঁরা। বাংলাদেশের শীর্ষ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে ভারত থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে, দাবি সে দেশের সংবাদমাধ্যমের।

অন্য দিকে, বাংলাদেশের উপর শুল্ক তুলনামূলক কম থাকায় আমেরিকা থেকে বরাত দিন দিন বাড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কারখানায় শ্রমিকেরা হিমশিম খাচ্ছেন। রেডিমেড পোশাক তৈরির এক সংস্থার পরিচালক ঢাকার দৈনিক প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, গত বছরের চেয়ে এ বছরের বরাত কয়েক গুণ বেড়েছে। এতে রফতানি বাড়বে। কিন্তু তা কতটা স্থায়ী হবে, তা নিয়ে চিন্তা রয়েছে। কারণ, ভারতের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্যচুক্তি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। যদি শুল্ক পরে কমে যায়, এই মার্কিন ক্রেতারা আবার ভারতের ব্যবসায়ীদের কাছে ফিরে যেতে পারেন বলে তাঁদের আশঙ্কা।

মার্কিন শুল্ক ঘোষণার পর চিনের অনেক বিনিয়োগকারীও বাংলাদেশের বাজারকে কাজে লাগাতে চাইছেন বলে দাবি সংবাদমাধ্যমে। তাঁরা বাংলাদেশে পোশাক তৈরির কারখানা গড়তে আগ্রহী। সেই মতো বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সংবাদসুত্র আনন্দবাজার.কম