সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী (সিইও) পাভেল দুরোভকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই গ্রেপ্তারের ঘটনায় ফ্রান্সের সাথে রাশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
শনিবার সন্ধ্যায় ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের ল্য বুর্জে বিমানবন্দর থেকে রুশ বংশোদ্ভূত এ ধনকুবেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার আটকের মেয়াদ বুধবার পর্যন্ত বাড়ানো হলে, মঙ্গলবার ফরাসি সরকারের এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানান ল্যাভরভ। খবর ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
এক্ষেত্রে ফরাসি সরকার বাক স্বাধীনতা, তথ্য প্রচারের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের পেশার বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
শীর্ষ এ কূটনীতিক বলেন, দুরোভকে ভয়ানক শাস্তির হুমকি দেয়া হয়েছে। মূলত টেলিগ্রামের (অ্যাপ্লিকেশন) এনক্রিপশন কোডগুলোতে অ্যাক্সেস পাওয়ার লক্ষ্যেই তাকে হুমকি দেয়া হয়েছে।
তাকে ‘কোনো একজনের পরামর্শে’ গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও দাবি ল্যাভরভের।
এর আগে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে রাশিয়ার স্টেট ডুমার চেয়ারম্যান ব্যাচেস্লাভ ভোলোদিন বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ফ্রান্সের মাধ্যমে টেলিগ্রামের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করছে।
শনিবার ব্যক্তিগত বিমানে ফ্রান্সের ল্য বুর্জে বিমানবন্দরে অবতরণের পর দুরোভকে গ্রেপ্তার করা হয়। অবতরণের আগেই তাকে গ্রেপ্তারের প্রস্তুতি নেয় পুলিশ। কারণ, তার বিরুদ্ধে ফ্রান্সে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিলো।
ফ্রান্স ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে দুরোভের। এ নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথেও দ্বন্দ্বে জড়াতে পারে প্যারিস, এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ফরাসি পুলিশের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, একটি তদন্তের অংশ হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মডারেটরের অভাবে টেলিগ্রামে বিস্তর অপরাধ ছড়ানো ও পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতার অভাবের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করছে তারা। সূত্র: ৭১টিভি।