আকস্মিক বন্যায় ফেনী জেলার অনেক এলাকা এখনও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। পানিতে ভাসছে ফেনী শহর। মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় গ্রামে থাকা পরিবারের সদস্যদের পরিস্থিতি জানতে পারছেন না স্বজনরা।
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ফেনী সদর, পরশুরাম, সোনাগাজী, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলা। মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙন স্থান দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করে ডুবছে জনপদ। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় জেলার ২০ লাখের বেশি মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন। সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বন্যাদুর্গত মানুষজন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
ফেনী জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এই জেলায় প্রায় ১ লাখ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। বন্যাকবলিত বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। বেশিরভাগ মোবাইল টাওয়ার অকেজো হয়ে পড়ায় যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। এতে সমস্যা আর তীব্র হয়েছে।
ফেনীর ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম এই তিন উপজেলার পুরোটাই বন্যাকবলিত। সদর ও দাগনভূঞা উপজেলার ৮০ শতাংশ এলাকার মানুষ পানিবন্দী। সোনাগাজী উপজেলার সব ইউনিয়নে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ দুর্ভোগে আছেন।
পানিবন্দী মানুষেরা জানাচ্ছেন, তারা খাবার ও সুপেয় পানির তীব্র সংকটে আছেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী অংশে কোথাও হাঁটু সমান, কোথাও বুক সমান পানি। এ কারণে যানচলাচল করতে পারছে না।
বন্যায় ফেনী জেলায় ৯২ শতাংশ টাওয়ারই অচল হয়ে পড়েছে। আর বন্যাকবলিত জেলার প্রায় ১১ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার অচল রয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকা এবং টাওয়ার এলাকা ডুবে যাওয়ায় নেটওয়ার্ক সচল করা যাচ্ছে না।