হত্যা মামলার আসামি ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে জাতীয় দল থেকে অপসারণ করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কর্তৃপক্ষকে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে হত্যা মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বলা হয়েছে নোটিশে। ২৪ আগষ্ট শনিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সজীব মাহমুদ আলম এ নোটিশ পাঠান।
সজীব মাহমুদ আলম বলেন, সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে যেহেতু ক্রিমিনাল মামলা রেকর্ড হয়েছে। তাই তিনি আইসিসির আইন অনুযায়ী জাতীয় ক্রিকেট দলে থাকতে পারেন না। তাকে ক্রিকেট দল থেকে অবিলম্বে অপসারণ করা প্রয়োজন। এর আগে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় পোশাক শ্রমিক রুবেল হত্যার ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে ২২ আগস্ট আদাবর থানায় মামলা করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পোশাক শ্রমিক রুবেল হত্যার ঘটনায় করা মামলাটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে একই থানায় ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মামলাটিতে ২৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ককে। মামলার এজাহারে বলা হয়, তাদের নির্দেশেই গুলি করে হত্যা করা হয় ছাত্র জনতার আন্দোলনে অংশ নেয়া রুবেলকে।
সাকিবের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত প্রথম টেস্টের পর বললেন ক্রিকেট বোর্ড প্রেসিডেন্ট ফারুক
পরিচয় ডেস্ক:সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার পর তাকে তাকে বাদে দিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি)। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে মিটিংয়ে বসেন বিসিবি কর্তারা। মিটিং প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের পর সাকিবের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সাকিবের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে শনিবার (২৪ আগস্ট) বিসিবি কার্যালয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদসহ বেশ কয়েকজন পরিচালক। দুপুর সাড়ে ১২টায় শুরু হওয়া বৈঠকে সাকিবের বিষয়টি ছাড়াও স্ট্যান্ডিং কমিটি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
মিরপুরে সাকিবের ব্যাপারে বিসিবি সভাপতি ফারুক বলেছেন, ‘এটা মাত্র প্রাথমিক তথ্য, এটার ওপর ভিত্তিতে এখনো অভিযোগপত্র তৈরি হয়নি, যদ্দূর জানি। এ ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন। চুক্ত অনুযায়ী বিসিবির সঙ্গে সাকিব আল হাসানের সম্পর্ক খেলোয়াড় ও এমপ্লয়ারের। লিগ্যাল নোটিশ দেখে চিন্তা করতে পারব।’
ফারুক মনে করেন, এ অবস্থায় সাকিবের পাকিস্তানের বিপক্ষে চলমান টেস্ট খেলতে বাধা নেই, ‘এ অবস্থায় (তার) খেলতে বাধা নেই। প্রথম টেস্ট ম্যাচ চার দিন শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু ৩০ আগস্ট। তার আগে আমরা চিন্তা করব। বোর্ড সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করব।’ বিসিবি সভাপতি বিষয়টি নিয়ে এখন বিস্তারিত কিছুই বলতে চাননি, ‘বিষয়টা এটা একেবারেই আইনি বিষয়। আরেকটু সময় গেলে এটা নিয়ে আলাপ করব। এখনই মন্তব্য করা যাবে না।’
গত কিছুদিনে যেভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনিয়ম-দুর্নীতি, সমস্যা সামনে আসছে; ক্রিকেটারদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিয়ে যেভাবে নেতিবাচক ঘটনা ঘটছে, তাতে দেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তিতে কালো দাগ লেগেছে কি না, এ প্রশ্নে ফারুকের যুক্তি, ‘সবকিছু নতুন করে সংস্কার হচ্ছে। (দেশের ক্রিকেটের) ব্র্যান্ড ভ্যালু কমবে না। সাময়িকভাবে সব স্থবির আছে। সবাই কাজ শুরু করলে সব আবার ঠিক হয়ে যাবে।’